সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আলাদা তহবিল গঠনের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকৃতির কারণে সড়ক বেশি ভাঙছে বলেই এ নির্দেশনা দিয়েছেন সরকারপ্রধান।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড শামসুল আলম সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় পরিকল্পনা কমিশনের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, রাজনীতির নামে যা চলছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। যখন দেশে ইতিবাচক পরিবর্তন হচ্ছে, তখন সেখানে বিনাসী কাজ পরিত্যাগ করা উচিত।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে তিনি বলেন, চলমান প্রকল্পগুলোর কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি যেসব প্রকল্পের বিদেশি চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে সেসব প্রকল্পের ঋণ দ্রুত ছাড় করতেও তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন, দেশে বর্তমানে সড়কের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে সড়ক বেশি ভাঙছে। এগুলো মেরামত করতে হিমশিম খেতে হয়। এজন্য উন্নত সড়কগুলো থেকে টোল আদায় করে মেরামত ব্যয় ব্যবস্থাপনা তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিতে হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জনগণের ওপর ভরসা করে আবারও বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসবে। কোনো ধ্বংসাত্মক কাজে নেই আওয়ামী লীগ। কাজেই দেশের জনগণ আমাদের ভোট দেবে এবং আমরা পুনরায় ক্ষমতায় আসবো।
একনেক সভায় মোট ৩৭টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৫২ হাজার ৬৬৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ২১ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকা এবং ২৯ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে। একনেক সভায় মোট ৪৬টি নতুন ও সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩৭টি প্রকল্প অনুমোদন দেন। বাকি প্রকল্পগুলো পরবর্তী একনেক সভায় উত্থাপনের জন্য বলেছেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিত কর্মকার।
একনেক কার্যপত্র অনুযায়ী, মোট প্রকল্পের মধ্যে ৪৪টি ও টেবিলে দুটিসহ মোট ৪৬টি নতুন ও সংশোধিত প্রকল্প এবং ৬টি ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া মেয়াদ বৃদ্ধির প্রকল্প একনেকে তোলা হয়। এছাড়া ৩২টি প্রকল্প পরিকল্পনামন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে অনুমোদন দিয়েছেন। যেগুলো একনেক সভায় অবহিত করা হয়েছে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য