-->

৬ষ্ঠ-৭ম শ্রেণির বইয়ের মাধ্যমে ২৩ সালে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন: শিক্ষামন্ত্রী

ঢাবি প্রতিনিধি
৬ষ্ঠ-৭ম শ্রেণির বইয়ের মাধ্যমে ২৩ সালে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন: শিক্ষামন্ত্রী
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে আলোচনা অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

২০২৩ সালে ৬ষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি, ২০২৪ সালে অষ্টম ও নবম এবং ২০২৫ সালে দশম শ্রেণির নতুন বইয়ের মাধ্যমে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী যে পাঠ্যপুস্তক তৈরি হবে। শুধু বই পড়বে তা নয়, করে করে শিখবে এবং শেখাটাকে প্রয়োগ করতে শিখবে। সে প্রক্রিয়ায় নিয়ে যেতে চাচ্ছি। তাই আমাদের শিক্ষা হবে প্রকল্পভিত্তিক।

রোববার (১০এপ্রিল) বাংলাদেশ গণপরিষদের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন এবং ‘বাংলাদেশ গণপরিষদের কার্যবিবরণী ও প্রাসঙ্গিক তথ্য' শীর্ষক গ্রন্থের প্রকাশনা উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন করে র‍্যামন পাবলিশার্স।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের এখন যে বইগুলো আসবে তাতে স্বাধীনতার ঘোষণা, ৭ই মার্চের ভাষণ, আমাদের সাংবিধানিক ঘোষণা, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধে নারীর ভূমিকা, বীরশ্রেষ্ঠদের কথা বয়সভিত্তিক সকল শ্রেণিতে আসবে।

এর মধ্য দিয়ে আমরা চাই যে আমাদের সন্তানেরা সত্যিকার অর্থে আমাদের মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাস জানুক। আমাদের সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষা যদি তারা না জানে তাহলে তাদের পক্ষে যে ভবিষ্যৎ নির্মাণ হবে তা  সমৃদ্ধ হবে না।

আবৃত্তিকার রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ গণপরিষদের কার্যবিবরণী ও প্রাসঙ্গিক তথ্য গ্রন্থের সম্পাদক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আবুল খায়ের।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের সংগঠক কমরেড দাউদ হোসেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ গণপরিষদের সদস্য, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের রচয়িতা, সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য ও সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান, উত্তরীয় এবং পোস্টার প্রদান করা হয়।

দিলীপ বড়ুয়া বলেন, আমরা ৫০ বছর পূর্তি পালন করছি। আমি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। কিন্তু ৫০ বছর আগে ১৯৭১ সালে বুড়িগঙ্গার পানিতে মাছ ছিল, সেই পানি আমরা পানও করেছি।

সেই বুড়িগঙ্গাতে এখন কিন্তু মাছ নেই। পানি পান করা যায় না। এর অর্থ হচ্ছে আমাদের সমাজ আজ যে দূষিত হয়েছে। আজকে বাংলাদেশ লুটেরা-ধনিক শ্রেণির স্বর্গে পরিণত হয়েছে।

আজকে রাষ্ট্র যে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির কথা বলেছে। তা যদি ভোটের কথা বলে, বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কথা বলে কম্প্রোমাইজ করা হয়, তাহলে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিগুলো লাভবান হবে। তবে আমি বিশ্বাস করি নতুন চিন্তার উন্মেষ ঘটছে।   

ব্যারিষ্টার আমীর-উল-ইসলাম বলেন, জাতিরাষ্ট্র তৈরির দলিল থাকে। আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র আমাদের দলিল। আমেরিকার জন্ম সনদ আছে। সেখানে আর কোনো দেশের জন্ম সনদ নেই। আর বাংলাদেশের আছে।

এটা আমাদের জন্য গর্বের, কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের পাঠ্যপুস্তকে সেরকমভাবে এর প্রতিফলন নেই৷ তাই তিনি পাঠ্যপুস্তকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের অন্তর্ভূক্তি চান।

আবুল খায়ের পাঠ্যসূচিতে স্বাধীনতার ঘোষণা, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র, সংবিধানের প্রস্তাবনা অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান। এ  ছাড়া ১০ এপ্রিলকে প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে পালনের দাবি জানান।

সভাপতির বক্তব্যে কমরেড দাউদ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যে নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে তার নজির পৃথিবীর আর কোথাও নেই। আমাদের তরুণ প্রজন্মের এটি জানা উচিত।

‘বাংলাদেশ গণপরিষদের কার্যবিবরণী ও প্রাসঙ্গিক তথ্য’ এ ক্ষেত্রে পথিকৃত হিসেবে কাজ করবে বলে আমি মনে করি।

 

মন্তব্য

Beta version