-->
শিরোনাম

নন-লাইফ পুন:বীমা নিয়ে আইডিআরএ’র ১০ নির্দেশনা

হেলাল সাজওয়াল
নন-লাইফ পুন:বীমা নিয়ে আইডিআরএ’র ১০ নির্দেশনা

নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর পুন:বীমা নিয়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সাধারণ বীমা করপোরেশনের সাথে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) ১০টি নির্দেশনা জারি করেছে । এর আগে ২০ মে ২০২৪ তারিখ সকালে কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে সাধারণ বীমা করপোরেশনসহ সকল নন-লাইফ বীমা কোম্পানির মুখ্য নির্বাহীদের সাথে এ ব্যাপারে মতবিনিময় সভা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ।

 

সভায় নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর কাছে সাধারণ বীমা করপোরেশনের পাওনা পুন:বীমার প্রিমিয়াম ও বকেয়া পুন:বীমা দাবি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভার কার্যবিবরণী ইতমধ্যে সকল নন-লাইফ বীমা কোম্পানিকে পাঠানো হয়েছে।

 

আইডিআরএ চেয়ারম্যান ও নির্বাহী পরিচালক, বিআইএ প্রেসিডেন্ট ও প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট, রুপালী ইন্স্যুরেন্সের উপদেষ্টা, এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী, গ্রীন ডেল্টার ডিএমডি, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী এবং সাধারণ বীমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলোচনায় অংশ নেন।

 

মতবিনিময় সভায় আলোচিত বিভিন্ন পরামর্শের আলোকে ১০টি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এসব সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে- বীমা আইন, বিধি, প্রবিধান, সার্কুলার অনুসরণপূর্বক বীমা, পুন:বীমা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। সাধারণ বীমা করপোরশন চুক্তিবদ্ধ বীমাকারীর পুন:বীমা প্রিমিয়াম আদায় ও পুন:বীমা দাবি নিষ্পত্তির জন্য সেপ্টেম্বর ২০২৪ এর মধ্যে একটি নীতিমালা তৈরী করবে।

 

পুন:বীমা দাবির জন্য সাধারণ বীমা করপোরেশন প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের একটি চেক লিস্ট তৈরি করবে; বীমা ও পুন:বীমা চুক্তির বিষয়ে বীমাকারী ও পুন:বীমাকারীকে আবশ্যিকভাবে চুক্তি পরিপালন করতে হবে। বীমা আইনের বিধি-বিধানের আলোকে লস এডজাস্টমেন্ট করতে হবে এবং অডিট রিপোর্ট ও ব্যালেন্স শীটের ফিগার দেখে লস এডজাস্টমেন্ট করা যাবে না।

 

সকল প্রতিষ্ঠানকে বীমা গ্রাহক সুরক্ষা গাইডলাইন, ২০২৪ ও বীমা দাবি ব্যবস্থাপনা গাইডলাইন, ২০২৪ মেনে চলতে হবে। বীমা আইন অনুযায়ী ৯০ দিবসের মধ্যে বীমা দাবি নিষ্পত্তি করতে হবে। সাধারণ বীমা করপোরেশন এবং অন্যান্য বীমাকারী কোম্পানিগুলো পুন:বীমা সংক্রান্ত দেনা পাওনার বকেয়া প্রিমিয়াম ও বকেয়ার বীমা দাবির হিসাব আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখের মধ্যে চূড়ান্ত করবে এবং একটি ঐক্যমতে পৌঁছতে হবে। বীমাকারী প্রতিষ্ঠানকে বীমা দাবি নিষ্পত্তির জন্য যথাসময়ে সার্ভেয়ার নিয়োগ দিতে হবে এবং একই সার্ভেয়ারকে বারংবার নিয়োগ প্রদান বন্ধ করতে হবে।

 

পুন:বীমার ক্ষেত্রে বীমাকারী প্রতিষ্ঠানকে বীমা দাবির দ্রুততম সময়ের মধ্যে সাধারণ বীমা করপোরেশনের নিকট প্রয়োজনীয় দলিলাদি দাখিল করতে হবে। উল্লেখ্য, বীমা করপোরেশন আইন ২০১৯ এর ১৭ নম্বর ধারার উপ-ধারা ১ এ বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নিবন্ধিত ও বীমা ব্যবসায়রত প্রত্যেক বীমাকারী সাধারণভাবে প্রচলিত ও গ্রহণযোগ্য শর্তে তার নিজস্ব ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত পুন:বীমা অংশের পুন:বীমা করবে।

 

উপ-ধারা (২)-এ বলা হয়েছে, নন-লাইফ বীমা ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে পুন:বীমাযোগ্য অংশের ৫০% সাধারণ বীমা করপোরেশনের নিকট করতে হবে এবং অবশিষ্ট ৫০% উক্ত করপোরেশন অথবা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বা বাইরে অবস্থিত অন্য কোনো বীমাকারীর নিকট করা যাবে। তবে শর্ত থাকে যে, সরকার প্রয়োজনে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা উক্ত সীমা পুন:নির্ধারণ করতে পারবে।

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version