-->
শিরোনাম

দোকান খুলেছে নিউমার্কেটে

নিজস্ব প্রতিবেদক
দোকান খুলেছে নিউমার্কেটে
বৃহস্পতিবার সকালে নীলক্ষেত থেকে সায়েন্সল্যাব ও সায়েন্সল্যাব থেকে নীলক্ষেত পর্যন্ত উভয় সড়কেই যানবাহন চলতে দেখা যায় স্বাভাবিক সময়ের মতোই। ছবি- ভোরের আকাশ

ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে টানা দুদিন বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার সকালে বেশিরভাগ দোকানপাট খুলেছে রাজধানীর নিউমার্কেটের। এর আগে গতকাল বুধবার গভীররাতে সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে (বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ-বিসিএসআইআর) স্বরাষ্ট্র ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ব্যবসায়ী মালিক সমিতি, ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে মার্কেট খোলার সিদ্ধান্ত হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে নিউমার্কেট এলাকায় গিয়ে অনেক ব্যবসায়ীকে দোকান খুলে ক্রেতাদের অপেক্ষায় বসে থাকতে দেখা যায়। অনেক ব্যবসায়ীকে দেখা যায় দোকান খোলার প্রস্তুতি নিতে। এসময় নীলক্ষেত থেকে সায়েন্সল্যাব ও সায়েন্সল্যাব থেকে নীলক্ষেত পর্যন্ত উভয় সড়কেই যানবাহন চলতে দেখা যায় স্বাভাবিক সময়ের মতোই।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দোকান খোলায় স্বস্তি থাকলেও নতুন করে কোনো উত্তেজনা তৈরি হয় কিনা, তা নিয়ে তাদের মধ্যে শঙ্কা রয়েই গেছে।

তাদের একজন বলেন, ‘ভোরে দোকান খোলার ঘোষণা শুনে দোকান খুললাম। ছাত্ররা বিভিন্ন দাবি জানাচ্ছে, সেগুলোর কিছু মেনেও নিয়েছে। তবে এখনো শঙ্কা পুরোপুরি কাটেনি। শঙ্কা নিয়েই দোকান খুলেছি। দাবি-দাওয়া নিয়ে আবার কী হয়, বোঝা যাচ্ছে না। তিনদিন দোকান বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীদের লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে। ক্রেতা নাই, বেচাকেনার অবস্থা খুব খারাপ।’

ফুটপাতের দোকানি কাদের মোল্লা বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ীরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই। গত দুই বছর ঈদে ব্যবসা করতে পারিনি। এবার ঈদকে ঘিরে ব্যবসাটা ভালোভাবে করতে চাই। দোকান খুললাম। এখন যেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষ হয়। দিবাগত রাত ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত চলে সংঘর্ষ। এরপর মঙ্গলবার সকাল থেকে দিনভর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে থেমে থেমে সংঘর্ষ হয়। গতকাল বুধবার সারাদিন থেমে থেমে উত্তেজনা বিরাজ করে নিউমার্কেট এলাকায়। এরপর রাতের বৈঠকে দোকান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

এদেক মঙ্গলবারের সংঘর্ষে আহত দোকান কর্মচারী মোরসালিনকেও বাাঁচানো যায়নি। ২৬ বছর বয়সী এই যুবক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার ভোররাত ৪টা ৩৬ মিনিটে মারা গেছেন।

এর আগে মঙ্গলবারের সংঘর্ষে আহত হয়ে সেদিনই মারা যান নাহিদ (১৭) নামে এক কিশোর। এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগনালে একটি কুরিয়ার সার্ভিস কোম্পানিতে চাকরি করতেন তিনি। ছাত্র কিংবা নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী-কর্মচারী না হয়েও কেবল পেশাগত কাজে যোগ দিতে গিয়ে ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ হারান তিনি।

মন্তব্য

Beta version