-->

ফলাফলে অনিয়ম করায় ঢাবির দুই শিক্ষককে শাস্তি

ঢাবি প্রতিনিধি
ফলাফলে অনিয়ম করায় ঢাবির দুই শিক্ষককে শাস্তি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন ও একই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সবুর খান।

বিএ (সম্মান) পরীক্ষার ফলাফলে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের দুই শিক্ষককে তিন বছরের জন্য পরীক্ষা সংক্রান্ত সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

অব্যাহতিপ্রাপ্তরা হলেন ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন ও একই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সবুর খান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৭ সালের ৩য় বর্ষ ৬ষ্ঠ সেমিস্টার বি.এ সম্মান পরীক্ষায় ফলাফলকে ব্যাপকভাবে ব্যবধান রেখে চূড়ান্ত করার আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শৃঙ্খলা পরিষদের (২৯ জানুয়ারি, ২০১৯) সুপারিশ ও সিন্ডিকেটের (৩০ জানুয়ারি, ২০২২) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই দুই শিক্ষককে তিন বছরের জন্য পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হলো।

এছাড়াও পরীক্ষার ১ম ও ২য় বার টেবুলেশন তৈরির জন্য নেওয়া সব বিল এই দুই শিক্ষককে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগারে ফেরত দিতে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

অভিযুক্ত দুই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও মনোমালিন্য থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে ফলাফলে অসঙ্গতির অভিযোগ ওঠে ২০১৭ সালে। সেই সময় বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা প্রত্যাশিত নম্বর না পাওয়ায় ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেন। তবে এতে পরিবর্তন না আসায় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর ফের আবেদন করেন শিক্ষার্থীরা। তখন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। এতে ১১ শিক্ষার্থীর ৩২ স্থানে নম্বর কম বেশি করার প্রমাণ পাওয়া যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহকে প্রধান করে গঠিত এই তদন্ত কমিটি অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে তিন বছরের জন্য দুই অধ্যাপককে পরীক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রম থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করে।

পরে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে কলা অনুষদের বর্তমান ডিন অধ্যাপক আবু মো. দেলোয়ার হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটিও তদন্তের মাধ্যমে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় পুনরায় উপাচার্য বরাবর তিন বছরের জন্য দুই শিক্ষককে পরীক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রম থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করে।

মন্তব্য

Beta version