বাংলাদেশের চলচিত্রে খলনায়কদের মধ্যে অন্যতম নায়ক রাজিব। সিনেমার পর্দায় তাকে নেতিবাচক চরিত্রেই বেশী দেখা গেছে।তিনি খলনায়ক চরিত্রকে দর্শকের কাছে ভিন্ন এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
এই শক্তিমান অভিনেতার ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার (১৪ নভম্বের)। ২০০৪ সালের এইদিনে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করনে তিনি। কিন্তু প্রিয় অভিনেতা হিসাবে তিনি মানুষের হৃদয়ে রয়ে গেছেন এবং থাকবেন।
১৯৮১ সালে ‘রাখে আল্লাহ মারে ক’ চলচিত্রের মাধ্যমে রাজীব রূপালি র্পদায় পা রাখনে। এরপর কাজী হায়াতের ‘খোকন সোনা’ সিনেমার মাধ্যমে তারকাখ্যাতি পান।
রাজীব দুই শতাধিক বাংলা চলচিত্রে অভিনয় করেন। তার উল্লখেযোগ্য চলচিত্রে মধ্যে রয়েছে -- দূর্নীতিবাজ, প্রেম দিওয়ানা, সত্য মিথ্যা, মিয়া ভাই, উছিলা, বীরাঙ্গনা সখিনা, হুমক, মা মাটি দেশ, প্রেম প্রতিজ্ঞা, দাঙ্গা, ত্রাস, টাকার অহংকার, মৃত্যুদণ্ড, বন্ধন, চাঁদাবাজ, মীরজাফর, মিথ্যার রাজা, বেনাম বাদশা, আখেরি রাস্তা, বিদ্রোহী কন্যা, ক্ষমা, জবরদখল, খলনায়ক, দেশদ্রোহী, লুটতরাজ, ভণ্ড, হাঙর নদী গ্রনেড, ভাত দে, সত্যের মৃত্য নাই, স্বপ্নের পৃথিবী, মগের মুল্লুক ও স্বপ্নের বাসর ইত্যাদি।
রাজীব চলচিত্র সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সংস্থা ও সংগঠনের সঙ্গে জরিত ছিলেন। তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাম ফ্রেন্ডস মুভিজ। তিনি এফডিসির ব্যবস্থাপক হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া জাতীয়তাবাদী চলচিত্র পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি পটুয়াখালীর দুমকিতে রাজীব জন্মগ্রহণ করেন। সিনেমায় অভিনয় শুরুর আগে রাজিব তিতাস গ্যাস কোম্পানীতে চাকরি করতেন।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য