-->
শিরোনাম

গাজী মাজহারুল আনোয়ারের জন্মদিন আজ

বিনোদন প্রতিবেদক
গাজী মাজহারুল আনোয়ারের জন্মদিন আজ

বাংলা চলচ্চিত্রের গানকে তিনি সমৃদ্ধ করেছেন অসংখ্য গান দিয়ে। তার গানে উঠে এসেছে মুক্তিযুদ্ধ, দেশপ্রেম, প্রকৃতি, জীবনবোধ, প্রেম, বিরহ, স্নেহ ও অনুভূতির কথা। বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব, প্রযোজক-পরিচালক-পরিবেশক এবং একুশে পদকপ্রাপ্ত গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ারের জন্মদিন আজ। তিনি একাধানে বরেণ্য গীতিকবি, প্রযোজক, পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার। এ বছর তিনি ৭৯ পেরিয়ে পদার্পণ করছেন আশিতে।

গাজী মাজহারুল আনোয়ার ১৯৪৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার তালেশ্বর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । ১৯৬৪ সাল থেকে তিনি তৎকালীন রেডিও পাকিস্তানে গান লেখা শুরু করেন। এখন পর্যন্ত তার রচিত গানের সংখ্যা ২০ হাজারেরও বেশি।

১৯৬২-৬৩ সালে মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সময় গাজী মাজহারুল আনোয়ার লিখেছিলেন প্রথম গান ‘বুঝেছি মনের বনে রং লেগেছে’। গানটির সুর করেছিলেন নাজমূল হুদা বাচ্চু, গেয়েছিলেন শিল্পী ফরিদা ইয়াসমিন। ১৯৬৪ সালে রেডিও পাকিস্তানে গান লিখে ৫০ টাকা আয়ের মাধ্যমে পেশাদার গীতিকার হিসেবে জীবন শুরু করেন তিনি।

১৯৬৫ সালে চলচ্চিত্রে যুক্ত হওয়ার পর চিত্রনাট্য, গান, সংলাপ ও কাহিনি রচনা শুরু করেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকেই তিনি যুক্ত ছিলেন সংশ্লিষ্ট প্রতিটি অঙ্গনে। সুভাষ দত্তের ‘আয়না ও অবশিষ্ট’ চলচ্চিত্রে ‘আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল’ গানটি দিয়ে চলচ্চিত্রের গান লেখা শুরু করেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার।

তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান দেশ চিত্রকথা থেকে বেরিয়েছে- ‘শাস্তি’, ‘স্বাধীন’, ‘শর্ত’, ‘সমর’, ‘শ্রদ্ধা’, ‘ক্ষুধা’, ‘স্নেহ’, ‘তপস্যা’, ‘উল্কা’, ‘আম্মা’, ‘পরাধীন’, ‘আর্তনাদ’, ‘পাষাণের প্রেম’ ও ‘এই যে দুনিয়া’ নামের চলচ্চিত্র। ছয় দশকের ক্যারিয়ারে ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’, আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার’, ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’সহ ২০ হাজারের মতো গান রচনা করেছেন বর্ষীয়ান গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার।

বিবিসি’র জরিপে সর্বকালের সেরা ২০ বাংলা গানের মধ্যে তিনটি গানের রচয়িতা গাজী মাজহারুল আনোয়ার। গানগুলো হচ্ছে- ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’, ‘একতারা তুই দেশের কথা’ ও ‘একবার যেতে দে না’।

গীতিকবি হিসেবে গাজী মাজহারুল আনোয়ার পাঁচবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এছাড়াও ২০০২ সালে একুশে পদক, ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট স্বর্ণপদক, এস এম সুলতান স্মৃতি পদক, একাধিকবার বাচসাস পদকসহ অসংখ্য সম্মাননা রয়েছে তার ঝুলিতে।

মন্তব্য

Beta version