গুচ্ছভুক্ত বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২০২২ সেশনে প্রথম বর্ষ (সম্মান) ভর্তিতে খালি আসনের তালিকা তৈরি ও প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক মাসের মধ্যে ইউনিট ভিত্তিতে খালি আসনের তালিকা প্রস্তুত এবং প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া আবেদনকারীরা মেধা তালিকা অনুসারে যোগ্য হলে তাদের ভর্তি করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহষ্পতিবার এ আদেশ দিয়েছেন। আদালত অন্তবর্তীকালীন নিদেশনার পাশাপাশি রুল জারি করেছেন। রুলে খালি আসন পূরণ না করে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
মেধা তালিকায় থাকা ভর্তি বঞ্চিত তিন শিক্ষার্থী বরিশালের ইমাম হোসেন, কুমিল্লার মো.ওয়হিদুর রহমান লিমন ও পটুয়াখালীর সাকিল হোসেন রাতুলের করা এক রিট আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন হাইকোর্ট। রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট এবিএম ওয়ালীউর রহমান খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
রুলে শিক্ষা সচিব, ইসলামী,শাহজালাল, খুলনা, হাজী মোহাম্মদ দানেশ, মওলানা ভাসানী,পটুয়াখালী, কুমিল্লা, জাতীয় কবি কাজী নজরুল, যশোর, বেগম রোকেয়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বরিশাল, রাঙামাটি, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, চাঁদপুর ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সদস্য সচিবকে জবাব দিতে ভরা হয়েছে।
আইনজীবী এবিএম ওয়ালীউর রহমান খান জানান, ২০২১-২০২২ সেশনে ৩০ জুলাই থেকে ২৩ আগস্ট ভর্তি পরীক্ষা হয়। রিট আবেদনকারীরা বিভিন্ন ইউনিটে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৫৪ দশমিক ৫০ থেকে ৫১ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হন। ভর্তির জন্য সর্বনিম্ন স্কোর হচ্ছে ৩৫ নম্বর। কিন্তু ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ফাইনাল তালিকা প্রকাশ না করে এবং বিভিন্ন আসন খালি থাকার পরও কর্তৃপক্ষ ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়। আসন খালি রেখে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ করা সঠিক নয়। এতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এসব বিষয়ে উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের বরাবর আইনি নোটিশ পাঠানোর পরও সাড়া না পেয়ে শিক্ষার্থীরা রিট আবেদন করেন।
ভোরের আকাশ/আসা
মন্তব্য