-->

ইবিতে র‍্যাগিং ঘটনায় প্রশাসনের গৃহীত পদক্ষেপ জানতে চায় মানবাধিকার কমিশন

ইবি প্রতিনিধি
ইবিতে র‍্যাগিং ঘটনায় প্রশাসনের গৃহীত পদক্ষেপ জানতে চায় মানবাধিকার কমিশন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলের গণরুমে আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থী অপু মিয়াকে ডেকে নিয়ে রাতভর নগ্ন করে র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় এবার নড়েচড়ে বসেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এ ঘটনায় গঠিত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপ-পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) ফারজানা নাজনীন 'দৈনিক ভোরের আকাশ' কে এসকল তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থা আগামী ২৯ জুলাইয়ে মধ্যে ইবি রেজিস্ট্রারকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অবহিত করতে বলা হয়েছে। এছাড়া ইবি উপাচার্যের অবগতি ও কার্যার্থে উপাচার্যের একান্ত সচিবকেও এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশের অনুলিপি ডাক ও ইমেইল যোগে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরপরই জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্ব-প্রনোদিত হয়ে বিষয়টি আমলে নেয়। আমাদের সর্বশেষ বেঞ্চে এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় বেঞ্চের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, যে সুপারিশ হলো তদন্ত কমিটি করেছে যদিও অপরাধের তুলনায় শাস্তির সুপারিশ পর্যাপ্ত না, এটা ফৌজদারি অপরাধ। তারপরও সুপারিশের আলোকে এ শাস্তি কার্যকর করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সেটা আগামী ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে মানবাধিকার কমিশনে জানানোর জন্য বলা হয়েছে। মানবাধিকার কমিশন প্রত্যাশা করে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দ্রুত কার্যকর করা হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পরবর্তী বেঞ্চে আলোচনা করা হবে।

এবিষয়ে উপাচার্যের একান্ত সচিব মনিরুজ্জামান মোল্লা বলেন, এখনও মেইল চেক করিনি। এ মুহূর্তে কিছু বলতে পারছি না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে, ক্যাম্পাসও বন্ধ। যদি এ ধরনের মেইল এসে থাকে তাহলে বিষয়টি আমি উপাচার্য স্যারের নজরে আনার চেষ্টা করব।

এবিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসানকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। পরে তিনি ফোন বন্ধ করে রাখেন।

মন্তব্য

Beta version