-->

উন্নত বিশ্বের ন্যায় সকল মানুষ এবং সম্পদ বীমার আওতায় আনা গেলে সংকট থাকবে না-মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মেঘনা ইন্স্যুরেন্স

নিজস্ব প্রতিবেদক
উন্নত বিশ্বের ন্যায় সকল মানুষ এবং সম্পদ বীমার আওতায় আনা গেলে সংকট থাকবে না-মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মেঘনা ইন্স্যুরেন্স

বীমা ব্যক্তিত্ব জনাব মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, মেঘনা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক যিনি বর্তমানে একই সাথে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমির একাডেমিক কমিটির একজন সম্মানিত সদস্য এবং IDRA- এর নৌ-বীম রেটিং কমিটির একজন সদস্য হিসেবে কাজ করছেন এবং বীমা পেশাজীবিদের একটি অন্যতম সংগঠন বাংলাদেশ ইন্সুরেন্স ডিপ্লোমা হোল্ডারস এসোসিয়েশন (BIDA) এর সভাপতি।

 

দেশের প্রবীন এই বীমা ব্যক্তিত্ব সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে বীমা খাতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। দৈনিক ভোরের আকাশের প্রতিবেদক হেলাল সাজওয়াল এর সাথে আলাপকালে এই খাতের বিভিন্ন সমস্যা এবং তার সমাধানসহ বীমা বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেন।

 

জনাব আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ৮০ দশকের শেষ দিকে বীমা সেক্টরে আসি। ঢাবি থেকে কৃতিত্বের সাথে পড়ালেখা শেষ করে আমি কলেজের শিক্ষকতা করছিলাম। এক পর্যায়ে ব্যবসা বানিজ্য করার আকাঙ্খা নিয়ে কলেজের চাকরি ছেড়ে দিয়ে যখন ব্যর্থ হলাম এবং দেখলাম আমার সরকারী চাকরির বয়স নেই অগত্যা আমার এক বড় ভাইয়ের সহযোগিতায় ১৯৮৯ সালের ১৫ নভেম্বরে প্রগতি ইন্সুরেন্সের দাবী বিভাগে যোগদানের মাধ্যমে বীমা পেশায় আসি। প্রথমদিকে যেখানে যেতাম সেখানেই ইন্স্যুরেন্স সম্পর্কে নেতিবাচক কথা শুনতাম।

 

এমতাবস্থায় আমার এক কলিগ আমাকে বললেন আপনি বীমা পেশায় উন্নতি করতে চাইলে এ বিষয়ে যদি আপনি লেখাপড়া করে কাজ করেন তাহলে সফল হতে পারবেন। তার কথামত আমি মহাখালিতে অবস্থিত বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমিতে যাই এবং ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হই। ভর্তি হওয়ার পরে যখন আমি বীমা বিষয়ে লেখাপড়া শুরু করি তখন বীমার উপর আমার আগ্রহ বেড়ে গেল এবং আমি সফলতার সাথে দেড় বছরের মাথায় টাইজার এওয়ার্ড পেয়ে খুব ভালোভাবে পাশ করি।

 

ইন্স্যুরেন্স বিষয়ে ডিপ্লোমা করার পর যখন প্রগতি ইন্স্যুরেন্স আমাকে প্রমোশন ও ইনক্রিমেন্ট দেয় তখন আমি অনুধাবন করলাম এটি একটি লাভজনক পেশা এবং বুঝতে পারলাম এই পেশায় সফলতা আসবে আমি তখন এই পেশায় পূর্ণ মনোযোগ দিলাম। সেখানে ১০বছর চাকরি করার পর এক সময় ইন্স্যুরেন্স একাডেমির বিজ্ঞাপন দেখলাম তারা ফ্যাকাল্টি মেম্বার সার্চ করছে। তখন আমি ভাবলাম যেহেতু আমি ইন্স্যুরেন্স সম্পর্কে কিছু জানি তাহলে অন্যদেরকে জানানোও দরকার ।

 

