-->

ইউরোপেও বেড়েছে পোশাক রপ্তানি

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইউরোপেও বেড়েছে পোশাক রপ্তানি

ঢাকা: ইউরোপীয় কমিশনের  পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাট, ২০২২ সালের জানুয়ারি-জুন মাসে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের পোশাক রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যাচ্ছে- গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৪ দশমিক ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের অফিসিয়াল ডেটা সোর্স ‘অফিস অফ টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল (ওটেক্সা) ২০২২ সালের জানুয়ারী থেকে জুলাই মাসের বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে সর্বশেষ পোশাক আমদানি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছিল। অঞ্চলটিতেও ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি ৫৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তারা জানিয়েছে।

 

ইউরোপের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই ছয় মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানী প্রবৃদ্ধি সর্বোচ্চ ছিল। এই সময়ে, বাংলাদেশ থেকে  ইউরোপে পোশাক রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৪ দশমিক ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে তাদের বৈশ্বিক আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে ২৫ দশমিক ০৩ শতাংশ। ডলার হিসেবে এর পরিমান ১১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

 

তথ্য মতে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ পোশাক আমদানির উৎস হলো চীন। উল্লেখিত সময়ে চীন থেকে ইউরোপের পোশাক আমদানি  ২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়েছে। চীন থেকে তাদের আমদানি  ১২ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

 

অপরদিকে, তুরস্ক ইউরোপীয় ইউনিয়নের তৃতীয় বৃহত্তম পোশাকের উত্স হওয়ায়, তুরস্ক থেকে ইউরোপের পোশাক আমদানী ২০ দশমিক ৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে ইউরোপ  তুরস্ক থেকে ১০ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের পোশাক আমদানি করেছে। 

 

একই সময়ে ইউরোপের অন্যান্য শীর্ষ পোশাক আমদানীর উৎস যেমন কম্বোডিয়া পাকিস্তান  ইন্দোনেশিয়া এবং ভারত থেকে আমদানী যথাক্রমে  ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ, ৪০ দশমিক ১৫ শতাংশ, ৩২ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং ২৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ  হারে বেড়েছে।    

 

বিজিএমইএ’র পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন- মুলত করোনা মহামারী থেকে ঘুরে দাঁড়ানো এবং ভোক্তাদের কেনাকাটা বৃদ্ধির ফলে ইউরোপের খুচরা বিক্রয় স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বৃদ্ধি পায়। তবে, মুল্যস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে মন্দার কারণে ২০২২ সালের বাকি সময়টিতে প্রবৃদ্ধির এই ঊর্ধ্বমুখী ধারা কতটা টিকে থাকবে সেটি ভাবনার বিষয়।

 

এছাড়া, অস্বাভাবিক দীর্ঘ গ্রীষ্মের কারনে শীতের পোশাক চাহিদাও  ইউরোপে বর্তমানে তুলনামুলকভাবে কম।   

 

তিনি বলেন, লক্ষণীয় বিষয়, বাংলাদেশের মোট পোশাক রপ্তানি আগস্ট ২০২২ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য হারে প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছিল, ফলে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের আমদানি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে পারে। তবে পরবর্তীতে অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে খুচরা বিক্রয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় ক্রেতারা আপাতত সতর্ক অবস্থানে আছেন।

 

ভোরের আকাশ/জেএস/

মন্তব্য

Beta version