দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ তহবিল থেকে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ সুদে ঋণ পাবেন কৃষক।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক কৃষিঋণ বিভাগ এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো এ সার্কুলারে বলা হয়, বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য অস্বাভাবিক বেড়েছে। এতে বিশ্বে খাদ্যসংকটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উৎপাদন বাড়ানো প্রয়োজন। কৃষি খাতে স্বল্প সুদহারে ঋণপ্রবাহ বজায় রাখার জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার একটি স্কিম গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
কৃষি ও পল্লি ঋণ নীতিমালার আওতাভুক্ত ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগের সঙ্গে একটি অংশগ্রহণ চুক্তির মাধ্যমে এ সুবিধা নিতে পারবেন। এসব ব্যাংকগুলোর চাহিদা, কৃষি ও পল্লিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা, ঋণ বিতরণের সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে কৃষিঋণ বিভাগ তহবিল বরাদ্দ করবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে দশমিক ৫০ শতাংশ সুদে অর্থ নিয়ে কৃষক পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ সুদে ঋণ বিতরণ করবে ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনবোধে বরাদ্দকৃত তহবিলের পরিমাণ পুনর্নির্ধারণ করতে পারবে।
সার্কুলারে আরো বলা হয়, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কৃষি খাতের জন্য পুনঃঅর্থায়ন স্কিমটির আকার ৫ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব অর্থায়নে গঠিত এ স্কিমটির মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। প্রয়োজনে তহবিলের অর্থের পরিমাণ ও মেয়াদ বাড়ানো হবে।
সার্কুলারে আরো বলা হয়, এ তহবিলের অধীনে ব্যাংকগুলো নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করবে। ক্ষুদ্র, প্রান্তিক, বর্গা চাষি ও ফসল (ধান, শাকসবজি, ফুল ও ফল) চাষের জন্য সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করতে পারবে ব্যাংকগুলো। ঋণ পরিশোধে কৃষক বা গ্রাহক তিন মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ ১৮ মাস সময় পাবেন। তবে এ তহবিলের ঋণ কোনোভাবেই গ্রাহকের পুরোনো ঋণের সমন্বয় করতে পারবে না।
ভোরের আকাশ/আসা
মন্তব্য