দীর্ঘদিন পর সয়াবিন তেলের দাম সামান্য কমেছে। এছাড়া কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। একইভাবে সবজির দরও কিছুটা কমেছে। তবে এখনো মাছের বাজারে স্বস্তি ফেরেনি। চড়া দরে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাছ। বর্তমানে আগের চেয়ে সয়াবিন লিটারে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির দামও গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে কমেছে ৩০ টাকা। যদিও বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের আগে দাম আবার বাড়তে পারে। আর কোরবানির ঈদ আসার আগে থেকেই বেড়ে চলেছে জিরার দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে জিরার দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫০ টাকা।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা যায়, বাজারে ইলিশ মাছের কেজি ১৬০০-২০০০, রুই ৩৭০-৪৫০, কাতল ৫০০-৬০০, কালিবাউশ ৫০০, চিংড়ি ১০০০, কাঁচকি ৫০০, টেংরা ৬৫০, পাবদা ৫০০ টাকা, শিং ৫০০ টাকা। এছাড়া ব্রয়লার মুরগি ১৭৭-১৮২, কক মুরগি ২৩০-২৫০, দেশি মুরগি ৬০০, গরুর মাংস ৭৭০-৭৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ২০৭-২১৫ টাকা, কক মুরগি ২৩০-২৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। মুরগির বিক্রেতারা, ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। তবে ঈদের আগে আবার দাম বেড়ে যাবে।
এছাড়া মুদি দোকান ঘুরে জানা যায়, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের আজকের দাম দর। সয়াবিন তেলের দাম কমেছে ১০ টাকা কেজিতে। আগে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের (প্যাকেট) দাম ছিল ১৯৯ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ছিল ১৭৮ টাকা। দাম কমে তা হয়েছে লিটারপ্রতি প্যাকেট সয়াবিন তেল ১৮৯ টাকা আর খোলা সয়াবিন তেল ১৭০ টাকা। সয়াবিন তেলের দাম কমলেও বেড়েছে জিরার দাম। খুচরা জিরার কেজি ৮৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০০ টাকা কেজি।
বিক্রেতারা জিরার দাম বেড়েই যাচ্ছে। ঈদ আসতে আসতে আরো দাম বাড়বে। গত সপ্তাহে আমার জিরার কেনা দাম ছিল ৭৮০ টাকা, বিক্রি করেছি ৮০০ টাকায়। আজকে আমার জিরা কেনা ৮৩০ টাকা আর বিক্রি করছি ৮৫০ টাকায়। এছাড়া অন্যান্য পণ্যের দাম রয়েছে আগের মতোই। মসুরের ডাল ১৩০, মুগ ডাল ১২০, খেসারি ডাল ৮০, বুটের ডাল ৯৫, ছোলা ৮৫, চিনি ১৩০, আটা ১৩০ (২ কেজির প্যাকেটে), খোলা ময়দা ৬৩ ও খোলা সরিষার তেল ২৫০ টাকা লিটার।
কাঁচাবাজারে সবজির দাম গত সপ্তাহের সঙ্গে তুলনা করলে রয়েছে প্রায় অপরিবর্তিত। বেগুনের কেজি ৭০-৮০, শসা ৭০, করলা ৭০-৮০, পেঁপে ৭০, কাঁকরোল ৭০, গাজর ১২০, টমেটো ১০০, মিষ্টিকুমড়া ৪০, চালকুমড়া ৫০, ঢ্যাঁড়স ৫০, পটোল ৬০-৭০, চিচিঙ্গা ৬০-৮০, ধুন্দল ৭০-৯০, সজনে ১২০, বরবটি ৭০, কচুরমুখী ৮০, কাঁচামরিচ ১০০ ও ধনেপাতা ১২০ টাকা কেজি। লাউ ৬০-৭০ টাকা পিস। এছাড়া আদা ৩০০, দেশি রসুন ১৫০-১৬০, ইন্ডিয়ান রসুন ১৬০-১৭০, দেশি পেঁয়াজ ৭০-৮০, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৪০-৪৫ ও আলু ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ভোরের আকাশ/আসা
মন্তব্য