-->
আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস

প্রত্যাশিত মাত্রায় বাড়েনি স্বাস্থ্যসেবার মান

* উন্নতি হয়েছে অবকাঠামো ও চিকিৎসা উপকরণে * সর্বজনীন স্বাস্থ্যসুরক্ষা অর্জনে অগ্রগতি কম * জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবার ঘাটতি * চিকিৎসা ব্যয় সাধারণের নাগালের বাইরে

নিখিল মানখিন ও আরিফ সাওন
প্রত্যাশিত মাত্রায় বাড়েনি স্বাস্থ্যসেবার মান
প্রতিদিন প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে গড়ে ৩৮ জন সেবাগ্রহীতা আসছেন। ছবি- সংগৃহীত

অবকাঠামো ও জনবল বাড়লেও প্রত্যাশিত মাত্রায় বাড়েনি দেশের স্বাস্থ্যসেবার মান। অনিয়ম ও দুর্নীতির থাবায় মাঝপথেই কমে যায় স্বাস্থ্যসেবার গতি। এমন মন্তব্য করেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, জনবল বৃদ্ধি, অবকাঠামোর উন্নয়ন, মাতৃ ও শিশুমৃত্যু হ্রাস, ওষুধের সরবরাহ বৃদ্ধি, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, কমিউনিটি ক্লিনিক চালু, স্বাস্থ্য খাতে ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যক্রম ইত্যাদি উন্নয়মূলক উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সফলতা পেয়েছে সরকার। কিন্তু সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবার ঘাটতি রয়েছে। চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। স্বাস্থ্যব্যয়ের ৬৭ শতাংশ ব্যক্তি নিজে বহন করে। আর্থিক সংকটে জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীর অকালে মৃত্যুর ঘটনাও বিরল নয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সফলতা থাকা সত্ত্বেও নানা সীমাবদ্ধতার কারণে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জন করতে পারছে না বাংলাদেশ। দেশের সরকারি স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামোর দক্ষ ও ফলপ্রসূ ব্যবহারের অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে কেন্দ্রীভূত ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি। চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয়, সংগ্রহ, রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত এবং সংস্কার করার জন্য প্রচলিত সরকারি নীতিমালা সময়সাপেক্ষ ও জটিল হওয়ায় সেটি প্রায় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে অন্তরায় হয়ে উঠে। পর্যাপ্ত জনবল, আর্থিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতাসহ প্রয়োগধর্মী জাতীয় স্বাস্থ্য গবেষণা ব্যবস্থার অভাব রয়েছে। এতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও কর্মসূচি। স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ব্যবস্থাপনা উন্নত করার উদ্দেশ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার এখনো যথেষ্ট নয়।

এক্ষেত্রে বিভিন্ন পর্যায়ের স্বাস্থ্য জনশক্তির আগ্রহ ও দক্ষতার অভাব এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর অপ্রতুলতা বেশ দৃশ্যমান। সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ওষুধ সরবরাহের অপর্যাপ্ততা, জনবলের অভাব, যন্ত্রপাতি ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্থাপনায় রক্ষণাবেক্ষণের দুর্বলতা ও প্রশাসনের জটিলতা এবং সুসংগঠিত রেফারেল পদ্ধতি না থাকায় স্বাস্থ্য অবকাঠামোর পূর্ণ সদ্ব্যবহার করা যাচ্ছে না। চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবার উচ্চ ব্যয়ের চাপ কমাতে সরকারি উদ্যোগে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিশেষায়িত চিকিৎসা সেবার পরিধি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, নানাবিধ প্রতিকূলতা এবং অপ্রতুলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অসাধারণ স্বাস্থ্য সাফল্য এবং এক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় হীন পদক্ষেপসমূহের বাস্তবায়ন অব্যাহত রয়েছে।

মাতৃ ও শিশুমৃত্যুহার হ্রাস পেয়েছে। প্রতি হাজার জীবিত জন্ম নেওয়া শিশুর ক্ষেত্রে মরণশীলতার হার দাঁড়িয়েছে ২১ জনে, যা ২০১৫ সালে ছিল হাজারে ২৯ জন। আর ২০১৫ সালে হাজারে মৃত্যুহার ছিল ১ দশমিক ৮১, যা ২০২০ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৬৩ শতাংশে। সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এর প্রতিবেদনে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

