আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গ্রেড সুরক্ষায় ৬ দফা দাবি না মানলে ক্লাস বর্জন করে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী বেতন গ্রেড সুরক্ষা কমিটি।
কমিটির আহবায়ক শামসুল আলম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পূর্ব প্রতিশ্রুতিতে সারাদেশের প্রায় ৩৫০টি কলেজ সরকারিকরণের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এসব সরকারিকৃত কলেজের জন্য শিক্ষক ও কর্মচারি আত্তীকরণ বিধিমালা- ২০১৮ জারি করা হয়। কিন্তু এ বিধি অনুযায়ী অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মচারীর পূর্বে প্রাপ্ত বেতন গ্রেড অবনমন করা হয়েছে। যা বেসরকারি আমলের বেতনের চেয়ে অনেক কম, বিষয়টি খুবই অমানবিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল।
এটিকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে তিনি ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন। আত্তীকরণ বিধিমালা-২০১৮’র ধারা, উপধারা সংশোধন করে জিও জারিকালীন ৭ম গ্রেড প্রাপ্ত প্রভাষক, প্রদর্শক, শরীরচর্চা শিক্ষক, গ্রন্থাগারিক, সহকারি গ্রন্থাগারিক, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের বেসরকারি আমলের এমপিও শীটে প্রাপ্ত বেতন গ্রেড বহাল রাখা তাদের ৬ দফার অন্যতম।
সংবাদ সম্মেলনে কমিটির সদস্যরা বলেন, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন গ্রেড সুরক্ষার আশ্বাস দিলেও তা অদৃশ্য ইশারায় আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আটকে রাখা হয়েছে। সাত হাজারের বেশি শিক্ষক-কর্মচারীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা লাঘবে প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে গ্রেড সুরক্ষা করা না হলে তাদের ন্যায় সঙ্গত অধিকার আদায়ে বৃহৎ কঠোর কর্মসূচি গ্রহণেরও ঘোষণা দেয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য সচিব মো. সাজেদুর রহমান লিটু, যুগ্ম- আহবায়ক নাছির উদ্দীন, বরিশাল বিভাগীয় কমিটির আহবায়ক ফারুক ফকির, সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান প্রিন্স, রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির আহবায়ক এমকে হাসান কিরন, সদস্য সচিব শাহজালাল, খুলনা বিভাগীয় কমিটির আহবায়ক আশরাফ আলী, সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
ভোরের আকাশ/আসা
মন্তব্য