-->
শিরোনাম

অন্তঃসত্ত্বা টিকা নিলে সন্তান পাবে সুরক্ষা: গবেষণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
অন্তঃসত্ত্বা টিকা নিলে সন্তান পাবে সুরক্ষা: গবেষণা

করোনার হাত থেকে মুক্তি পেতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে করোনা টিকা। আগেই গবেষকরা জানিয়েছিলেন, অন্তঃসত্ত্বাদেরও সুরক্ষা দেবে টিকা। কিন্তু মায়ের গর্ভে থাকা সন্তানের কি হবে! সেই সন্তান ভ‚মিষ্ঠ হওয়ার পর সে কি নিরাপদ থাকবে? এবার নতুন গবেষণায় ওঠে এল সেই প্রশ্নের জবাব। গবেষকরা জানিয়েছেন, সন্তান ভ‚মিষ্ঠ হওয়ার আগে মায়েরা টিকা নিলে সন্তানের দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে।

সম্প্রতি বোস্টনে দুটি হাসপাতালে এই নিয়ে গবেষণা হয়। এই গবেষণার ফলাফল সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন ৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়েছে দ্য জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, শিশুর জন্মের আগে যেসব মা করোনা টিকা নিয়েছেন, তাদের সন্তানের শরীরে অ্যান্টিবডি বেশি রয়েছে। জানা গেছে, গবেষকরা এই পরীক্ষার জন্য ৭৭ জন অন্তঃসত্ত্বাকে কোভিড টিকা দিয়েছিলেন। এছাড়াও ১২ জন করোনা আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বার উপরেও এই গবেষণা চালানো হয়। কোভিড আক্রান্তরা ২০ থেকে ৩২ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

এই গবেষক দলের মুখপাত্র জি এডলো বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের গাইনো বিভাগের চিকিৎসক। এই টিকাপ্রাপ্ত মহিলাদের শিশুদের দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কিনা তা বিশ্লেষণ করেন গবেষকরা। টিকাপ্রাপ্ত ৪৯ মায়ের শিশুর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল জন্মের দুই মাসের মধ্যে। এছাড়াও টিকা প্রাপ্ত অন্তঃসত্ত্বাদের ২৮ শিশুর নমুনা নেওয়া হয়েছিল জন্মের ১৭০ দিনের মাথায়। টিকাপ্রাপ্ত মায়েদের শিশুর শরীরে তুলনামূলক কোভিড অ্যান্টিবডি বেশি পাওয়া গিয়েছে। যে সব মা গর্ভাবস্থায় টিকা নিয়েছিলেন তাদের শিশু ভ‚মিষ্ঠ হওয়ার পর ১৭০ দিনের মাথায় শিশুগুলোর দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। যেখানে দেখা গেছে, ২৮ জন শিশুর মধ্যে ১৬ জনের দেহে ৫৭ শতাংশ অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। এরপরই যে সমস্ত মায়ের দেহে কোভিডের উপসর্গ থাকা সত্তে¡ও তারা করোনা টিকা নেননি তাদের সন্তানদের থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। শিশুদের জন্মের ২০৭ দিনের মাথায় তাদের দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। যেখানে জানা যায়, এই শিশুদের মধ্যে মাত্র ৮ শতাংশের দেহে অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে।

টিকা গ্রহণকারী অন্তঃসত্ত্বাদের সন্তানদের শরীরে টিকা না নেওয়া মায়েদের সন্তানের তুলনায় বেশি কোভিড অ্যান্টিবডি থাকছে অন্ততপক্ষে ছয় মাস, বলছে গবেষণা। যদিও একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এই গবেষণা। বিষয়টি নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর জন্য আরো গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

মন্তব্য

Beta version