বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্য ইউরোপের বাজারে রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ, ৯ মাস সময়ে এ চিত্র উঠে এসেছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইপিবির তথ্য থেকে জানা যায়, এ ৯ মাসে মোট রপ্তানি ৩৫.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-মার্চ) ছিল ৩১.৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমান সময়ের জন্য রপ্তানিতে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২.১৭ শতাংশ। মোট ৩৫.২৫ বিলিয়ন রপ্তানি আয়ের মধ্যে ৪৯.৯৬ শতাংশ ইইউ থেকে, ১৭.৭৬ শতাংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে, ১০.৯১ শতাংশ যুক্তরাজ্য থেকে, ৩.০৯ শতাংশ কানাডা থেকে এবং ১৮.২৮ শতাংশ অপ্রচলিত বাজার থেকে এসেছে।
এদিকে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে আমাদের পোশাক রপ্তানি ১১.৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৭.৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে ছিল ১৫.৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
উল্লেখিত সময়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রধান বাজারগুলোর মধ্যে জার্মানিতে রপ্তানি পূর্ববর্তী অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪.১৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যেখানে ফ্রান্স এবং স্পেনে আমাদের রপ্তানি যথাক্রমে ২৫.২৩ এবং ১৮.৮২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অন্যদিকে পোল্যান্ডে রপ্তানি ১৪.৮৬ শতাংশ কমেছে। এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএর পরিচালক ও ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, বিজিএমইএ নতুন বাজার অনুসন্ধান নিয়ে কাজ করছে, পাশাপাশি আমরা ব্যবসায় গতিশীলতা আনয়ন ও সহজীকরণের জন্য নীতি সংস্কার নিয়ে কাজ করছি।
আমাদের এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে এবং নতুন সুযোগগুলো কাজে লাগানোর জন্য নতুন পণ্য এবং নতুন বাজারে আমাদের শিল্পের শক্তি ও সক্ষমতা বৈশ্বিক ক্রেতাদের (বিদ্যমান এবং নতুন) সামনে উপস্থাপন এবং হাইলাইট করার উপযুক্ত সময় এখনই। দীর্ঘমেয়াদে এটি আমাদের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
উল্লিখিত সময়কালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে বছরওয়ারি ৫.০১ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়ে রফতানি দাঁড়িয়েছে ৬.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়া যুক্তরাজ্য এবং কানাডায় আমাদের রপ্তানি যথাক্রমে ১৪.০৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ ৩.৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ১৭.৬৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ ১.০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
অন্যদিকে একই সময়ে অপ্রচলিত বাজারে পূর্ববর্তী ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ এর তুলনায় আমাদের পোশাক রপ্তানি ৩৪.৭৪ শতাংশ বেড়ে ৪.৭৮ বিলিয়ন থেকে ৬.৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলির মধ্যে, জাপান, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ কোরিয়াতে আমাদের রপ্তানি পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় যথাক্রমে ৪৩.৭৯ শতাংশ, ৫৮.৩৮ শতাংশ, ৪২.২২ শতাংশ, ৮২.৪৯ শতাংশ, ৭৩.১৫ শতাংশ এবং ৩৪.৬৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য