দেশ-বিদেশে চলছে পদ্মা সেতু উদ্বোনের দিন-ক্ষণ গণনা। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরের দিন ২৬ জুন থেকে সাধারণের যাতায়াতের জন্য উন্মুক্ত করা হবে স্বপ্নের সেতুটি। ঢাকার সঙ্গে সড়ক পথে যুক্ত হবে ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ২১ জেলার জনগণ। আর কোরবানির ঈদের কয়েকদিন আগে এ ব্যবস্থার সুফল পাবেন গবাদি পশুর মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।
ফেরি বা ট্রলারে করে পদ্মা পাড়ি দিতে ঘনকালো মেঘের গর্জনে ব্যবসায়ীদের আত্মা আর আঁতকে উঠবেন না। নিশ্চিন্তে সড়ক পথে ঢাকা ও পাশ্ববর্তী হাটে পৌঁছাবেন ব্যাপারিরা। ফলে দাম বাড়া-কমার সঙ্গে এক হাট থেকে অন্য হাটে সহজে যেতে পারবেন পদ্মার দুই পাড়ের গৃহস্থ ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।
এদিকে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে। এ বছর মহানগরীর দুই সিটি করপোরেশনের অধীনে মোট ১৮টি অস্থায়ী পশুর হাট বসবে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অধীনে ৮টি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতায় বসবে ১০টি হাট। এসব হাটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খামারি, গরু ব্যবসায়ী ও ব্যাপারিরা নিয়ে আসছেন কোরবানি যোগ্য পশু। সড়ক পথে ট্রাকে করে যেমন, তেমনি নৌপথে বড় বড় নৌকাতে করেও আসে এসব গবাদিপশুর বহর।
সরকারের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত বছর দেশে ৯৫ লাখের মতো পশু কোরবানি করা হয়। চলতি বছর ১ কোটি ২১ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৯টি কোরবানিযোগ্য পশু (গরু, ছাগল, ভেড়া ও উট) রয়েছে, যা চাহিদার থেকে ২৩ থেকে ২৪ লাখ বেশি। এ বছর কোরবানিতে পশুর সংকট হবে না। যে জন্য দেশের বাইরে থেকে পশু আনা বন্ধে কঠোর অবস্থানে মন্ত্রণালয়। কোরবানিযোগ্য পশুর মধ্যে গরু ও মহিষের সংখ্যা ৪৬ লাখ ১১ হাজার ৩৮৩টি। ছাগল-ভেড়ার সংখ্যা ৭৫ লাখ ১১ হাজার ৫৯৭। এ ছাড়া উট, দুম্বা ও অন্যান্য পশুর সংখ্যা ১ হাজার ৪০৯টি।
এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৬ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৬টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫ লাখ ১২ হাজার ১১৪, রাজশাহী বিভাগে ২৭ লাখ ২৮ হাজার ৪৬০, খুলনা থেকে ৮ লাখ ৭৯ হাজার ২৫১, বরিশাল বিভাগে ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৫৪৩, সিলেট বিভাগে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৩৫৩, রংপুর বিভাগে ১০ লাখ ৩ হাজার ২৮১ ও ময়মনসিংহ বিভাগে ২ লাখ ৯ হাজার ৩৪৪টি রয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত বছর কোরবানির বাজারে ১ কোটি ১০ লাখ গবাদিপশু আসে। এর মধ্যে ২৩ লাখ পশু বিক্রিই হয়নি।
মন্তব্য