-->

তিন হাত ঘুরতেই ১০ টাকার আলু ২৫ টাকা

শিপংকর শীল
তিন হাত ঘুরতেই ১০ টাকার আলু ২৫ টাকা

মুন্সিগঞ্জের আলু চাষিরা কারওয়ান বাজারের আড়তদারদের কাছে প্রতি কেজি আলু বিক্রি করছেন ৯ টাকা থেকে ১০ টাকায়। সেই আলু কারওয়ান বাজারের আড়তদাররা খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছে ১২ টাকা থেকে ১৪ টাকায়। আবার খুচরা বিক্রিতেরা সেই আলু রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ২৫ টাকায় বিক্রি করছেন। এভাবে তিন হাত ঘুরতে ১০ টাকার আলু হয়ে যাচ্ছে ২৫ টাকা। মাঝখান থেকে ঠকছেন আলু চাষিরা।

৪৫ বছর যাবৎ কারওয়ান বাজারে আলুর ব্যবসার সাথে জড়িত মো. হানিফ। গতকাল রোববার সকাল ৯টায় কারওয়ান বাজারের কাঁচা বাজারের আলুর ব্যবসায়ী হানিফের আড়তে বগুড়ার নন্দীপাড়া থেকে আসা আলু পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৪ টাকায়। প্রতি পাল্লা বা ৫ কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা। মানের উপর ভিক্তি করে আলুর দাম ১-২ টাকা কমবেশি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের পাশে একই আলু বিক্রি হচ্ছে ১৮-২০ টাকায়। ৬ কিমি ব্যবধানে রাজধানীর রায়সাহেব বাজারে একই আলু কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা। এই ক্ষেত্রে ৬ কিমি ব্যবধানে আলুর দাম বেড়ে দাঁড়াল ১২ থেকে ১৩ টাকা।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কাঁচা বাজারে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আলু আসে। তার মধ্যে রাজশাহী, বিক্রমপুর, রংপুর, বগুড়া ও মুন্সিগঞ্জের চাষিদের থেকে বেশি আসে। এসব জায়গার ব্যাপারীরা আড়তদারদের কাছে কমিশনের ভিক্তিতে এইসব আলু বিক্রি করেন।

এ বিষয়ে আলুর পাইকারী ব্যবসায়ী মো. আরিফ হোসেন বলেন, মুন্সিগঞ্জ থেকে আমদানি করা আলু আমরা পাইকারিতে বিক্রি করছি ১৩ থেকে ১৪ টাকায়। বগুড়া, দিনাজপুর, রাজশাহী থেকে আসা আলু একই দামে বিক্রি করছি। তবে মানের ভিক্তিতে ৫০ পয়সা থেকে এক টাকা কমবেশি হয়।

কারওয়ান বাজারের খুচরা বিক্রেতা মো. আকবর বলেন, আমরা প্রতি কেজি আলু ১৮ টাকায় বিক্রি করছি। আমরা কিনছি ১২ থেকে ১৪ টাকায়, পাল্লা প্রতি কিনছি ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। আবার আমাদের থেকে নিয়ে খুচরা বাজারে সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়।

পুরান ঢাকায় তাতীঁবাজারের বাসিন্দা রনক বসাক বলেন, তেল, পেঁয়াজ, মসলার দাম বাড়ার পাশাপাশি এবার আলুর বাজারেও আগুন। রায় সাহেব বাজারে যে আলু দশ দিন আগে ১৮ টাকায় কিনেছিলাম এখন তা ২৫ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এ রকম চলতে থাকলে না খেয়ে থাকতে হবে।

রায় সাহেব বাজারের খুচরা বিক্রতা মো. রেজওয়ান বলেন, আমরা পাইকারিভাবে ১৬ টাকায় কিনি। পরিবহণ খরচসহ আমাদের প্রতি কেজিতে ২০ টাকার উপর খরচ পড়ে য়ায়। তাই আমরা এখানে কেজিতে ২৫ টাকায় বিক্রি করি।

আড়তদার মো. ইউনুস বলেন, আজ থেকে তিন চার দিন ধরে আলুর দাম কম। এখন ১৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে আগে ছিল ১৫ থেকে ১৬ টাকা। ঈদের আগে দাম কম ছিল। এখন একটু বেশি। ঈদের আগে ১২ সাড়ে ১২ টাকা ছিল। আমরা এখন পাইকারিতে ১৩ টাকা সাড়ে ১৩ টাকায় বিক্রি করি।

মন্তব্য

Beta version