-->

বিএসটিআইর আরো ৮৯টি ল্যাব চালু হচ্ছে: শিল্পমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএসটিআইর আরো ৮৯টি ল্যাব চালু হচ্ছে: শিল্পমন্ত্রী
শিল্পমন্ত্রী, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন (ফাইল ফটো)

পণ্যের মান এবং ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিত করার জন্য বিএসটিআইকে বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হচ্ছে বলে জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এমপি।

এ লক্ষ্যে আরো অত্যাধুনিক ৮৯টি ল্যাবরেটরি স্থাপনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে তিনি জানান।

গতকাল রোববার রাজধানীর তেজগাঁওস্থ বিএসটিআই প্রধান কার্যালয়ের বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস-২০২২ উপলক্ষে বিএসটিআই আয়োজিত ‘ডিজিটিাল যুগে পরিমাপ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, বিএসটিআই সক্ষমতার দিক থেকে অনেকদূর এগিয়ে গেছে।

পণ্যের মান প্রণয়ন, পরীক্ষণ, মান সনদ প্রদান, সঠিক ওজন ও পরিমাপের নিশ্চয়তা বিধান, ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমস সনদ প্রদানের পাশাপাশি দেশিয় পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য ইতোমধ্যে হালাল সার্টিফিকেট প্রদান শুরু করেছে।

এ কার্যক্রম রপ্তানি বাণিজ্যে বিশাল ভূমিকা রাখবে।

বিএসটিআইর মহাপরিচালক (গ্রেড-১) ড. মো. নজরুল আনোয়ারের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি, শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা এবং এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৭৪ সালে বিএসটিআই আন্তর্জাতিক মান সংস্থা- আইএসও এর সদস্যভুক্ত হয় এবং ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ ন্যাশনাল কোডেক্স কনট্যাক্ট পয়েন্ট (এনসিসিপি) এর সদস্যপদ লাভ করে।

তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুরু থেকেই একটি শক্তিশালী ও আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে আসছেন।

বিএসটিআই’র টেস্ট রিপোর্ট যাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গ্রহণযোগ্য হয় সে লক্ষ্যে সরকার ও বিএসটিআই কাজ করে যাচ্ছে।’

পণ্য উৎপাদনে পরিমাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভোক্তারা যেন প্রতারিত না হয় সেজন্য লেনদেনের ক্ষেত্রে কাক্সিক্ষত মান ও সঠিক পরিমাপের পণ্য নিশ্চিত করতে হবে।

শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, পণ্যের মান প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের পাশাপাশি নিম্নমানের পণ্য উৎপাদন-সরবরাহ এবং ওজনে কারচুপি রোধকল্পে বিএসটিআই নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ও সার্ভিল্যান্স কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে লাইসেন্সবিহীন, নকল পণ্য উৎপাদনকারি ও পরিমাপে কারচূপিকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

ফলে অসাধু ব্যবসায়ীগণ সর্তক হচ্ছে এবং জনগণ সঠিক ওজন ও পরিমাপে পণ্য পাচ্ছেন।

এ ছাড়া বিএসটিআইর ল্যাবরেটরিতে রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস শিল্প, ঔষধ শিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পে ব্যবহৃত ওজন ও পরিমাপক যন্ত্র ক্যালিব্রেশন সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

প্রতিটি স্থল বন্দরে বিএসটিআইর অফিস স্থাপনের প্রস্তাব করে এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যেসকল স্থল বন্দর রয়েছে প্রতিটিতে বিএসটিআইর ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হলে আমদানি-রপ্তানি অনেক গতিশীল হবে।

তা ছাড়া বাংলাদেশের পণ্য ভারতে রপ্তানির জন্য বিএসটিআইর সার্টিফিকেট ভারতীয় কর্তৃপক্ষ যেন গ্রহণ করে সেজন্য উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাব করেন।

ফলে বাংলাদেশের খাদ্যপণ্য রপ্তানি অনেক বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া তিনি দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় স্থানীয় চেম্বার প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিকে সম্পৃক্ত করারও প্রস্তাব করেন।

 

মন্তব্য

Beta version