-->
শিরোনাম
জামিনের শর্ত পালনে গড়িমসি সাবেক চেয়ারম্যান তাজুলের

১১২ কোটি টাকা ফেরত চান আজিজ কো-অপারেটিভের গ্রাহকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
১১২ কোটি টাকা ফেরত চান আজিজ কো-অপারেটিভের গ্রাহকরা

দেশের সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগের শর্ত মেনে জামিনে কারামুক্তি পেলেও গত আড়াই মাসে গ্রাহকের আত্মসাৎ করা ১১২ কোটি টাকা ফেরত দেননি সমবায়ী প্রতিষ্ঠান আজিজ কো-অপারেটিভের সাবেক চেয়ারম্যান এম তাজুল ইসলাম। এ অবস্থায় তার কাছ থেকে এ বিপুল পরিমাণ টাকা আদায়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশপ্রধান ও সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে সহযোগিতা এবং তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সমবায়ী প্রতিষ্ঠান আজিজ কো-অপারেটিভের গ্রাহকরা।

 

রোববার সকালে ঢাকায় ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম মিলনায়তনে আয়োজিত আমানতকারী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

 

এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শেখ আছাদুর রহমান পিয়ারুল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আমানত স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক এসএম হারুনার রশিদ, যুগ্ম আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন, আব্দুল হামিদ, কমিটির সদস্য শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

 

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলা, সিআইডির মানিলন্ডারিং মামলা ও গ্রাহকের করা অর্ধশতাধিক মামলায় ২০১৯ সালের ১১ জুলাই গ্রেপ্তার হয়ে কারারুদ্ধ হন আজিজ কো-অপারেটিভের সাবেক চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম। এরপর ৬ মাসের মধ্যে গ্রাহকের ১১২ কোটি ফেরত দেয়ার শর্তে তাজুল ইসলামকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ৬ মাসের জামিন দেন গত বছরের ৫ ডিসেম্বর। এরপর মুক্তি পান তিনি। কিন্তু প্রায় আড়াই মাস পার হতে চললেও তিনি টাকা ফেরত দেননি। টাকা ফেরতে চাইতে গেলে তার সব অপকর্মের হোতা ভাই রফিকুল ইসলাম, ছেলে সাজ্জাদুল ইসলাম তানভীর, স্ত্রী আফরোজা পারভীন, আজিজ কো-অপারেটিভ শপিং মলের সাবেক মার্কেটিং প্রধান সাইফুল, রাকিব ও সহকারী প্রকৌশলী আলিফ বর্তমান কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গ্রাহককেক নানা মাধ্যমে হুমকি দিচ্ছেন। তাজুল ইসলামের এসব সহযোগীর নামে থাকা বিভিন্ন মামলায় জামিনে না থাকলেও তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তাজুল ইসলামের কাছ থেকে টাকা ফেরত পেলে বন্ধ শাখার গ্রাহক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপকৃত হওয়ার পাশাপাশি চলমান শাখাগুলো আরো ভালো করতে পারবে। এজন্য টাকা ফেরত পেতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশপ্রধান ও সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে সহযোগিতা ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। একইসঙ্গে তাজুল ইসলাম ও তার সহযোগীদের শাস্তি দাবি করেছেন। এদিকে লোপাট হওয়া টাকা ফেরত না পাওয়ায় ১১ হাজার গ্রাহক ও তিন শতাধিকের বেশি কর্মকর্তা কর্মচারী মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বন্ধ হয়ে যাওয়া ঢাকা, খুলনা, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গ্রাহকের চাপে এখন এলাকা ছাড়া। এছাড়া চলমান শাখাগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

 

ভোরের আকাশ/আসা

মন্তব্য

Beta version