মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড প্রতিষ্ঠিত হয় ৫ ই জুন ১৯৯৬ সালে। বাংলাদেশের ২য় প্রজন্মের জীবন বীমা কোম্পানি মেঘনা লাইফ। জীবন বীমা কর্পোরেশন,ডেল্টা লাইফ,ন্যাশনাল লাইফের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মকর্তাগণ মেঘনা লাইফের এমডি ডিএমডি হিসেবে কোম্পানি পরিচালনা করে আসছেন। এরই মধ্যে একটি বিদেশি মালিকানাধীন কোম্পানি (মেটলাইফ-আলিকো) শহরভিত্তিক বিশেষ করে এলিট পারসনদের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠে।
তবে,তারা গ্রামভিত্তিক বীমা সুবিধা দিতে খুব একটা আগ্রহী নয়। অথচ,বাংলাদেশের বেশীরভাগ মানুষই গ্রামে বসবাস করেন। বিভিন্ন পেশার সাথে সম্পৃক্ত থেকে জীবিকা নির্বাহ করেন। বাংলাদেশের বেশীরভাগ মানুষ নিম্নআয়ের মানুষ। তাদের সামাজিক নিরাপত্তা, পারিবারিক আয় নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অবসরকালীন আয় নিরাপত্তা নেই বললেই চলে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশী কোম্পানিগুলো দীর্ঘদিন যাবত গ্রামভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে ।
কিন্তু কিছু কারণে তেমন বেশী জনপ্রিয়তা ও আস্থা তৈরী করতে পারেনি। এরমধ্যে অন্যতম সমস্যাগুলো ছিলো কমশিক্ষিত এজেন্ট দিয়ে কাজ করানো, আবার উক্ত এজেন্টের যথাযথ প্রশিক্ষণের অভাব, ক্যাশ টাকার লেনদেন, হাতে লেখা রিসিট, পলিসির জন্য পর্যাপ্ত ডকুমেন্টস না নেয়া,বীমা সুবিধা না বুঝিয়ে বেশী মুনাফার লোভ দেখিয়ে পলিসি বিক্রি করা, স্বাস্থ্যপরীক্ষাবিহিন পলিসি বিক্রি করা ইত্যাদি। যুগের বিবর্তনে ও সরকারের সদিচ্ছার কারণে বর্তমান প্রেক্ষাপটে ইন্স্যুরেন্স সেক্টর ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।
২০১১ সালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কর্তৃক বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গঠন হওয়ার পর বীমা সেক্টরের উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু যুগোপযোগী উদ্যাগ গ্রহণ করা হয়। যেমন - সকল কোম্পানির মার্কেটিং এর পদবীগুলো একই নামে হওয়া (ঋঅ,টগ,ইগ) এজেন্ট কমিশন একই রকম হওয়া, ডিজিটাল সেবা প্রদান,ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে প্রিমিয়াম জমা দেয়া, প্রিন্ট রিসিটের পরিবর্তে ই-রিসিট প্রদান, অনলাইন পদ্ধতিতে (ইঊঋঞঘ) সহজ ও দ্রুততার সহিত বীমা দাবী পরিশোধ ইত্যাদি। ২০২২ সালের শেষের দিকে স্মার্ট ডিভিশনের জিএম শফিকুল ইসলাম কানন কোম্পানির উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে স্মার্ট ডিভিশন করার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব তুলে ধরে প্রস্তাব দেন। এরপর স্মার্ট কোম্পানিসমূহের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে মেঘনা লাইফের চেয়ারম্যান ও সিইও প্রয়োজনীয় পরামর্শ নেন এবং পর্যালোচনা করেন।
