চাকরি হারালেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের তৎকালীন সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ও বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈ।
অসদাচরণ ও পলায়নের কারণে সোমবার (১৩ জুন) তাঁকে চাকরিচ্যুত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।
২০২১ সালে পদায়নের পর ৯ মাসেও কর্মস্থলে যোগ না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগ এনেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈ (৩৫৭৩), সহযোগী অধ্যাপক(সংস্কৃত), বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, মাধ্যমিকও ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা, সংযুক্ত: সরকারি ব্রজলাল কলেজ, খুলনা গত ১২/০৪/২০২০ খ্রি. হতে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় সরকারি কর্মচারী (শৃংঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩ (খ) ও ৩ (গ) অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ ও ‘পলায়ন’ এর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়;
যেহেতু, অভিযুক্ত কর্মকর্তা কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব প্রদান না করায় বিধি অনুযায়ী বিষয়টি তদন্তের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়;
যেহেতু, তদন্তে তার বিরুদ্ধে আনীত ‘অসদাচরণ’ ও ‘পলায়ন’ এর অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশ তার স্থায়ী ও কর্মস্থলের ঠিকানায় প্রেরণ করা হলে ‘প্রাপক দেশে নাই’ মর্মে ডাক বিভাগ খামের গায়ে লাল কালি দিয়ে লিখিত ভাবে জানায়;
যেহেতু, মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈ-এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সরকারি কর্মচারী (শৃংঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৪(৩) বিধি অনুযায়ী গুরুদন্ড আরোপপূর্বক ‘চাকরি হতে বরখাস্তকরণ’ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এবং উক্ত সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন একমত পোষণ করেছে;
যেহেতু, মহামান্য রাষ্ট্রপতি মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈ-কে চাকরি হতে বরখাস্তকরণে সানুগ্রহ সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন;
সেহেতু, মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈ (শৃংঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৪(৩) বিধি মোতাবেক চাকরি হতে বরখাস্তকরণ করা হলো।
এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ২০০৯ সালে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর দীর্ঘদিন তাঁর এপিএসের দায়িত্ব পালন করেন মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈ। তখনই তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ ওঠে। একপর্যায়ে মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈকে এপিএসের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈ অনুমতি না নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন বলে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা ক্যাডারের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
মন্তব্য