দেশের অর্থনীতির প্রাণপ্রবাহ এবং নৌবাণিজ্যের প্রাচীনতম কেন্দ্র চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ সোমবার। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক শুভেচ্ছা বাণীতে সভ্যতার ক্রমবিকাশে চট্টগ্রাম বন্দরের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বন্দর ব্যবহারকারী সব মহলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান।
চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, বন্দর ব্যবহারকারী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। শুভেচ্ছা বাণীতে তিনি বলেছেন, ‘শুধু ব্যবসা-বাণিজ্যেও ক্ষেত্রে নয়, এ অঞ্চলের সভ্যতার ক্রমবিকাশে চট্টগ্রাম বন্দরের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর শিল্প-বাণিজ্যের প্রসারের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘১৮৮৭ সালে চট্টগ্রাম বন্দর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর আজ বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। ভূরাজনৈতিক বিবেচনায়ও চট্টগ্রাম বন্দরের গুরুত্ব আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত।’
তিনি আরো বলেন, ‘বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ৯২ শতাংশ এ বন্দরের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। বন্দরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল ও বে-টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে- যা অত্যন্ত সময়োপযোগী পদক্ষেপ।’
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে আসে। এ সময় বিশ্বের ব্যস্ত বন্দরগুলোর কার্যক্রম যেখানে স্থবির হয়ে পড়েছিল, সেখানে চট্টগ্রাম বন্দর একদিনের জন্যও বন্ধ থাকেনি। ফলে সচল থেকেছে দেশের অর্থনীতির চাকা, যা জাতীয় প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে অন্যতম প্রধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরিত করতে সরকার ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। সরকারের নানাবিধ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে। এ অর্জনের পেছনে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর ও আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের কেন্দ্র হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরের অবদান অনস্বীকার্য।’ তিনি আশা করেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে আগামীতেও চট্টগ্রাম বন্দরের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা অব্যাহত থাকবে।
এদিকে ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য গতিশীল রাখতে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমত বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। বন্দর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ক্রমাগত বাড়ছে। সাত টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের মধ্য দিয়ে ১৯৭৭ সালে শুরু হয়েছিল চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিং, যা বর্তমানে ৩২ লাখ টিইইউএস ছাড়িয়ে গেছে। কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে বন্দরের স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশের কাছে। বিপুল সংখ্যক কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পাশাপাশি প্রায় ১১ কোটি টন খোলা পণ্য হ্যান্ডলিং করতে হয় বন্দরকে। এই কর্মযজ্ঞ সামলানোর জন্য চট্টগ্রাম বন্দরকে প্রতিনিয়ত নিজেকে তৈরি করতে হচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্য যে হারে বাড়ছে বিদ্যমান বন্দরকে সেভাবে বাড়ানো সম্ভব নয় জানিয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে করে নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করে বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
