-->

‘রামায়ণ-মহাভারতের সময় থেকে ছিলো পরকীয়া’

অর্পিতা জাহান
‘রামায়ণ-মহাভারতের সময় থেকে ছিলো পরকীয়া’

অর্পিতা জাহান: পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় ধারাবাহিকের অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য গত ৫ ডিসেম্বর জল থৈ থৈ ভালোবাসা ধারাবাহিকের সেটে, কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকায় একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বিয়ে ও পরকীয়া নিয়ে তার অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

 

বিয়ে সুস্থভাবে টিকিয়ে রাখা নিয়ে প্রশ্ন করলে অপরাজিতা বলেন , একটা কথা বলে রাখি আমি বিয়েতে বিশ^াসী। একটা ভালো সুস্থ বিয়ে জীবনকে সমৃদ্ধ করে। তবে যেকোন সম্পর্কের মানে এই না যে তার গন্তব্য বিয়েই হতে হবে। আবার তার মানে এই না যে লিভিংয়ে যেতে হবে। আমি কখনই একে সাপোর্ট করি না।

 

সম্পর্কে থাকা দুটি মানুষ যদি বিয়ের প্রস্তুত নেন, তাহলে তিনটি বিষয়ের প্রতি সচেতন সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন এই অভিনেত্রী।

 

তিনি বলেন, ভালোবাসার পাশাপাশি বিশ্বাস থাকাটা খুব জরুরী। একে অপরের প্রতি বিশ্বাস না থাকলে সেই সম্পর্ক বেশি দিন টেকে না । বোঝা পোড়া থাকা, এটার অভাব হলে সম্পর্কে তিক্ততা চলে আসে। দুইজনের কাজের প্যার্টানকে সম্মাণ করা ও একে অন্যের সময়কে সম্মান দেয়া, স্পেস দেয়া ।য দি সম্পর্কে এগুলো না থাকে তাহলে তা কখনই সুস্থ কোন বিয়ে হবে না।

 

পরকীয়া কিভাবে আটকানো যায় সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে পরকীয়া আটকানোর কোন বিষয় নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পরকীয়া আটকাবে কেন? পরকীয়া তো সুস্থতার লক্ষণ। চিরাচরিত ছিলো। সারাজীবন ছিলো। রামায়ণ-মহাভারতের সময় থেকে ছিলো পরকীয়া। এটা তো জীবনের একটা স্বাভাবিক ধর্ম। হতেই পারে কারো কাউকে ভালো লাগতেই পারে। আমি একজনের সাথে ঘর করি বলে অন্য কাউকে আমার ভালোবাসা বারণ, পছন্দ করা যাবে না! আমি শুধু গোলাপ ফুলকে ভালোবাসবো, পদ্মর দিকে তাকাবো না, অর্কিডের দিকে তাকাবোনা-তা কি কখনও হয় নাকি।’

 

তিনি বলেন, যার জীবনে যত অপশন বেশী তার জীবনে ততবেশী ভালোবাসা আসতেই পারে। তবে সে কিভাবে নিজেকে ব্যলেন্স করবে সেটা তার ব্যাপার। আমি আমার সংসারকে গুরুত্ব দিবো নাকি তাকে গুরুত্ব দিবো এটা আমার ব্যাপার। তবে কারো প্রতি অন্যায় করছি কিনা তাও ভাবার বিষয়। খাঁচায় পাখি কেন, ঈশ^রকে রাখলে সেও থাকবে না। কারণ জোর করে কোন কিছুই হয় না।

 

এই হাসিখুশি মেজাজের অভিনেত্রীর জন্ম ১৯৭৮ সালে ২২ ফেব্রুয়ারী। বেড়ে ওঠা কলকাতা শহরে। মাত্র ১৯ বছর বয়সে অভিনয় জগতে পা রাখা। হাতে গোনা কয়টা ছবি থাকলেও বিনোদন জগতে রয়েছে ব্যাপক পরিচিতি। বলছি পশ্চিম বাংলার সবসময় হাসিখুশি মেজাজের ছোট থেকে বড় পর্দার অভিনেত্রী অপরাজিতা অঢ্যের কথা। পূন্যি পুকুর, গানের ওপারে, চোখের তারা তুই, মা, অদ্বিতীয়া, এর মত অসংখ্য জনপ্রিয় সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন অপরাজিতা। একই সঙ্গে দাঁপিয়ে বেড়িয়েছেন বড় পর্দায়। তুমি আর আমি সিনেমা দিয়ে কাজ শুরু করেন তিনি। এছাড়াও হামি, রসগোল্লা, বেলাশেষে, শুভ মহরত, চিনি, প্রাক্তন, ওপেন টি বায়োস্কোপের মত সিনেমায় কাজ করেছেন অপরাজিতা। অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবনও কিন্তু রোমাঞ্চে ভরপুর। খুব অল্প বয়সে বিয়ে হয় তার। নিজ পরিবার থেকে মেনে না নিলেও শ্বশুর বাড়ি থেকে পেয়েছেন পুরো সাপোর্ট। বরাবরেরই মতই তিনি অনেক হাস্যজ্জ¦ল। হেসে খেলেই সময় কাটিয়ে দিতে ভালোবাসেন। এত ব্যস্ততার মাঝেও ২৭ বছরের বিবাহিত জীবন সুস্থভাবে কাটাচ্ছেন জল থৈ থৈ ভালোবাসা ধারাবাহিকের অভিনেত্রী অপরাজিতা অঢ্য।

 

ভোরের আকাশ/আসা

মন্তব্য

Beta version