১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনস ডে উপলক্ষে বৈশাখী টিভির বিশেষ আয়োজনে রয়েছে ৪টি নাটক, ৩টি সিনেমা এবং বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠান। ভ্যালেন্টাইনস স্পেশাল ‘বৈশাখী সকালের গান’-এ অংশ নেবেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী পুতুল। প্রচার হবে সকাল ৮ টা ২০ মিনিটে।
সকাল ৯.১০ মিনিটে রয়েছে ভালোবাসার সব গান নিয়ে অনুষ্ঠান মিউজিক অ্যালবাম। দুপুর ১.০০ টায় চলচ্চিত্রের রোমান্টিক সব গান নিয়ে ভ্যালেন্টাইনস স্পেশাল ‘শুধু সিনেমার গান’। তানহা তাসনিয়ার উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেছেন শাহ্ আলম।
ভালোবাসার গান নিয়ে বৈশাখী টিভির পর্দায় হাজির হবেন জননন্দিত কণ্ঠশিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাস ও তার দল। ‘বৈশাখীর ভালোবাসার গান’ নামে অনুষ্ঠানটি প্রচার হবে বিকেল সন্ধ্যা ৬.০০টায়। রুকাইয়া জাহান চমকের উপস্থাপনায় যৌথভাবে প্রযোজনা করেছেন মামুন আব্দুল্লাহ ও রবিউল হাসান প্রধান।
নাটকের মধ্যে- রাত ৮টায় প্রচার হবে ক্লোজআপ কাছে আসার গল্পের নাটক ‘টেক অফ’। পরিচালনা অমিতাভ রেজা চৌধুরী।
রাত ৮.৪৫ মিনিটে প্রচার হবে ভ্যালেন্টাইনস ডে’র বিশেষ নাটক ‘একটা তুমি লাগবে’। নাটকটিটি পরিচালনা করেছেন রাকা নোশিন নাওয়ার।
রাত ৯.৩৩ মিনিটে প্রচার হবে ক্লোজআপ কাছে আসার গল্পের নাটক সাকিব ফাহাদ পরিচালিত ‘সময় সব জানে’।
রাত ১০.২১ মিনিটে প্রচার হবে ভ্যালেন্টাইনস ডে’র বিশেষ নাটক ‘ইয়েস স্যার’। টিপু আলম মিলনের গল্পে সুবাতা রাহিক জারিফার চিত্রনাট্যে নাটকটিটি পরিচালনা করেছেন জামাল মল্লিক। অভিনয় করেছেন, রাশেদ সীমান্ত, পারিয়া শাহরিন, গোলাম কিবরিয়া তানভির, টিউলিপ চৌধুরী, রকি খান, শিখা মৌসহ অনেকে।
৩টি সিনেমার মধ্যে- সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সম্পূর্ণ প্রেমের ছবি ‘ভালোবাসার গল্প’। অভিনয় করেছেন রিয়াজ, পূর্ণিমা, যীশু প্রমুখ। দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে প্রচার হবে সালমান শাহ, মৌসুমী অভিনীত ‘অন্তরে অন্তরে’। রাত ১২ টায় প্রচার হবে ফেরদৌস, শাবনূর, মিশা অভিনীত ‘তুমি বড় ভাগ্যবতী’।
ভালোবাসা দিবসের নাটকে ফারিয়া শাহরিন ও রাশেদ সীমান্ত
ভালোবাসা দিবসে বৈশাখী টিভির পর্দায় এই প্রথম জুটি হয়ে আসছেন ফারিয়া শাহরিন ও রাশেদ সীমান্ত। ভ্যালেন্টাইনস ডে’র বিশেষ নাটক ‘ইয়েস স্যার’। প্রচার হবে রাত ১০.২১ মিনিটে। টিপু আলম মিলনের গল্পে সুবাতা রাহিক জারিফার চিত্রনাট্যে নাটকটি পরিচালনা করেছেন জামাল মল্লিক। রাশেদ সীমান্ত, ফারিয়া শাহরিন ছাড়াও আরো অভিনয় করেছেন, গোলাম কিবরিয়া তানভির, টিউলিপ চৌধুরী, রকি খান, শিখা মৌসহ অনেকে।
লেখক টিপু আলম মিলন বলেন, তানভীর একটি গ্রুপ অব কোম্পানীর সিইও। তারই কোম্পানীর একজন অধীনস্থ কর্মচারী রাশেদ। মালিক কর্মচারীর সম্পর্কের বাইরেও তাদের আরো একটি পরিচয় আছে। ব্যক্তি জীবনে তানভীর এবং রাশেদ স্কুল জীবনের সহপাঠী। রাশেদ মেধাবী এবং মনযোগী ছাত্র হলেও তানভীর ছিলো উশৃঙ্খল। তাই স্কুল জীবনে তানভীরের সাথে রাশেদরা মিশতো না।
