রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক শোষণ, নির্যাতন, অত্যাচার-অনাচারের বিরুদ্ধে গণমানুষকে উদ্দীপ্ত করার লক্ষ্যে তৃতীয় বারের মতো আয়োজন করা হয়েছে ‘জাতীয় গণসংগীত উৎসব’। গত মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে চার দিনব্যাপী এ বিশেষ আয়োজনের।
‘সাম্য ও সম্প্রীতির সমাজ নির্মাণে গণসংগীতের ভূমিকা’- এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ৯০০ জন শিল্পী নিয়ে বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের আয়োজনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত মঞ্চে শুরু হয়েছে তৃতীয় জাতীয় গণসংগীত উৎসব। শুক্রবার পর্যন্ত চলবে এ আয়োজন।
বিকেল ৫টায় উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। জাতীয় গণসংগীত উৎসবের আহ্বায়ক গোলাম কুদ্দুছ জানান, উৎসবে ঢাকার ১৬টি এবং সারা দেশের ২৪টিসহ মোট ৪০টি গণসংগীতভিত্তিক সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশ নেবে।
এ ছাড়া এবারের উৎসবের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীসহ সারা দেশের গণসংগীত শিল্পীরা সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করবেন। পাশাপাশি গণসংগীত নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে সেমিনার ও আলোচনা সভা। তৃতীয় উৎসবটি উৎসর্গ করা হয়েছে বরেণ্য গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর স্মরণে।
কাজী মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী পর্বের এ উৎসবে বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ও গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী ও গণসংগীত ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক সাধন ঘোষ প্রমুখ।
উৎসবের সমন্বয়কের দায়িত্বে আছেন মানজার চৌধুরী সুইট ও সদস্য সচিবের দায়িত্বে আছেন শিল্পী ফকির সিরাজুল ইসলাম। শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ উৎসবে প্রতিদিন বিকেল ৪টায় শুরু হবে।
মন্তব্য