-->
শিরোনাম

বিশাল সেন্টারে লাখ টাকার শাড়ি!

* পঁচিশ হাজার টাকার শেরওয়ানি * আঠারো হাজার টাকার পাঞ্জাবি * রাতভর চলছে বেচাকেনা

প্রণব কর্মকার
বিশাল সেন্টারে লাখ টাকার শাড়ি!
লাখ টাকা দামের শাড়ি, পঁচিশ হাজারের শেরওয়ানি, আঠারো হাজারের পাঞ্জাবি কিংবা আট হাজার টাকায় বাচ্চাদের একটি পোশাক সবই মিলছে এই মার্কেটের প্রায় সবকটি দোকানে। ছবি- ভোরের আকাশ

ঈদ মানেই খুশি, আনন্দ। রোজার ঈদ মানেই পোশাকের গুরুত্ব বেশি। সবাই যার যার সাধ্যমত পোশাক কিনেন। কেউ কদ দামে খুশি, কেউ যত বেশি দাম হোক তাতে সমস্যা নেই। দামি পোশাক মানেই অনেকের কাছে রেওয়াজ। ফলে যারা মোটা অংকের টাকায় পোশাক কিনে অভ্যস্ত তারা নামি দামি মার্কেটের দিকেই ঝুঁকছেন। এবারের ঈদেও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না।

রাজধানীতে বেশি দামের জামাকাপড় যেসব মার্কেটে পাওয়া যায় তারমধ্যে অন্যতম মগবাজার এলাকার বিশাল সেন্টার। গত দুই ঈদের তুলনায় এবছর বিশাল সেন্টারে ক্রেতার সংখ্যা অনেক বেশি। পোশাকেও এসেছে বৈচিত্র্য।

লাখ টাকা দামের শাড়ি, পঁচিশ হাজারের শেরওয়ানি, আঠারো হাজারের পাঞ্জাবি কিংবা আট হাজার টাকায় বাচ্চাদের একটি পোশাক সবই মিলছে এই মার্কেটের প্রায় সবকটি দোকানে। ঈদের বাজারে ব্যয়বহুল এসব পোশাকের ক্রেতাও কিন্তু কম নয়। মধ্যরাত অবধি এখানে কেনাকাটা চলে। ঈদের আগের দিন চলে রাতভর।

ঈদে উচ্চবিত্ত ক্রেতাদের আগ্রহ থাকে বিদেশি এসব পোশাকের দিকে। শপিংয়ের জন্য যারা বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমান, মূলত তাদের চাহিদার কথা ভেবেই ব্যয়বহুল ঈদ পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসে আছে বিশাল সেন্টারের দোকানগুলো।

কথা হয় কিং ফ্যাসানের বিক্রয় প্রতিনিধি মোহাম্মদ মোস্তফার সাথে। তিনি জানান, তাদের দোকানে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দামের শাড়ি এসেছে। শাড়ির প্রতি নারীদের আগ্রহও বেশ। আছে পঁচিশ হাজার টাকার শেরওয়ানি। এখানেই শেষ নয়, আঠারো হাজার টাকার পাঞ্জাবি এবং আট হাজার টাকা মূল্যের বাচ্চাদের পোশাক রয়েছে যথেষ্ট।

এসব পোশাকের এত দামের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব পোশাক দেশের বাইরে থেকে আমদানি করা হয়। সব থেকে দামি যে শাড়িটি রয়েছে তা এসেছে ভারত থেকে। এছাড়া পাঞ্জাবি ও শেরওয়ানি আসে ভারত ও পাকিস্তান থেকে। বাইরে থেকে আনায় এসব পণ্যে ভ্যাট দিতে হয় বেশি। তাই দামও বেশি।

শাড়ির বিশেষত্ব জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই শাড়ি আনা হয়েছে ভারতের তামিলনাড়ু থেকে। নাম কাঞ্চিপুরমে। ভারতের ঐতিহ্যবাহি এ শাড়ির নকশা যে কারো মন কারবে। শাড়িগুলোর দাম নির্ভর করে মূলত নকশার ওপর। এই শাড়ি তৈরিতে ব্যবহৃত হয় খাঁটি তুঁত সিল্ক এবং জরি। শাড়ির পারের রঙ এবং ডিজাইন সাধারণত শাড়ির ভিতরের অংশ থেকে একেবারেই আলাদা।

আঁচল প্রথমে আলাদাভাবে বোনা হয় এবং তারপরে সূক্ষ্মভাবে শাড়িতে জুড়ে দেওয়া হয় জরি। একটি খাঁটি কাঞ্চিপুরম সিল্ক শাড়ির ভিতরের অংশ এবং পার পৃথকভাবে বোনা হয় এবং তারপরে একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে। এই বৈশিষ্ট্যটি কাঞ্চিপুরম রেশম শাড়িগুলোকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তোলে।

কাঞ্চিপুরম ছাড়াও তাদের কাছে রয়েছে, বেনারশি, সুরাত, বালুচুরি, জর্জেট, কাতান, মাসলাই, সিল্ক যা ৬ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকার মধ্যে।

পাঞ্জাবি দেশি ২ হাজার থেকে ৬ হাজার, বিদেশি ৪ হাজার থেকে ১৮ হাজার টাকা পর্যন্ত। শেরওয়ানি রয়েছে ১৪ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে।

এ বছর বিক্রি কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনার জন্য গত দুই বছর ব্যবসা বন্ধ থাকলেও এবার ক্রেতাদের সাড়া ভালই পাচ্ছেন।

মন্তব্য

Beta version