-->
শিরোনাম

তুরস্ক-বাংলাদেশ ব্যবসার ভবিষৎ অত্যন্ত উজ্জ্বল : ঢাকা চেম্বারের সভাপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
তুরস্ক-বাংলাদেশ ব্যবসার ভবিষৎ অত্যন্ত উজ্জ্বল : ঢাকা চেম্বারের সভাপতি

ঢাকা: ঢাকা চেম্বার সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেছেন- তুরস্ক-বাংলাদেশ দ্বি-পাক্ষিক ব্যবসা ও বিনিয়োগের ভবিষৎ সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল। ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও তুরস্কের দ্বি-পাক্ষিক বানিজ্য হয়েছে ৮৭১ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যদিও দ্বি-পাক্ষিক বানিজ্য বাংলাদেশের অনুকুলে রয়েছে তবে তা তরান্বিত করার জন্য দু’দেশের উদ্যোক্তাদে আরো বেশি হারে বিনিয়োগে উৎসাহিত হতে হবে।

 

তুরষ্ক সফররত ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)-এর প্রতিনিধিদলের সাথে ইস্তাম্বুল চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত ‘তুরস্ক-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করের। স্থানিয় সময় বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ইস্তাম্বুল চেম্বার অব কমার্সের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

 

অনুষ্ঠানের শুরুতে তুরস্ক চেম্বারের নির্বাহী কমিটির সদস্য বুরহান পোলাত তাঁর স্বাগত বক্তব্যে বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশ এর দ্বি-পাক্ষিক বানিজ্য সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তিনি উল্লেখ করেন দক্ষিন এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অত্যন্ত সম্ভাবনাময়, কারন দেশটি গত কয়েক দশকে ব্যবসা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে।

 

তিনি বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়নে বাজার সম্প্রসারনের পাশাপাশি রপ্তানিমুখী পণ্যের বহুমুখীকরনের উপর জোরারোপ করেন। তিনি আরো বলেন বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের জন্য তুরস্ক একটি অপার সম্ভাবনাময় বাজার হতে পারে। সম্প্রতি বাংলাদেশ চামড়া, ঔষধ, তৈরি পোষাক ও হালকা প্রকৌশল শিল্পে আশাব্যঞ্জক উন্নতি স্বাধন করতে পেরেছে।

 

এছাড়া ও তিনি দুদেশের বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদেরকে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করার আহ্বান জানান। তিনি দুদেশের বানিজ্য সম্প্রসারনে বানিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব করেন। ইস্তাম্বুল চেম্বার অব কমার্স প্রায় ৬ লক্ষাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্বলিত বিশে^র অন্যতম বৃহৎ বানিজ্য সংগঠন। বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের এ দেশে ব্যবসা সম্প্রসারনে ইস্তাম্বুল চেম্বার অব কমার্সের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগীতা করা হবে বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন।

 

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন, দু’দেশের উদ্যোক্তাদে আরো বেশি হারে বিনিয়োগে উৎসাহিত হতে হবে। কারন- বর্তমান বানিজ্যের পরিমান মোটেও সন্তোষজনক নয়। তুরস্ক বাংলাদেশের জন্য ২৩তম বৃহৎ রপ্তানি গন্তব্যস্থল। বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগকারী দেশসমূহের মধ্যে তুরস্ক ২৯তম বৃহত্তম দেশ যে দেশের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে ইতোমধ্যে ৩০ দশমিক ৫১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ করেছে। তিনি উল্লেখ করেন ডি-৮ ভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে কার্যকর অর্থনৈতিক যোগাযোগ স্থাপনে বাংলাদেশ ও তুরস্ক যৌথভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে।

 

তিনি বাংলাদেশের শিল্পখাতের আধুনিকায়নে তুরস্কের প্রযুক্তি সহায়তা প্রদান, এসএমই খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি, যৌথ গবেষণা কার্যক্রম এবং এগ্রো ভেলু চেইনের উন্নয়নে তুরস্ককে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

 

তিনি তুরস্কের বিনিয়োগকারিদের বাংলাদেশে আরো বেশি হারে বিনিয়োগের আহ্বান জানান এবং বাংলাদেশ থেকে আরো অধিক পণ্য আমদানি করার অনুরোধ করেন।

 

ডিসিসিআই জানিয়েছে- বিজনেস ফোরাম শেষে ঢাকা চেম্বারের প্রতিনিধিবৃন্দের সাথে ইস্তাম্বুল চেম্বারের প্রায় ৩৫০টির বেশি সদস্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যকার বিটুবি ম্যাচ-মেকিং অনুষ্ঠিত হয়।  যেখানে দুদেশের উদ্যোক্তাবৃন্দ বিনিয়োগ সম্ভাবনা, বানিজ্য সম্প্রসারন নিয়ে আলোচনা করেন। বিটুবি সেশনে অংশগ্রহণকারী তুরস্কের উদ্যোক্তাবৃন্দ বাংলাদেশে বিনিয়োগের ইতিবাচক আগ্রহ প্রকাশ করেন।

 

এছাড়াও ইস্তাম্বুল চেম্বারের সভাপতি সেকিব এভডাচিভ এবং ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ তুরষ্ক-এ মধ্যকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা বৃদ্ধিতে ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের নেতৃত্বে ৮৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদলর বর্তমানে তুরষ্ক সফর করছে।

 

ভোরের আকাশ/জেএস/

মন্তব্য

Beta version