আমার শিক্ষকতা করার তৃষ্ণাটা আবার জেগে উঠলো, আমি ১৯৯৮ সালে ইন্সুরেন্স একাডেমিতে ফ্যাকাল্টি মেম্বার হিসেবে যোগ দেই। যখন আমি ইন্স্যুরেন্স বিষয়ে ছাত্র ছিলাম তখন যা জানতাম প্রশিক্ষক হিসেবে জয়েন করার পর প্রশিক্ষন দিতে গিয়ে আমাকে আরও বেশী জানতে হলো। এবারে জানতে গিয়ে আমি বীমা পেশায় আরও নিবিড়ভাবে জড়িয়ে গেলাম। ইন্স্যুরেন্স একাডেমিতে দশ বছর চাকরি করার পর আমি চিন্তা করলাম ট্রেইনারের চাকরিতে আর্থিক উন্নতি হচ্ছে না। সন্তানেরা বেড়ে উঠছে খরচ বেড়েছে সেভাবে আমার আর্থিক উন্নতি হচ্ছে না।

 

এমন ভাবনা থেকে আমি আবার ইন্ডাষ্ট্রিতে ফিরে আসি ২০০৮ সালে আমি পিপলস ইন্স্যুরেন্সে এসিসটেন্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে জয়েন করি। এরপর সেখানে আমি ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং এডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে পদোন্নতি লাভ করি, সেখানেও আমি ১০ বছর চাকরি করেছি। দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর বীমা পেশায় সাফল্যের সাথে চাকরি করার পর ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে মেঘনা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে আমি মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বা এমডি হিসেবে জয়েন করি এবং অদ্যাবধি নিয়োজিত আছি। আমি আমার কর্মের ব্যাপারে গর্বিত এ কারনে যে আমি বিমার থিওরেটিক্যাল এবং প্রাকটিক্যাল দুটাই ধারণ করছি। এজন্য আমি নিজেকে বীমা পেশার একজন প্রকৃত পেশাজীবি মনে করি। যারা বীমা পেশায় কাজ করছেন প্রত্যেকে যদি বীমা শিক্ষাটা গ্রহন করেন তখন কনফিডেন্টলি গ্রাহকের কাছে বীমা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো বলতে পারবেন এবং আপনি হতে পারবেন একজন সফল বীমা পেশাজীবি।

 

যারা বর্তমানে বীমা পেশায় কাজ করছেন তাদের অধিকাংশই বীমা শিক্ষায় শিক্ষিত না উপরন্তু অনেক কম শিক্ষিত এবং এমন কি একাডেমিক শিক্ষা ছাড়াও অনেকে এই পেশায় কাজ করছেন, যে কারনে এই পেশাটি উন্নত পেশার মর্যাদা লাভ করতে পারছে না। অধিক শিক্ষিত লোকও রয়েছেন তবে অধিকাংশ বীমা কর্মী বীমা সম্পর্কে না জেনেই কাজ করছেন। যদি বীমা শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সবাই কাজ করতো তবে এই পেশাটি সমৃদ্ধ হতো। আমি মনে করি কোম্পানিগুলো যদি অন্যান্য এক্সপেন্ডিচার এর সাথে কর্মীদের ট্রেনিং এর জন্য কিছু বরাদ্দ রাখে তাহলে তাদেরকে বীমা শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলা সম্ভব হবে। তবে শুধু প্রশিক্ষিত করলেই হবে না একই সাথে প্রশিক্ষন গ্রহনের পরে যদি তাদেরকে কিছু প্রনোদনা দেয়া হয় তারা যদি আর্থিকভাবে লাভবান হয় তাহলেই তারা হয়ে উঠতে পারে মনে-প্রানে একজন বীমা পেশাজীবি।

 

মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগে আইডিআরএর প্রচলিত নিয়ম নীতির ক্ষেত্রে আমি মনে করি শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতার পাশাপাশি বীমা শিক্ষাটাও দেখা উচিত। থিওরিটা যদি ভালোভাবে জানা না থাকে তবে অনেক ক্ষেত্রেই শুধুমাত্র কর্ম অভিজ্ঞতায় সব কিছু পরিপূর্ণ জানা যায় না। এজন্য আইডিআরএর উচিত হবে একজন মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হলে তার বীমা শিক্ষা প্রশিক্ষণের সনদও অন্তর্ভুক্ত করা।

 

মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আমাদের দেশে প্রায় ৮২ বা ৮৩ টি বিমা কোম্পানি রয়েছে যদি এই কোম্পানিগুলোর মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের বীমা বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় তবে কতজন আছেন বীমা বিষয়ে পারদর্শীতা দেখাতে বা কথা বলতে পারবেন।

 

আমরা অনেকেই তেমন একটা কথা বলতে পারবো না। শুধু অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার মাপকাঠিতে বীমা পেশার মানদন্ড ঠিক করা উচিত নয়। মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগে বীমা শিক্ষাকে গুরুত্ব দেয়া দরকার, অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি বীমা বিষয়ে তার কি শিক্ষা রয়েছে কি প্রশিক্ষণ রয়েছে এটিও দেখা জরুরী। তবে একথা বলছি না যে কেউ বীমা শিক্ষা না নিয়ে এই পেশায় আসতে পারবে না সেটা বলছি না তবে যখন কেউ বীমা পেশায় আসার পর তাকে বীমা শিক্ষাটা নেয়া উচিত। তাহলে তিনি তার কাজগুলো সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারবেন।

 

মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, বীমার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বীমা দাবী পরিশোধ করা। আমাদের বীমা ইন্ডাস্ট্রি সেখানেই সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে একারনে বীমা নিয়ে গ্রাহকের নেতিবাচক ধারনা তৈরী হয়েছে। আগেই বলেছি আমরা যারা বীমা নিয়ে কাজ করছি আমরাই বীমা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখি না। তাহলে গ্রাহকের জানার প্রশ্ন আসে না। অর্থনীতিতে একটি কথা রয়েছে ডিমান্ড এন্ড সাপ্লাই অর্থনীতির ভাষায় ডিমান্ড যদি বেশি থাকে সাপ্লাই যদি কম থাকে তবে বাজার অস্থিতিশীল হবে। তেমনিভাবে আমাদের বীমা সেক্টরেও বীমাকৃত সম্পদের সল্পতা রয়েছে আবার ইকনমিক কারনে সবাই বিমা করার মত অবস্থায় নেই।

 

দেশে যে পরিমান বীমাযোগ্য সম্পদ রয়েছে তার তুলনায় অনেক কম সম্পদের বীমা করা হয় তাই কোম্পানি অনেক বেশি মনে হয়। এ কারনে একটি অসুস্থ প্রতিযোগিতার প্রচলন রয়েছে বাজারে। আমি আমাদের নন লাইফ কোম্পানির কথা বলছি বর্তমানে শুধু ব্যাংক ফাইন্যান্সড ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানগুলোই বীমা করছে। সেলফ ফাইন্যান্সড ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো কিন্তু বীমা করছে না। আমদানি রপ্তানি ব্যবসার ক্ষেত্রে বীমা করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে বলে তারা বীমা করছে। ব্যাংক ফাইন্যান্সড ব্যবসার ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা আছে বলে তারা বীমা করছে।

 

কিন্তু বীমার প্রয়োজন সকলের, যদি সকল ব্যবসা এবং সম্পদ বাধ্যতামুলকভাবে বীমার আওতায় আনা যায় তাহলে বীমা বাজারের পরিধি বাড়বে। বর্তমানে ননলাইফ বিমা সেক্টরে ৫হাজার থেকে ৮হাজার কোটি টাকার প্রিমিয়াম অর্জিত হয়। যদি উন্নত বিশ্বের মত বিমাকে সার্বজনীন করা হয় তাহলে প্রিমিয়ামের বাজার হবে প্রায় ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকা। তখন অশুভ প্রতিযোগিতা তো বন্ধ হবে এবং এখনকার মত মনেও হবেনা যে দেশে বীমা কোম্পানি বেশী। বাজার ছোট হওয়ার কারনে যেটা মনে হচ্ছে। তাছাড়া এখন যদি কোন জায়গায় কোন দুর্ঘটনা ঘটে সরকারকে সাহায্য বা প্রনোদনা নিয়ে হাজির হতে হয়। যেমন কোথাও আগুন লাগলে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে সরকারকে সেখানে ছুটতে হয়।

 

