-->
শিরোনাম

এফবিসিসিআই সেফটি কাউন্সিলের প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
এফবিসিসিআই সেফটি কাউন্সিলের প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু

ঢাকা: শিল্পে নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে সেফটি কাউন্সিলের প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছে দেশের ৪টি চেম্বার ও ১২টি অ্যাসোসিয়েশনের সেফটি সেল ও আইএলও’র প্রতিনিধিরা।

 

শনিবার (০১ অক্টেবর) এফবিসিসিআই কার্যালয়ে বেসিক ওএসএইচ অ্যান্ড ওএসএইচ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম শীর্ষক দু’দিন ব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উদ্বোধন করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। এসময় তিনি নিরাপদ কর্মপরিবেশের জন্য উদ্যোক্তাদের পর্যাপ্ত বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

 

জসিম উদ্দিন বলেন, দেশের সকল শিল্পে পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তরের পথে শিল্পকে নিরাপদ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সভাপতি বলেন, দেশের অনেক খাতই বিশ্বমানের পণ্য তৈরি করে। শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা গেলে এসব পণ্য রপ্তানির সম্ভাবনা তৈরি হবে।

 

বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পদার্পন করলে শোভন কর্মপরিবেশের বিষয়টি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এফবিসিসিআই’র সহযোগীতায় বিডা দেশের ৫ হাজার ২’শ মতো কারখানার পরিদর্শন কার্যক্রম শেষ হয়েছে বলে জানান জসিম উদ্দিন।

 

কারখানায় পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে শিল্পমালিকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে সভাপতি বলেন, শোভন কর্মপরিবেশ পেলে কর্মীর উৎপাদন সক্ষমতাও বেড়ে যায়। তাই নিরাপদ কর্মপরিবেশের জন্য অর্থব্যয়কে বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করার আহ্বান তিনি।

 

এর আগে সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, নিরাপদ কর্মক্ষেত্র তৈরিতে এফবিসিসিআই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সে লক্ষ্যেই বর্তমান পর্ষদ এফবিসিসিআইতে সেইফটি কাউন্সিল স্থাপন করেছে।

 

সেইফটি কাউন্সিলের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মো. শাহীদ উল্লাহ জানান, সেইফটি কাউন্সিলের মাধ্যমে শিল্পের কারখানা পর্যায়ে সেইফটি কমিটি বা ইউনিট গঠন করা হবে। কারখানার কর্মীদের সঠিক ভাবে নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ দেয়া হলে শিল্পে দুর্ঘটনা অনেক কমে আসবে বলে মন্তব্য করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মো. শাহীদ উল্লাহ।

 

দু’দিনের কর্মশালায় চেম্বার ও খাত ভিত্তিক সমিতির অকুপেশনাল সেইফটি অ্যান্ড হেলথ, সেইফটি সেলের দায়িত্ব, পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার গুরুত্ব, ধারণা, উপকারীতা, বিপদ ও ঝুঁকি চিহ্নিতকরণ ও মূল্যায়ন, ওএসএইচ সম্পর্কিত আইনি ও নীতি, ব্যবস্থাপনা, কার্যকর ওএসএইচ বাস্তবায়নের কর্মকৌশল, মালিক ও শ্রমিকের ভূমিকা, অগ্নি নিরাপত্তা, উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসা, পেশাগত দুর্ঘটনা ও কর্মক্ষেত্রে অসুস্থতা, ওএসএইচ বাস্তবায়নে আন্ত:যোগাযোগ ও জ্ঞান ব্যবস্থাপনার ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।

 

ভোরের আকাশ/জেএস/

মন্তব্য

Beta version