২৭ লাখ ৫০ হাজার ৬৮১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সোনালী ব্যাংকের ৯ কর্মকর্তার ১৭ বছর করে জেল হয়েছে।
২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি দুদকের উপসহকারী পরিচালক মুজিবুর রহমান রমনা মডেল থানায় অর্থ আত্মসাতের ওই মলাটি করেন।
মামলা তদন্ত করে ২০১৪ সালের ২২ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন দুদকের সহকারী পরিচালক মশিউর রহমান।
সোনালী ব্যাংকের সাড়ে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ৯ কর্মকর্তাকে দুই ধারায় ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত-৫-এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন বুধবার এ দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জন হলেন সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডি হুমায়ুন কবির, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মাইনুল হক, মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ননী গোপাল নাথ, উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শেখ আলতাফ হোসেন ও সফিজ উদ্দিন আহমেদ, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) কামরুল হোসেন খান ও সাইফুল হাসান এবং প্যারাগন নিট কম্পোজিট লিমিটেডের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা ও পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন।
সম্পত্তি আত্মসাতের দায়ে তাদের প্রত্যেককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২৭ লাখ ৫০ হাজার ৬৮১ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
এ টাকা প্রত্যেকের কাছ থেকে সমহারে রাষ্ট্রের অনুকূলে আদায় করা হবে।
প্রতারণার দায়ে প্রত্যেককে সাত বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। একসঙ্গে চলবে দুই ধারার সাজা। এ কারণে দণ্ডিতদের ১৭ বছর কারাভোগ করতে হবে।
রায় ঘোষণার সময় ডিএমডি মাইনুল হক, এজিএম সফিজ উদ্দিন আহমেদ, ডিজিএম শেখ আলতাফ হোসেন এবং এজিএম কামরুল হোসেন খান আদালতে হাজির ছিলেন।
রায়ের পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্য ৫ আসামি পলাতক।
তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম।
মামলা তদন্ত করে ২০১৪ সালের ২২ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন দুদকের সহকারী পরিচালক মশিউর রহমান।
মন্তব্য