সন্তান জন্মের পর শোবিজের অনেক নারী তারকার বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। যাদের বেশির ভাগই সন্তানের দায়িত্ব নিজেই নিয়েছেন। বিশ^ মা দিবস। বিশ^জুড়ে দিবসটি পালিত হয়ে থাকে। শোবিজ অঙ্গনের অনেক তারকা মা একা একাই তার সন্তানের ভবিষ্যৎ গড়ার সংগ্রাম করছেন। সামাজিক, পারিবারিক সংগ্রামের ভেতর দিয়ে এসব ‘সিঙ্গেল মাদার’ অসীম মাতৃত্বকে করছেন আরো গর্বিত। বিশেষ এই দিনে জেনে নেওয়া যাক শোবিজের সিঙ্গেল কয়েকজন মায়ের কথা।
অপু বিশ্বাস : ঢালিউড কুইন’খ্যাত চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন দেশসেরা চিত্রনায়ক শাকিব খানকে। তাদের প্রেম, বিয়ে ও সন্তান জন্মগ্রহণ দীর্ঘদিন গোপন ছিল। সন্তান নিয়ে প্রকাশ্যে আসতেই তাদের বিচ্ছেদ হয়। এই তারকা দম্পতির একমাত্র সন্তান আবরাম খান জয়। ডিভোর্সের পর জয় মায়ের সঙ্গে রয়েছে।
আজমেরী হক বাঁধন : ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী বাঁধন ২০১০ সালে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের চার বছরের মাথায় সংসারের ইতি টানেন তিনি নিজেই। এরপর স্বামীর ঘর ছেড়ে বাবার বাসায় ওঠেন এই লাক্স সুন্দরী। এখন মেয়ে মিশেল আমানী সায়রাকে নিয়েই তার পৃথিবী। মা-মেয়ের বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক।
সারিকা সাবরিন : জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী সারিকা। ২০১৪ সালের আগস্টে ব্যবসায়ী মাহিম করিমের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তার। বিয়ের এক বছরের মাথায় সারিকার কোলে আসে কন্যাসন্তান শাহরিশ আন্নাহ। দুই বছরের মাথায় ২০১৬ সালের নভেম্বরে স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয় তার। ডিভোর্সের পর সন্তানকে নিয়েই পৃথিবী সাজিয়েছেন সারিকা।
সোহানা সাবা : নির্মাতা মুরাদ পারভেজের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী সোহানা সাবা। তাদের ছেলে স্বরবর্ণ। সন্তানের ১১ মাস বয়সের পরই আলাদা হয়ে যান এই তারকা দম্পতি। এখন ছেলে মায়ের সঙ্গেই থাকে।নোভা ফিরোজ : নির্মাতা রায়হান খানকে ২০১১ সালে বিয়ে করেছিলেন মডেল-অভিনেত্রী নোভা ফিরোজ।
২০১৩ সালের ২৮ জুলাই তিনি মা হন। কিছুদিন সংসার করার পর বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাদের। এখন ছেলে নোভার সঙ্গেই থাকে।
শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নি : ২০০৬ সালে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন তিন্নি। প্রেমিক থেকে স্বামী হয়েছিলেন অভিনেতা হিল্লোল। কিন্তু তাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ছিল মাত্র পাঁচ বছর। এরপর বিভিন্ন কারণে তাদের সংসার ভেঙে যায় ২০১১ সালে। তাদের কন্যাসন্তান ওয়ারিশা এখন মায়ের সঙ্গেই থাকে। তিন্নি বর্তমানে মেয়েকে নিয়ে কানাডার মন্ট্রিলে রয়েছেন।
মন্তব্য