কিন্তু সেই তানভীরই জামান চৌধুরীর একমাত্র মেয়ের সাথে কৌশলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে এবং তাকে বিয়ে করে চৌধুরী গ্রুপ অব কোম্পানীর মালিক বনে যান। জামান চৌধুরীর মৃত্যু এবং তানভীর মালিক হওয়ার পর চৌধুরী গ্রুপ এর সকল কর্মচারী দিনে দিনে হতাশ হয়ে পড়েন, কেননা তানভীর সবার সাথে খুবই বাজে ব্যবহার করেন, বিশেষ করে রাশেদের সাথে।
রাশেদের অপরাধ, সে ভালো ছাত্র ছিলো এবং স্কুল জীবনে তানভীরের সাথে মিশতো না। তানভীর মেধাবী কাউকে দেখলেই নানাভাবে বলে জীবনে “শিক্ষা কোন বিষয় না, আসল বিষয় হলো ভাগ্য”।
টাকার অহংকারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক, একমাত্র বোন সবাই সাথেই তানভীরের বাজে ব্যবহার অব্যাহত থাকে। এবং মেধাবীদের মুখ থেকে “ইয়েস স্যার, ইয়েস স্যার” শুনতে খুব এনজয় করে। তানভীর নানান ভাবে রাশেদকে মানসিক প্রেশার দিতে থাকে, যেমন বেতন কাটা, প্রমোশন না দেওয়া ইত্যাদি। রাশেদ তার স্ত্রী এবং সন্তানের অনেক চাহিদাই পূরণে ব্যর্থ হয়।
অন্যদিকে আমরা দেখতে পাই, তানভীরের সাথে জীমে দেখা হয় তার আরেক স্কুল জীবনের বন্ধু জসীমের সাথে। এই জসিমই ছিলো তানভীরদের ক্লাসের ফাস্ট বয়। তানভীরের বর্তমান অবস্থান দেখে অবাক হয় জসীম। তানভীর তাচ্ছিল্য করে জসীমের বর্তমান অবস্থা দেখে। কিন্তু এখানেই একটু বিপত্তি ঘটে। জসিম তানভীরকে বলে “আর কেউ না জানলেও আমি জানতাম তুমি জীবনে ভালো করবে, কারণ তুমি যেবার আমাদের সাথে বাজি ধরে পড়ালেখা ধরেছিলে এবং বলেছিলে তুমি চাইলে ক্লাসে ফাস্ট হওয়া তোমার জন্য কোন বিষয়ই না।
আমারা খুব হাসাহাসি করছিলাম, কিন্তু তুমি করে দেখিয়েছিলে। তুমি ক্লাস নাইনে ফাস্ট হয়েছিলে, এবং আমি ঐবারই আমি প্রথম বারের মত জীবনে ক্লাসে ফাস্ট হতে পারিনি”।
অবাক হয় তানভীর, তার এমন কোন ঘটনা মনে পড়ছেনা যে সে ক্লাসে ফাস্ট হয়েছিলো। যথারীতি তানভীর অফিস করতে থাকে এবং তার আচরণ আরো রূঢ় হয়। কাজের ফাঁকে একদিন সে রাশেদের কাছে জানতে চায়, তাদের ফাস্ট বয় কে ছিলো। রাশেদ বলে জসিম। তানভীর জানতে চায় ক্লাস নাইনে কে ফাস্ট বয় ছিলো। রাশেদ জানায় “স্যার আপনিতো সবার সাথে ঝগড়া করে পড়ালেখা শুরু করেন এবং সে বছর আপনিই ফাস্ট বয় হলেন”।
তানভীর কিছুটা অবাক হয়। সে কোন ভাবেই মনে করতে পারছেনা যে সে ফাস্ট হয়েছিলো। একে একে সে স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং তার বোনের শরনাপন্ন হয়, কিন্তু সবাই তাকে তার ক্লাস নাইনে তার ফাস্ট হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে। তানভীর ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ে। নিজের উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলে। সে নিজেকেই আর বিশ্বাস করতে চায় না। এক অমানসিক যন্ত্রনা অনুভব করে। অফিসে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। এভাবেই এগিয়ে চলে নাটকের কাহিনী।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য