২০২৩ সালে মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দীন আহমদ ও সিইও জনাব এন.সি রুদ‘র ঐকান্তিক ইচ্ছায় ‘স্মার্ট ডিভিশন’ নামে একটি মডেল প্রজেক্ট চালু করা হয়। পরবর্তীতে পুরো কোম্পানির কার্যক্রম স্মার্টলি করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এই ডিভিশন পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয় মেটলাইফ আলিকো ও চার্টার্ড লাইফের সাবেক সফল ম্যানেজার,সোনালী লাইফের সফল এজেন্সি ডিরেক্টর, বাংলাদেশের বীমা সেক্টরে সাড়া জাগানো কিংবদন্তি বীমা ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ সাজিদুল আনোয়ারকে। ২০২৩ সালের (১ মার্চ) জাতীয় বীমা দিবসের দিনই তিনি মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও স্মার্ট ডিভিশন প্রদান হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হোন। তার দীর্ঘদিনের পেশাগত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ইতিমধ্যে বেশ কিছু সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট করেছেন।
স্মার্ট ডিভিশনে যা যা সিস্টেম ইতিমধ্যে ডেভেলপমেন্ট করা হয়েছে তা হলো-- ১. এক সপ্তাহের মধ্যে বীমা দলিল প্রদান। ২. কাস্টমার কেয়ার ফোন কল এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৩. কোন প্রকার সার্ভিস চার্জ ছাড়া বিকাশ নগদে প্রিমিয়াম জমা নিশ্চিত করা হয়েছে। ৪. মার্কেটিং এর কর্মকর্তাদের জন্য ংসধৎঃ ধমবহপু ধঢ়ঢ় ডেভলপ করা হয়েছে। ৫. গ্রাহকদের জন্য ংসধৎঃ সবমযহধ ষরভব ধঢ়ঢ় ডেভলপ করা হয়েছে। ৬. প্রত্যেকটা এফ এ অনলাইনে পলিসি এন্টি দিয়ে ঋচজ করতে পারছে। ৭. গ্রাহকের রশিদ ডাউনলোড করে যে কোন সময় গ্রাহকের হাতে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে। ৮. ডেফার্ট ও নবায়ন প্রিমিয়াম জমা হওয়ার সাথে সাথে অটো ঙজ হচ্ছে। ৯. কর্মীবান্ধব সেলস পলিসি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। (কমিশন, মাসিক এলাউন্স, বার্ষিক ইনসেন্টিভ, লিডারস ক্লাব সুবিধা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, ফ্যামিলি গ্রুপ হেলথ কভারেজ।) ১০. কমিশন ও এলাউন্স প্রতিমাসের ২ তারিখ প্রদান করা হচ্ছে। ১১. সেলারী কমিশনের জন্য যেকোনো ব্যাংকের একাউন্ট নং গ্রহণযোগ্য। ১২. পরিচয়পত্র (ওউ ঈধৎফ) ও ভিজিটিং কার্ড প্রদান করা হচ্ছে। ১৩. প্রতিমাসেই উন্নতমানের ক্যারিয়ার প্রেজেন্টেশন, পলিসি প্রেজেন্টেশন, আইটি ও লিডারশীপ ট্রেনিং করানো হচ্ছে। ১৪. নুন্যতম ক্রায়টেরিয়ায় ইউনিট, ব্রাঞ ও সেলস এই তিনটি ক্যাটাগরিতে ব্রান্ডেড ফার্নিচার ও আসবাবপত্র দিয়ে আধুনিক অফিস বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। ১৫. স্মার্টলি পলিসি প্রেজেন্টেশন, ক্যারিয়ার প্রেজেন্টেশন, পলিসি এন্ট্রি ও অনলাইন রিক্রুটমেন্টের জন্য ক্যাটাগরি ভিত্তিতে এফ. এ,ইউ,এম ও বিএম দের ল্যাপটপ প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া আরো অনেক কাজ চলমান রয়েছে। আমরা বেশ কিছু স্বপ্নবাজ, উদ্যমী ও পরিশ্রমী মানুষকে একজন সফল বীমা পেশাজীবি হিসেবে তৈরী করতে চাই। যারা ভবিষ্যতে বীমা শিল্পে নেতৃত্ব দিবে।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য