বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর। তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের অন্যতম সফল অভিনেত্রী। শাবনূরের চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে চাঁদনী রাতে (১৯৯৩) চলচ্চিত্র দিয়ে।
পর্দার বাইরে লাজুক ও স্বল্পভাষী এই অভিনেত্রী দীর্ঘদিন ধরেই অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ছেলে আইজান, মা, ভাই-বোনসহ বসবাস করছেন। সেখান থেকে শুভাকাঙ্ক্ষীদের বিভিন্ন বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি ২০২৩) দিবাগত রাতে তার ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘আমি মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করেছি’।
তার এমন পোস্টে অনেকেই কমেন্টস করছেন। নীল অভ্র নামে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘যদি পুনর্জন বলে কিছু থেকে থাকতো তবে আমি তোমায় অভিশাপ দিতাম, তুমি আমি হয়ে জন্মাও তোমায় ভালোবেসে বোকা হয়ে যাওয়া, তোমার ভালোবাসার জন্য দিশেহারা মানুষটা হয়ে জন্মাও। মহান আল্লাহ্ সহায় হন’।
এনাম রাজু লিখেছেন, দুঃখজনক ব্যাপার-স্যাপার! ওমর আল ফারুক মন্তব্য করেছেন, ‘আল্লাহ সকল বিপদ থেকে মুক্ত রাখুন।’
হঠাৎ কী হয়েছে জানতে শুভাকাঙ্ক্ষীরা তার স্ট্যাটাসে কমেন্ট করছেন। তবে সেসবের উত্তর এখনো দেননি শাবনূর।
১৯৭৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর যশোর জেলার শার্শা উপজেলার নাভারণে জন্মগ্রহণ করেন শাবনূর। তার পারিবারিক নাম কাজী শারমিন নাহিদ নূপুর। তিন ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড় তিনি। বোন ঝুমুর এবং ভাই তমাল দুজনেই পরিবারসহ অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সালে মুক্তি পায় শাবনূরের প্রথম চলচ্চিত্র ‘চাঁদনী রাতে’। ছবিটি পরিচালনা করেন এহতেশাম এবং তার বিপরীতে নায়ক ছিলেন সাব্বির। ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ হয়। পরে চিত্রনায়ক সালমান শাহর সঙ্গে জুটি বেঁধে ১৪টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। যার প্রায় সবগুলোই ছিল ব্যবসায়িক মানদণ্ডে সফল। ভক্তদের কাছে এখনও সমান জনপ্রিয় শাবনূর।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য