করোনা মহামারিতে ব্যবসা-বাণিজ্যে এখনো মন্দা বিদ্যমান থাকায় ঋণ বিতরণের নীতিমালা আরো শিথিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে অভ্যন্তরীণ ঋণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার স্কোর আরো নমনীয়ভাবে বিবেচনা করা হবে।
ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশের কম পেলে তিনি অগ্রহণযোগ্য গ্রাহক হিসেবে গণ্য হবেন। এ ধরনের গ্রাহকদের নতুন ঋণ দেওয়া যাবে না। এতদিন যা ছিল ৪৫।
গত বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। তবে সার্কুলারের বিধিবিধান এখন থেকে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে।
আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ সার্কুলারটি বাতিল বলে গণ্য হবে। ওই দিন থেকে এর আগে এ বিষয়ে ২০২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জারি করা সার্কুলারের বিধিবিধান কার্যকর হবে।
সার্কুলারে বলা হয়, ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে এখন গ্রাহকদের বছর শেষে আর্থিক বিবরণী তৈরি করে তা ব্যাংকে দিতে হয়। আর্থিক বিবরণীতে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়।
এর মধ্যে আগের নিয়মে ৭৫ শতাংশের বেশি পেলে অতি উত্তম, ৬৫ শতাংশের বেশি থেকে ৭৫ শতাংশের কম পেলে ভালো, ৫৫ শতাংশের বেশি থেকে ৬৫ শতাংশের কম পেলে প্রান্তিক এবং ৫৫ শতাংশের কম পেলে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। তবে ৪৫ শতাংশের কম পেলে তিনি আর নতুন ঋণ পাবেন না। এখন থেকে অতি উত্তম ও ভালো গ্রাহকদের ক্ষেত্রে একই মান রাখা হয়েছে।
তবে প্রান্তিক ও অগ্রহণযোগ্য গ্রাহকদের ক্ষেত্রে নীতিমালা শিথিল করা হয়েছে। প্রতি ক্ষেত্রেই ৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ৫০ শতাংশের বেশি থেকে ৬৫ শতাংশের কম পেলে প্রান্তিক এবং ৫০ শতাংশের কম পেলে অগ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তবে গড়ে ৪০ শতাংশের কম পেলে তিনি আর ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবেন না।
এতে আরো বলা হয়, অতি উত্তম গ্রাহকদের নতুন ঋণ দেওয়া ও আগের খেলাপি ঋণ নবায়ন করতে কোনো বাধা থাকবে না। ভালো গ্রাহকদের নতুন ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। প্রান্তিক গ্রাহকদের খেলাপি ঋণ নবায়ন করতে সতর্ক হতে হবে। তাদের নতুন ঋণ দেওয়া যাবে না।
অগ্রহণযোগ্য গ্রাহকদের নতুন ঋণ দেওয়া যাবে না। আগের খেলাপি ঋণ নবায়ন করা যাবে। তবে কোনো গ্রাহক ৪০ শতাংশের কম পেলে তিনি অগ্রহণযোগ্য বলে গণ্য হবেন। তিনি নতুন ঋণ পাবেন না। আগের খেলাপি ঋণ নবায়ন করতে পারবেন।
মন্তব্য