-->
শিরোনাম

স্কুল শিক্ষার্থীদের ব্যাংকে সঞ্চয় ২,২১৬ কোটি টাকা

জাফর আহমদ
স্কুল শিক্ষার্থীদের ব্যাংকে সঞ্চয় ২,২১৬ কোটি টাকা
প্রতীকী ছবি

ব্যাংকে শিক্ষার্থীদের আমানতের পরিমাণ বেড়ে দুই হাজার ২১৬ কোটি ৯ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। ২৮ লাখ ২৫ হাজার ৯৯২ জন শিক্ষার্থীর ব্যাংক একাউন্টে এ সব টাকা জমা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মোট একাউন্টের মধ্যে পল্লী অঞ্চলের ১৩ লাখ ২৫ হাজার ৭১৮ জন শিক্ষার্থী তাদের একাউন্টে জমা করেছে ৫৮৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। শহরের ১৫ লাখ ২৭৪ জন শিক্ষার্থীর একাউন্টের বিপরীতে জমা হয়েছে এক হাজার ৬৩০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। শহরাঞ্চলে একাউন্টের সংখ্যা যেমন বেশি, টাকার পরিমাণও বেশি।

তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, শহরের প্রতিটি একাউন্টে গড়ে জমা হয়েছে ১০ হাজার ৮৬৬ টাকা। অন্যদিকে পল্লী অঞ্চলের প্রতি একাউন্টে আমানত হিসাবে জমা হয়েছে চার হাজার ৩৯১ টাকা।

শিক্ষার্থীদের সঞ্চয়ের মনোভাব গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১০ সালে স্কুল ব্যাংকিংয়ের কার্যক্রম শুরু করে। নীতিমালা ও মানুষের কাছে এ সম্পর্কিত বার্তা পৌঁছানোর জন্য প্রথম বছর চলে যায়। ২০১১ সালে শিশুরা ব্যাংকের একাউন্ট খুলে সঞ্চয় শুরু করে। স্কুল ব্যাংকিংয়ের সুদের হারও তুলনামূলক বেশি নির্ধারণ করা হয়, যাতে শিশুরা আগ্রহী হয়ে ওঠে।

যেসব শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ বছরের কম তারাই বাবা-মার তত্ত্বাবধানে এই ব্যাংকিং কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে। টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে অথবা বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজনের দেওয়া উপহার হিসাবে পাওয়া টাকা ব্যাংকে জমা রাখছে তারা। একইভাবে প্রয়োজনে বাবা-মার তত্ত্বাবধানে এ টাকা তুলতে পারছে শিক্ষার্থীরা।

শিশুদের সঞ্চয়ের মনোভাব গড়ে তোলার চিন্তা থেকে শুরু করা হলেও বড় আমানতের একাউন্টে পরিণত হয়েছে স্কুল ব্যাংকিং। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, এ আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২১৬ কোটি টাকা, যা ব্যাংকিং খাতের জন্য বড় আমানতে পরিণত হয়েছে।

ব্যাংকগুলো মনে করছে, বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী এখন শুধু আমানতের যোগানই দিচ্ছে না, আগামী দিনের বড় আমানতকারী হিসেবে আবির্ভুত হচ্ছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ধারণা নিয়েও বড় হচ্ছে তারা। ২০৩০ সাল নাগাদ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির যে উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে, স্কুল ব্যাংকিং তা ত্বরান্বিত করছে।

স্কুল ব্যাংকিংয়ের অন্যতম ইতিবাচক দিক হলো, পল্লী অঞ্চলের মেয়ে শিক্ষার্থীরা বেশি সংখ্যায় সঞ্চয়ে আগ্রহী হয়ে উঠছে। সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, পল্লী অঞ্চলের ৬ লাখ ৩৯ হাজার ৩২৬ জন মেয়ে শিশু স্কুল ব্যাংকিংয়ে একাউন্ট খুলেছে। একই সময়ে শহরে একাউন্ট খুলেছে ৬ লাখ ৩৩ হাজার ২৯৪ জন।

মন্তব্য

Beta version