বীমাকে সার্বজনীন করে দিলে কোম্পানি এখন যা রয়েছে তার বেশী দিলেও কোন সমস্যা হবে না। বীমাযোগ্য সম্পদ যদি বাধ্যতামুলকভাবে বীমার আওতায় আনা যায় তখন ইথিকাল ওয়েতে বীমা ব্যবসা করতে পারবে, বীমাদাবী পরিশোধ করতে পারবে বলে আমার মনে হয়। তাছাড়া বর্তমানে জিডিপিতে বীমা খাত থেকে কন্ট্রিবিউশন মাত্র ০.০৫ শতাংশ রয়েছে। বীমা সার্বজনীন হলে বীমা খাত থেকে জিডিপি আসতে পারে ৫শতাংশ। কোন কোম্পানি সর্বশান্ত হবে না , সরকারের কোষাগারে প্রচুর পরিমানে রেভিনিউ জমা হবে। উন্নত বিশ্বের মত কোন দুর্ঘটনা হলে বীমা থেকেই তার ক্ষতিপুরণ দেয়া হবে তাতে অর্থনীতি সচলভাবে চলবে।

 

বর্তমানে বীমা কোম্পানিগুলো বিমাদাবী পরিশোধের ব্যাপারে গড়িমসি করার কারনে বীমা গ্রহিতা লাভবান হচ্ছে না। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, নন লাইফ কোম্পানির ব্যাপারে তিনি বলেন আগেই বলেছি ডিমান্ড বেশি সাপ্লাই কম বর্তমানে বীমার বাজার অর্থাৎ বীমাযোগ্য সম্পদ কম এ কারণে একটি বীমার জন্য ১০টি কোম্পানি ব্যবসা আহরনের প্রতিযোগিতার কারনে একজন বীমা গ্রহিতার কাছে ১০ জনই যাচ্ছে আর এজন্যেই প্রতিযোগিতামুলকভাবে কাজ পেতে বেশী কমিশন দিয়ে বীমা করতে হয়।

 

ব্যবসা করার জন্য বেশী কমিশন দিয়ে শতভাগ প্রিমিয়াম আনা সম্ভব হয় না। এর প্রভাব পড়ে দাবী পরিশোধের সময়, যদি একটি বীমার জন্য প্রযোজ্য প্রিমিয়াম না পাওয়া যায় তাহলে দাবী পরিশোধে সমস্যা হবে এটা স্বাভাবিক। তিনি বলেন, বীমার বাজার টা বড় করতে পারলে বিমায় বাধ্যবাধকতা এনে যদি সকল সম্পদ বীমার আওতায় আনা যায় তবে এ অবস্থার উন্নয়ন সম্ভব। আমাদের দেশে বীমার নিয়ম থাকলেও নিয়ম পালন হয় না। যে কারনে অনেক সময় শুনতে হচ্ছে আর্থিক জালিয়াতির কারনে অনেক কোম্পানি তাদের গ্রাহকদের বীমাদাবী পরিশোধ করতে পারছে না।

 

আইডিআরএ সম্পর্কে তিনি বলেন, বীমা কতটুকু উন্নয়ন করছেন সে ব্যপারে আমার কিছু বলার নেই তবে তারা যে আমাদের নিয়ন্ত্রন করছেন সেটা তো দেখছি আমাদেরকে তারা প্রতিনিয়ত নিয়ন্ত্রন করছেন। তারা চেষ্টা করছেন, ধীর গতিতে হলেও অনেক ক্ষেত্রে সফলতা দেখিয়েছেন।

 

তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো কোন সেক্টরে ১০ ভাগ সমস্যা থাকলে নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব কিন্তু ৯০ ভাগ অনিয়ম দূর করা অসম্ভব। বর্ষীয়ান এই বীমাব্যক্তিত্ব জানান, আইডিআরএ’র ক্ষমতা বাড়ানো দরকার। তিনি বলেন, আমাদের দেশে যারা বীমা কোম্পানির মালিক তারা রাঘব বোয়াল কোন মন্ত্রী আমলা কিংবা তাদের সাথে সংশ্লিষ্টরাই মালিক। আর নিয়ন্ত্রন সংস্থাগুলোতে নিয়োগ দেয়া হয় তাদের চেয়ে কম ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের কে, যে কারনে তারা চাইলেও সব কিছু বাস্তবায়ন করতে পারেন না।

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version