-->
শিরোনাম

কমেছে মোটা চালের দাম, সবজি-ডিমেও স্বস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক
কমেছে মোটা চালের দাম, সবজি-ডিমেও স্বস্তি

দীর্ঘদিন পর কমতির দিকে চালের দাম। তবে শুধু মোটা চালের দামই কমেছে। স্বর্ণা ও পাইজাম জাতের চালের দাম কমেছে কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত। তবে এখনো অপরিবর্তিত সরু চালের দাম। এছাড়া বাজারে শীতের সবজির দামও বেশ কম। ডজনে ৫ টাকা কমেছে ডিমের দামও।

 

শুক্রবার রাজধানীর রামপুরা, হাজিপাড়া, মালিবাগ ও সেগুনবাগিচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র। রামপুরা বাজারের বিক্রমপুর চাল ভাণ্ডারের শুকুর আলী বলেন, আমনের মোটা চাল বাজারে এসেছে। ফলে এখন চালের সরবরাহ ভালো। এ কারণে মোটা চালের দাম কমেছে।

 

তিনি বলেন, স্বর্ণা জাতের চাল আগে প্রতি কেজি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হতো। সেটা এখন ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেশি কমেছে পাইজাম জাতের চালের দাম। আগে ৫৮-৬০ টাকার চাল এখন ৫৫-৫৭ টাকায় নেমেছে।

 

শুকুর আলী বলেন, সরবরাহ ভালো থাকলে মোটা চালের দাম আরো কমতে পারে। তবে চিকন চালের দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। আগের দামেই আছে। তিনি জানান, সাধারণ মানের বিআর-২৮ চালের কেজি ৬৪-৬৬ টাকা, মিনিকেট ৭০-৭৪ টাকা এবং ভালো মানের নাজিরশাইল ৭৫-৮০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।

 

এদিকে, এখন বাজার ভরপুর শীতের সবজিতে। সরবরাহ ভালো থাকায় স্বস্তি এসেছে সবজির বাজারে। ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরের মধ্যে কেনা যাচ্ছে নতুন আলু, শিম, মুলা, শালগম, পেঁপে, বাঁধাকপি, ফুলকপি। তবে সারা বছর পাওয়া যায় এমন সবজি কিনতে হচ্ছে কিছুটা বেশি দামে। তারপরও বেগুন, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, বরবটি ৫০-৬০ টাকায় মিলছে।

 

হাজীপাড়া বউ বাজারের সবজি বিক্রেতা শাহাদাত হোসেন বলেন, সব সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কম। শীতের সবজির প্রচুর সরবরাহ রয়েছে। সেগুলো দাম কমার কারণে সারা বছর যেসব সবজি পাওয়া যায় সেগুলোর দামও কেজিতে ৫-১০ টাকা কমেছে।

 

একই সঙ্গে বাজারে নতুন পেঁয়াজ ওঠায় দাম কমেছে। নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। তাতে কমে এসেছে আমদানি ও পুরোনো দেশি পেঁয়াজের দামও। সেগুলো এখন কেজিতে ৫ টাকা কমে ৪০ থেকে ৪৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। আদা বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা এবং রসুন ৮০-১০০ টাকা।

 

অন্যদিকে, সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আগের সপ্তাহের মতো আজও প্রতি কেজি ১৪৫-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। তবে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কমেছে। বর্তমানে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা ডজন। পাইকারি বাজার থেকে কিনলে আরো ৫ টাকা কমে পাওয়া যাচ্ছে।

 

সবজি-চালের বাজারে স্বস্তির খবর থাকলেও কোনো সুখবর নেই মুদি পণ্যে। বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিনির দাম ১১৫-১২০ টাকা কেজি। কমেনি মসুর ডাল ও আটা-ময়দার দাম। খুচরায় প্রতি কেজি মসুর ডাল এখনো ১৩০-১৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি আটার দাম ৭০ টাকা ও ময়দা ৭৫ টাকা।

 

ভোরের আকাশ/আসা

মন্তব্য

Beta version