-->
শিরোনাম

করোনা মহামারির মধ্যেও ব্যাংকের নতুন শাখা ১৪২৯টি

জাফর আহমদ
করোনা মহামারির মধ্যেও ব্যাংকের নতুন শাখা ১৪২৯টি
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি

করোনা মহামারির দুই বছরে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এক হাজার ৪২৯টি নতুন শাখা খুলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, এর মধ্যে পল্লী অঞ্চলে শাখা খুলেছে এক হাজার ১৮৪টি, আর শহরে ২৪৮টি।

২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনা মহামারির মধ্যে সবকিছু লকডাউনে চলে গেলে। বন্ধ হয়ে যায় উৎপাদন, বিপণন, যোগাযোগ- সব কিছু। ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও লকডাউনে চলে যায়। তবে কিছু দিনের মধ্যেই ব্যাংকগুলো খুলে দেওয়া শুরু হয়। রোস্টারিং বা বাসায় বসে ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয়। যাতে মানুষের জীবন বাঁচাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও ব্যাংকগুলোর লেনদেন সচল রাখা যায়। এ সময় ব্যাংকের শাখা খোলার কার্যক্রমও শুরু হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যাংকের শাখা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৯৪০টি। ২০২০ সালের মার্চে করোনার অভিঘাত শুরুর আগে ব্যাংকের শাখা ছিল ৯ হাজার ৫১১টি।

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো গত কয়েক বছর ধরেই পেপারলেস ব্যাংকিংয়ের দিকে ঝুঁকেছে। করোনার মধ্যে মানুষের সমাগম এড়িয়ে নিরাপদ দূরত্বে থেকে ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু হলে ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন শুরু হয়। যে সব কাজ ব্যাংকে না গেলে করা সম্ভব নয় শুধু সে সব কাজের জন্যই তখন ব্যাংকে যেতেন কর্মীরা। নতুন শাখা খোলার ক্ষেত্রে পুরোপুরি ই-ব্যাংকিংয়ের শাখা খোলা শুরু হয়। এজন্য করোনার মধ্যেই তিন মাস সময় নেওয়া হয়। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ পল্লী অঞ্চলেও শাখার ক্ষেত্রে ই-ব্যাংকের সুবিধা নিয়ে শাখা খোলা শুরু করে ব্যাংকগুলো।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২০ সালের অক্টোবর মাস থেকে শহর-পল্লী নির্বিশেষে যতগুলো ব্যাংকের শাখা খোলা হয়েছে তার সবই ই-ব্যাংকিংয়ের সুবিধা সম্বলিত। অথচ করোনার আগে প্রতি তিন মাসে পল্লী অঞ্চলে অন্তত ৫০০ এবং শহরাঞ্চলে ৫০টির বেশি শাখা খোলা হতো অফ-লাইন সুবিধার। ২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনা শুরু হলে নতুন অফ-লাইন শাখার সংখ্যা নেমে আসে ৩০০ তে। অক্টোবর মাস থেকে যত নতুন শাখা খোলা হয়, তার শতভাগই ই-ব্যাংকিং সুবিধা সম্বলিত।

মন্তব্য

Beta version