পুরোদমে এগিয়ে চলছে স্বাস্থ্য খাতে ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যক্রম। মাঠপর্যায়ে বিতরণ করা হয়েছে ল্যাপটপ ও ট্যাবলেট কম্পিউটার। গ্রাম এলাকার প্রতিদিনের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের সব পরিসংখ্যান তাৎক্ষণিকভাবে কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করা সম্ভব হচ্ছে। দেশের ৬৪ টি জেলা এবং ৪১৮টি উপজেলা হাসপাতালে ইতোমধ্যে একটি করে মোবাইল ফোন দেওয়া হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক এবং জেলা সিভিল সার্জনের অফিস। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে চালু করা হয়েছে টেলিমেডিসিন সুবিধা। স্বাস্থ্যসেবায় থাকছে জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম এবং কম্পিউটারাইজড অটোমেশন ব্যবস্থা। ঘরে বসেই স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে চিকিৎসকদের পরামর্শসহ কোথায়, কী ধরনের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া যায় তার পুরো গাইডলাইন তৈরি করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

পোলিও মুক্ত দেশ হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সার্টিফিকেট গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। ভারতের মুম্বাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশে’র ডেপুটি হাই-কমিশনার সামিনা নাজ ২০১৪ সালের মে মাসে মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকারের গভর্নরকে. শংকর নারায়ন-এর কাছ থেকে এ সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন। ২০১৬ সালে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের ৬৯তম সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ধনুষ্টংকার মুক্ত সনদ গ্রহণ করে বাংলাদেশ।

দেশে অনূর্ধ্ব ১২ মাস বয়সের শিশুদের সকল টিকা প্রাপ্তির হার ৮২ ভাগ। এক্ষেত্রে হাম ৮৫ ভাগ, ওপিভি ৯৩ ভাগ, বিসিজি ৯৯ ভাগ ও ডিপিট ৩/ পেন্টা ৩ সফলতা পেয়েছে ৮৯ ভাগ।

স্বাস্থ্য খাতের সফলতা অর্জনের জন্য ৩টি জাতিসংঘ পুরস্কারসহ ১৬টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে এমডিজি অ্যাওয়ার্ড, সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

অবশেষে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের বাস্তবায়ন শুরু করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। দেশের প্রতিটি হাসপাতাল ও সংশ্লিষ্ট সকলকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে একটি জরুরি নির্দেশা প্রেরণ করা হয়েছে।

প্রতিদিন প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে গড়ে ৩৮ জন সেবাগ্রহীতা আসছেন। ২৯ প্রকারের ওষুধ বিনামূলে প্রদান করা হচ্ছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি কিছু কমিউনিটি ক্লিনিকে গর্ভবতী মায়েদের স্বাভাবিক ডেলিভারি হচ্ছে।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে চাহিদার শতকরা ৮০ ভাগেরও বেশি ওষুধ আমদানি করতে হতো। বর্তমানে দেশীয় চাহিদার শতকরা প্রায় ৯৮ ভাগ ওষুধ বর্তমানে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। বর্তমানে ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের ১৪৫টি দেশে ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে। গত ছয় বছরে ওষুধ রপ্তানি বেড়েছে পাঁচ থেকে ৩১ বিলিয়নে।

