ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৯২২ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকার বাজেট প্রাথমিকভাবে সিন্ডিকেটে অনুমোদিত হয়েছে। আগামী ১৬ জুন বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনে এটি উপস্থাপিত হবে। এবার বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৫ কোটি ৫ লক্ষ টাকা বা বাজেটের ১.৬৩ শতাংশ। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। গতবারের বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দ ছিল ১১ কোটি টাকা। সে হিসাবে আকার ৪ কোটি টাকা বেড়েছে।
২০১৪-১৫ অর্থবছরে গবেষণা খাতে বরাদ্দ ছিল তিন কোটি ৭২ লাখ টাকা। ২০১৫-১৬ সালে সেটি বেড়ে হয় ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ২০১৬-১৭ তে সংশোধিত বরাদ্দ দাঁড়ায় ৮কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা। ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ সালে অভিন্ন ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ হয় যেটি ২০২০-২১ অর্থবছরে ৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ঠেকে ১১ কোটি টাকায়। এর মধ্যে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ১৪ কোটি টাকা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনসূত্রে সূত্রে জানা গেছে, মোট বাজেটের ১৪০ কোটি টাকা শিক্ষক, ৬১ কোটি টাকা কর্মকর্তা, ৭২ কোটি টাকা কর্মচারীদের বেতন বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যা মোট বাজেটের ২৯.৫৯ শতাংশ। এ ছাড়া ভাতা বাবদ ২১৮ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা, পেনশন ও অবসর সুবিধা বাবদ ১৭৯ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা দেখানো হয়েছে যা যথাক্রমে ২৩.৭৪ শতাংশ ও ১৯.৫১ শতাংশ। কর্মকর্তা-কর্মচারী বেতন, ভাতা ও পেনশন ব্যয় বাবদ বাজেটের ৭২.৮৪ শতাংশই ব্যয় হবে বলে দেখানো হয়েছে।
করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন সরাসরি অ্যাকাডেমিক যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্রের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে এবার বাজেটে যন্ত্রপাতি মেরামতেও বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। পণ্য ও সেবা খাতে এবার বরাদ্দ করা হয়েছে বাজেটের ১৯.৫১ শতাংশ যার পরিমাণ ১৭৯ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা, যা গতবছর ছিল ১৬৮ কোটি ৮ লক্ষ টাকা। অন্যান্য অনুদান ৩৩ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে ৭৮১ কোটি ৯৪ লক্ষ টাকা আয় হবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুদান থেকে। যা মোট আয়ের ৮৩ শতাংশ। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব আয় করবে ৮৩ কোটি টাকা। যা গতবার ছিল ৬৫ কোটি টাকা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য জানান, গতবারের তুলনায় এবার বাজেটের আকার বেড়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৮৬৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা থেকে কমিয়ে ৮৩১ কোটি টাকা করা হয়েছিল। এবার বেড়ে ৯২২ কোটি টাকা হয়েছে।
অপরদিকে এবার বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ কমে আসছে। ২০২১-২২ অর্থ বছরে ঘাটতি ছিল ৭০ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা যা এবার থাকছে ৫৭ কোটি ৫৪ লাখে। এবার বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ কমেছে প্রায় ১৩ কোটি।
মন্তব্য