-->

ভারত সরকারের বৃত্তি পাচ্ছেন ১৪৯৭ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী

কূটনৈতিক প্রতিবেদক
ভারত সরকারের বৃত্তি পাচ্ছেন ১৪৯৭  বাংলাদেশি শিক্ষার্থী
বাংলাদেশ ও ভারতের পতাকা

এ বছর ভারত সরকারের মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকার বৃত্তি পাচ্ছেন উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক পর্যায়ের মোট এক হাজার ৪৯৭ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৫০১ জন উচ্চ মাধ্যমিক ও ৯৯৬ জন স্নাতক পর্যায়ের।

সোমবার (২৮ মার্চ) ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন এ তথ্য জানায়।

বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ভারত সরকার প্রতি বছর মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারীদের এ বৃত্তি দিয়ে থাকে।

স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি বছর ২৪ হাজার টাকা করে চার বছর এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ১০ হাজার টাকা করে দুই বছর বৃত্তি হিসেবে দেওয়া হয়।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সারাদেশ থেকে শিক্ষার্থী বাছাইয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করেছে। ডিরেক্ট ব্যাংক ট্রান্সফার (ডিবিটি) পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এ বৃত্তির পরিমাণ জমা হবে।

ভারত সরকার ২০০৬ সালে মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারীদের জন্য ‘মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তি প্রকল্প’শুরু করেছিল। প্রাথমিকভাবে উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হয়েছিল।

কোভিড-১৯ মহামারির সময়েও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফরের ধারাবাহিকতায় এই বৃত্তির পুরস্কার অব্যাহত ছিল।

এটি বাংলাদেশের ভ্রাতৃপ্রতীম জনগণ ও সরকারের সঙ্গে বন্ধুত্বের প্রতি ভারতের সরকার ও জনগণের চিরস্থায়ী অঙ্গীকারের প্রতিফলন।

২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে বর্তমান বৃত্তি প্রকল্প ঘোষণা করা হয়। নতুন বৃত্তি প্রকল্পের অধীনে পরবর্তী পাঁচ বছরে ১০ হাজার বাংলাদেশী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হবে।

উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ২০ হাজার টাকা এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ৫০ হাজার টাকা করে বৃত্তির পরিমাণ ধার্য করা হয়েছিল।

এখন পর্যন্ত ১৯ হাজার ৮২ জন শিক্ষার্থী এই প্রকল্পের আওতায় উপকৃত হয়েছে এবং এ লক্ষ্যে ৪৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে।

ভারতের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির ধারাবাহিকতায়, ভারত সরকার ২০২২-২০২৩ থেকে আরও পাঁচ বছরের জন্য বৃত্তি প্রকল্পটি নবায়ন করেছে।

মন্তব্য

Beta version