স্বাস্থ্যখাতের অর্জন ও সমস্যা বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান ভোরের আকাশকে বলেন, গত ৫০ বছরে দেশের স্বাস্থ্যখাতের বিভিন্ন সূচকসহ (গড় আয়ুবৃদ্ধি, টিকাদানের হার, শিশু ও মাতৃ মৃত্যুবোধ) প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবায় অভাবনীয় সফলতা এসেছে। দেশের তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের দোর গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক ম্যাজিকের মতো কাজ করছে। এক সময় বিশেষায়িত চিকিৎসা সেবা শহরে সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে তা জেলা ও উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাওয়া যাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দীন আহমেদ ভোরের আকাশকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী এবং দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে। স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন আজ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশংসিত। সীমাবদ্ধ সম্পদ ও বিপুল জনগোষ্ঠী নিয়ে এ অর্জন যে প্রশংসনীয় ব্যাপার তা জাতীয়সহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সবাই স্বীকার করেন।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, জবাবদিহিতা ও মনিটরিংয়ের অভাবে স্বাস্থ্য সেক্টরের অনেক অর্জন সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছতে পারে না। অনিয়ম ও দূর্নীতির থাবায় মাঝপথেই কমে যায় স্বাস্থ্যসেবার গতি ও মান।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হেলথ ইকোনমিক্স ইউনিটের তৈরি ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ এ্যাকাউন্টস’এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের স্বাস্থ্যখাতে যে অর্থ ব্যয় হয়, তার মাত্র ২৩ ভাগ বহন করে সরকার এবং ৬৭ ভাগ ব্যয় করে ব্যক্তি নিজে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের ক্ষুদ্র আয়তন ও সীমিত সম্পদের বিপরীতে রয়েছে জনসংখ্যার বিস্ফোরণ। ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে রয়েছে আকাশচুম্বী বৈষম্য। স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি ও ভোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন শ্রেণীর জনগোষ্ঠীর মধ্যে বড় ধরনের পার্থক্য রয়েছে। কিছু কিছু অসমতা এতটাই তীব্র ও প্রতিকূল যে, সমষ্টিগতভাবে তা দেশের অগ্রগতির অন্তরায়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যখাতে অর্জিত সাফল্য টিকিয়ে রাখাই কষ্টকর।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্য সেক্টরে কার্যকর মনিটরিং ও জবাবদিহিতার অভাব রয়েছে। সরকারি চিকিৎসা উপকরণ ফেলে রেখে নষ্ট করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বিনামূল্যের সরকারি চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা হয়ে ওঠে ব্যয়বহুল। কর্তা ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে পালাক্রমে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার ঘটনায় আজ কেউ কিছু মনে করে না। দিনের পর দিন বন্ধ থাকে অসংখ্য কমিউনিটি ক্লিনিক। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে গর্ভবর্তী মাকে ডেলিভারি ফি দিতে বাধ্য করানো হয়। বিনামূল্যের সরকারি ওষুধ লুকিয়ে রেখে রোগীর স্বজনদেরকে বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে পাঠানো হয়। বন্ধ হয়ে গেছে পরিবার পরিকল্পনা মাঠকর্মীদের বাড়ি বাড়ি পরিদর্শন। আর বেসরকারি চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সেবা গ্রহণের সামর্থ্য থাকে না দেশের সিংহভাগ মানুষের।

স্বাস্থ্যবিমার কার্যক্রম কম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রোগীর সুরক্ষায় স্বাস্থ্যবীমা চালু থাকলেও বাংলাদেশে এখনও এসে বা সফলভাবে চালু করা সম্ভব হয়নি। স্বাস্থ্যবীমা শুরু হলেও তা দেশের মাত্র একটি জেলার তিনটি থানায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে চালু রয়েছে।

আন্তর্জাতিক মেডিক্যাল জার্নাল ‘ল্যানসেট’-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচীর উদ্যোগ প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এজন্য নির্দিষ্ট কোনও বাজেট বরাদ্দ নেই। এ উদ্যোগে বড় বাধা স্বাস্থ্যখাতের অদক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী। স্বাস্থ্যকর্মীদের গ্রামাঞ্চলে কর্মক্ষেত্রে ধরে রাখা কঠিন। অন্যদিকে বিশ্বব্যাংকের ‘দ্য পাথ টু ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচী অর্জন করতে হলে বাংলাদেশ সরকারকে স্বাস্থ্যখাতের জন্য বাড়তি অর্থায়নের ব্যবস্থা করতে হবে। দক্ষ জনবলের জন্য প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার পাশাপাশি গ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যকর্মী ধরে রাখার জন্য বাস্তবসম্মত উদ্যোগ নিতে হবে।

মন্তব্য

Beta version