গত বছরই পঞ্চম বারের জন্য অভিনেতা শরিফুল রাজের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন পরী। বিয়ের পর থেকেই সংসারে টুকটাক অশান্তি লেগেই রয়েছে তাদের।
স্বামী রাজ নাকি অভিনেত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করেছেন, অভিযোগ করেন পরীমনি। এর মাঝেই তাদের জীবনে পুত্র রাজ্যের আগমন। ছেলের কথা ভেবেই নাকি সব মিটমাট করেন নেন এই জুটি। কিন্তু এ বার ফের তাদের বিবাহবিচ্ছেদের জল্পনা ছড়িয়েছে।
গত ২৯ মে অভিনেতা শরিফুল রাজের ফোন থেকে অভিনেতা তানজিন তিশা, নাজিফা তুষি ও সুনেরাহ বিনতে কামালের কিছু ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও ফাঁস হয়। তার পর থেকেই বিস্তর জলঘোলা।
কে করছে এমন কাজ? রাজের দাবি তিনি কিছুই জানেন না। যে অভিনেত্রীদের ভিডিও ফাঁস হয়েছে তাদেরও দাবি, রাজ নির্দোষ। তাদের আঙুল পরীমনির দিকে।
যদিও অভিনেত্রী সম্পূর্ণ বিষয়টিকেই অস্বীকার করেছেন। এই ঘটনা নিয়ে বিস্তর জলঘোলার মধ্যেই মুখ খুললেন পরীমনি।
তিনি বলেন, ‘‘আমি রাজের বউ, এটি আর শুনতে চাই না। আমি ওর প্রাক্তন, এটাই শুনতে আমার আরাম লাগবে।’’
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে পরীমনি তার এবং রাজের দাম্পত্য সমীকরণ নিয়ে মুখ খুলেছেন। ভিডিও ফাঁস হওয়ার পরেই অভিনেত্রী জানান, এই ঘটনার আগেই নাকি বাড়ি ত্যাগ করেন রাজ। এ বার খোলসা করলেন সবটা।
অভিনেত্রীর কথায়, দামাল ছবির মুক্তির সময় থেকেই আমাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক ছিল না। রাজ আগের মতো নিয়মিত বাড়ি থাকত না। সন্তানের প্রতি ও কোনও রকম দায়িত্ব পালন করত না।
কিন্তু ক’দিন আগেই বেশ কিছু অনুষ্ঠানে রাজের সঙ্গে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রীকে। এমনকি নিজের বাপের বাড়িতেও রাজকে নিয়ে যান পরীমনি।
পরীমনির কথায়, বিষয়টা রাজের তরফে লোক দেখানো। কিছু দিন আগে আমি হাসপাতালে ছিলাম, আমাকে দেখতেও যায়নি ও। আমার সঙ্গে ওর এখন শারীরিক, মানসিক কোনও সম্পর্ক নেই। আমি যখন হাসপাতালে, তখনই বাড়িতে রাজ ওর জিনিসপত্র গুছিয়ে রেখেছিল। আগেই প্রস্তুত ছিল বাড়ি ছাড়ার জন্য। এ ভাবে তো আর সংসার, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।’’
তবে কি রাজ-পরীর বিবাহবিচ্ছেদ এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা?
এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রীর সাফ উত্তর, ‘‘ও তো আমাকে ছেড়েই চলে গিয়েছে, বিচ্ছেদ তো হয়েই গিয়েছে। আমি আর কল্পনাও করতে চাই না যে শরিফুল রাজ আমার স্বামী। একটা মানুষ চলে গেলে তো আর ধরে রাখা যায় না। আমি চাই ও আমাকে ডিভোর্স দিক। আমি ওর প্রাক্তন, এটাই শুনতে আমার আরাম লাগবে। আমি রাজের বউ, এটা আর শুনতে চাই না।
তবে সন্তান রাজ্যের জন্য কষ্ট পাচ্ছেন অভিনেত্রী। তাদের দু’জনের জন্য রাজ্য সুখী জীবন না পাওয়ার আফসোস থেকে যাবে পরীমনির।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য