বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে, কারণ ভারতের আদানি গ্রুপ বাংলাদেশকে সরবরাহ করা বিদ্যুতের পরিমাণ ৬০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে। পূর্বাঞ্চলীয় ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী এই প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি তার বিদ্যুৎ সরবরাহ ১,৪০০-১,৫০০ মেগাওয়াট থেকে কমিয়ে ৫২০ মেগাওয়াটে নামিয়ে আনে।
বাংলাদেশের পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি এবং বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের মতে, আদানি ৮৫০ মিলিয়ন ডলারের বকেয়া আদায়ে এই পদক্ষেপটি নিতে বাধ্য হয়েছে। গত আগস্টে, আদানি বাংলাদেশে ১,৪০০ থেকে ১,৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করলেও অক্টোবরের শেষ দিকে তা ৭০০ থেকে ৭৫০ মেগাওয়াটে নামিয়ে আনা হয়। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আরও ২০০ মেগাওয়াট কমিয়ে ৫২০ মেগাওয়াটে দাঁড়িয়েছে সরবরাহ।
এদিকে, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফওজুল কবির খান জানিয়েছেন, সরকার বকেয়া পরিশোধের জন্য যথাসম্ভব দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং যদি বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়, তাহলে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানান, বাংলাদেশ কোনো বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে নিজেদের জিম্মি হতে দেবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, আদানি গ্রুপের কর্মকর্তারা রয়টার্সের সাথে যোগাযোগ করেননি। তবে, একটি সূত্র জানিয়েছে, বকেয়া পরিশোধ এবং বিদ্যুতের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যেই বকেয়া পরিশোধের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ কমানোর প্রবণতা এখনও অব্যাহত রয়েছে, যদিও আদানি পাওয়ারের জন্য ১৭০ মিলিয়ন ডলারের ঋণপত্র খোলার ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ সরকার।
এটি একটি চলমান সংকট, যা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সঙ্কটের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করছে এবং আগামী দিনগুলোতেও এর প্রভাব আরও বাড়তে পারে।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য