চট্টগ্রাম বন্দর উন্নয়ন ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য কমডোর (অব.) জোবায়ের আহমেদ বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো এখন সময়ের দাবি। বিদ্যমান বন্দর দিয়ে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের চাহিদা বেশি দিন মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না। এর ওপর প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাতটি রাজ্যকে ট্রানজিট প্রদান করার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। এই ট্রানজিট আমাদের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আমরা লাভবান হব। কিন্তু ওই সাত প্রদেশকে ট্রানজিট দিতে হলে যে সক্ষমতা দরকার, তার জন্য চট্টগ্রাম বন্দরকে এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে।’
চট্টগ্রাম বন্দরকে নিয়ে দীর্ঘ গবেষণার প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনাল দ্রুত চালু করার কোনো বিকল্প নেই। একই সঙ্গে বে টার্মিনাল নির্মাণ দ্রুত শেষ করতে হবে। এই দুটি টার্মিনাল দ্রুত অপারেশনে আনা না গেলে বন্দরের সক্ষমতা প্রশ্নের মুখে পড়বে।’ তিনি বলেন, ‘বন্দরের টার্মিনালগুলোতে অভিজ্ঞ অপারেটর নিয়োগ করার ওপরও গতি নির্ভর করে।’
বন্দরে জাহাজের ড্রাফট ও লেংথ বাড়ানোর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর উন্নয়ন ও গবেষণা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান খান বলেন, ‘নাব্য রক্ষায় সদরঘাট থেকে কর্ণফুলী নদীর মোহনা পর্যন্ত খনন কাজ জোরদার করতে হবে।’
তিনি মাতারবাড়ী বন্দরের কাজও দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করে অভিজ্ঞ অপারেটর নিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। কনটেইনার হ্যান্ডলিং ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ডিজিটালাইজ করা, নিলামযোগ্য কনটেইনার কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে দ্রুত সরিয়ে ফেলা, এলসিএল কন্টেনার বন্দরের ইয়ার্ডে আনস্টাফিং করার পরিবর্তে বাইরে করার পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সিংহভাগ কনটেইনার পরিবাহিত হয় সড়কপথে। সড়কপথের পরিবর্তে রেল ও নৌপথ ব্যবহার করে ঢাকা অঞ্চলের কনটেইনার পরিবহণ বাড়ানো গেলে সক্ষমতার ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বর্তমানে বছরে ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টিইইউএস কনটেইনার রেলপথে পরিবাহিত হয়।’ এটিকে কমপক্ষে ৫ লাখ টিইইউএসে উন্নীত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। একই সঙ্গে পানগাঁও টার্মিনালে কনটেইনার পরিবহণ বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হলে বন্দরের সার্বিক পরিস্থিতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামকে বন্দরকে দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক চাহিদাও মেটাতে হয়। এটি মাথায় রেখে বন্দরের উন্নয়নে সার্বিক পদক্ষেপ নিতে হবে।’
অপরদিকে, বে-টার্মিনাল ও মাতারবাড়ী পোর্ট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে বন্দরের সক্ষমতা ৩-৪ গুণ বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান। রোববার শহীদ মো. ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩৫ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে প্রচার মাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এই মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি জানান, গত ৩০ মার্চ মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের ২৮৩ দশমিক ২৭ একর জমি কক্সবাজার জেলা প্রশাসন বন্দর কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিয়েছে। বন্দর নির্মাণকাজের জন্য ঠিকাদার নিয়োগের লক্ষ্যে সহসা দরপত্র আহ্বান করা হবে। মাতারবাড়ী টার্মিনাল হলে ১৬ মিটারের বেশি ড্রাফটের জাহাজ ভিড়তে পারবে। বে-টার্মিনাল প্রকল্পাধীন ৬৭ একর ব্যক্তি মালিকানার জমির দলিল ২০২১ সালের অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে বন্দরকে বুঝিয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। আরো ৮০৩ একর জমি প্রতীকী মূল্যে বন্দরের অনুকূলে বরাদ্দ দিতে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভূমি মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে দেড় হাজার মিটার দীর্ঘ মাল্টিপারপাস টার্মিনাল, ১ হাজার ২২৫ মিটার ও ৮০০ দীর্ঘ দুটি কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
