-->
শিরোনাম

২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এসডিজি অর্জন করবে : ঢাবি ভিসি

ঢাবি প্রতিনিধি
২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এসডিজি অর্জন করবে : ঢাবি ভিসি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদবিজ্ঞান অ্যালাইমনাই অ্যাসোসিয়েশনের (ডুবা) ৬ষ্ঠ পুনর্মিলনীতে বক্তব্য রাখছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন,  বিশ্ববাসীকে আমরা জানাতে চাই, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যান্য জাতির সঙ্গে একতালে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবে।

শুক্রবার (১৩ মে) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল অডিটোরিয়ামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদবিজ্ঞান অ্যালাইমনাই অ্যাসোসিয়েশনের (ডুবা) ৬ষ্ঠ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন উপাচার্য।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালাইমনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও হা-মীম গ্রুপের চেয়্যারম্যান এ কে আজাদ এবং সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদবিজ্ঞান অ্যালাইমনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মো. আতহার উদ্দিন, বিভাগের চেয়্যারম্যান শামীম শামশী।

অনুষ্ঠানে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ৫৮জন শিক্ষার্থীকে এককালীন ১২ হাজার টাকা করে বৃত্তি দেওয়া হয় এবং বিভাগের তিনজন শিক্ষককে সম্মাননা দেওয়া হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান  বলেন, এসডিজির একটি শক্তিশালী নিয়ম হলো সমাজের প্রতিটি সদস্যকে, প্রত্যেক মানুষ, প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সুরক্ষার স্থানে রাখা। যেটিকে আমরা বলি একটি অন্তর্ভূক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণ। এই বিনির্মাণ হলো টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার শক্তিশালী উপাদান।

তিনি বলেন, আমরা গৌরবান্বিত এবং সম্মানিত যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। একইভাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তিনিও আমাদের শিক্ষার্থী ছিলেন, এটি আমাদের গর্বিত লিগ্যাসি। সেটিকে অহংকারের সঙ্গে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আমাদের সকলের দায়িত্ব।

মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, গাছপালা নিয়ে পড়াশোনা করেছি। ফলে একটি সহজাত ভালোবাসা আমাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে। এখনও একইভাবে আমরা মিলেমিশে প্রত্যেকে যার যার অঙ্গনে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের যেভাবে উন্নয়ন হচ্ছে, দারিদ্র্য কমে যাচ্ছে। এই উন্নয়ন ধরে রাখতে হলে আমাদের সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে।

এ কে আজাদ বলেন, জেনেছি যতজন শিক্ষার্থী বৃত্তির জন্য আবেদন করেছেন সকলকে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে, এটা ভালো দিক। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালাইমনাই থেকে প্রতিবছর আমরা ১২শ শিক্ষার্থীকে ৪ কোটি টাকা বৃত্তি দেই। শতবর্ষকে উপলক্ষ্য করে আমরা সাড়ে দশ কোটি টাকার ফাণ্ড সংগ্রহ করেছি৷ আমরা চেয়েছি এটি আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুদান হিসেবে দেব। বিশ্ববিদ্যালয় সেটি রিসার্চ বা উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় করবে।

এ সময় তিনি ঢাবি উদ্ভিদবিজ্ঞান অ্যালাইমনাই অ্যাসোসিয়েশনকে ২৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেন।

ডুবা'র সাধারণ সম্পাদক ড. আবুল বাসার বলেন, অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আমরা বিভিন্ন সময় নানা কল্যাণমূলক কাজ করেছি। করোনাকালে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ক্রয়ের জন্য এক লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে ড. মো. আতহার উদ্দিন বলেন, আমাদের দশটি ট্রাস্ট ফান্ড আছে আমরা সেই জায়গা থেকে বৃত্তি দিয়ে থাকি। শিক্ষার্থীরা গ্রাম থেকে এসে ভর্তি হয়ে থাকার জায়গা পায় না, পড়াশোনা করতে পারে না। কাজেই সেই সাহায্য তাদের পেতে হবে। তাই আমরা বিত্তবানদের আহবান করব আপনারা ট্রাস্টফান্ড গঠন করে এগিয়ে আসুন। 

মন্তব্য

Beta version