তিনি জানান, বছরে সাড়ে চার লাখ টিইইউ’স কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের লক্ষ্যে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের (পিসিটি) নির্মাণের কাজ ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। বন্দরের ১ হাজার ২২৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। ৬০০ মিটার জেটিতে একসঙ্গে ১৯০ মিটার লম্বা ও সাড়ে ৯ মিটার ড্রাফটের তিনটি কনটেইনার জাহাজ ও ২২০ মিটার লম্বা ডলফিন জেটিতে একটি তেলবাহী জাহাজ ভিড়ানো যাবে। আগামী জুলাইতে পিসিটির কার্যক্রম শুরু হতে পারে।
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ইউরোপের পথে সরাসরি শিপিং সার্ভিস চালুর কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ইউরোপের পথে সরাসরি শিপিং সার্ভিস চালু আরএমজি পণ্য পরিবহণের মাধ্যমে সমুদ্রপথে নতুন মাইলফলক সৃষ্টি হয়েছে। ‘এমভি সোঙ্গা চিতা’ ৯৫২ কনটেইনার পণ্য নিয়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি বন্দর ছেড়েছিল। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ইউরোপের পথে সরাসরি শিপিং সার্ভিস চালু থেকে ইউএসএ রুটেও সরাসরি জাহাজ চলাচলের সুযোগ রয়েছে। বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে এক দশকে ৫ লাখ ৮০ হাজার বর্গমিটার ইয়ার্ড তৈরি করায় কনটেইনার ধারণক্ষমতা ৫৫ হাজারে উন্নীত হয়েছে।
তিনি জানান, পোর্ট লিমিট সাত নটিক্যাল মাইল থেকে ৫০ নটিক্যাল মাইলে উন্নীত করা হয়েছে। পোর্ট লজিস্টিক সক্ষমতা বাড়াতে কান্ডারি ৬ ও ১২ নামের দুটি টাগবোট, দুটি মুরিং লঞ্চ, দুটি সাইট স্ক্যান সোনার, দুটি ইকো সাউন্ডার ও একটি সমুদ্রগামী হারবার টাগবোট সংগ্রহ করা হয়েছে। গত এক দশকে শিপ টু শোর কি গ্যান্ট্রি ক্রেন, মোবাইল হারবার ক্রেন, রাবার টায়ারড গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ বিভিন্ন ধরনের ৩৯০টি কার্গো ও কনটেইনার হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ করা হয়েছে।
বন্দর চেয়ারম্যান জানান, বেসরকারি আইসিডিতে বিনিয়োগে উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে নানা ছাড় দেওয়া হচ্ছে। বন্দরের এক নম্বর জেটি গেটের কাছে মাল্টি স্টোরেড কার শেড নির্মাণ করা হচ্ছে। বিপজ্জনক, তেজস্ক্রিয় ও রাসায়নিক পণ্য নিরাপদে আমদানি-রপ্তানির সুবিধার্থে স্টেট অব আর্ট কেমিক্যাল শেড গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, চট্টগ্রাম বন্দর ২০২১ সালে কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩২ লাখ ১৪ হাজার টিইইউস, প্রবৃদ্ধি ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। জেনারেল কার্গো ওঠানামা হয়েছে ১১ কোটি ৬৬ লাখ টন, প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৩ শতাংশ। জাহাজ হ্যান্ডলিং হয়েছে ৪ হাজার ২০৯টি, প্রবৃদ্ধি ১৩ শতাংশ। এ অর্জন বন্দরের ৩০ বছর মেয়াদি প্রক্ষেপণ ছাড়িয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানির ৯২ শতাংশেরও অধিক পণ্য এবং ৯৮ শতাংশ কনটেইনারজাত পণ্য হ্যান্ডলিং করে থাকে। ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী কোভিড পরিস্থিতিতেও এই বন্দর ২৮ লক্ষাধিক কনটেইনার হ্যান্ডেল করেছে। ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম বন্দর ১০০টি কনটেইনার পোর্টের তালিকায় ৯৮তম অবস্থান নিয়ে নিজের স্বীকৃতি অর্জন করে। মাত্র ১১ বছরে ৪০ ধাপ এগিয়ে ২০২০ সালে চট্টগ্রাম বন্দর ৫৮তম অবস্থানে উন্নীত হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের এই অর্জন বর্তমান সরকারের চলমান অর্থনৈতিক উন্নয়নেরই প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে।
একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বন্দরের আধুনিকায়ন, যন্ত্রপাতি সংযোজন এবং সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বে-টার্মিনাল, পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল, মাতারবাড়ী বন্দর নির্মাণ ও নিউমুরিং ওভার ফ্লো ইয়ার্ড নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প চলমান আছে। এরই মধ্যে পতেঙ্গাস্থ লালদিয়াচর এলাকায় বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ ৫২ একর ভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। ওই এলাকায় বন্দর সুবিধাদি বৃদ্ধির বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য