চিকিৎসার অভাবে অকালে মৃত্যু ঘটছে অনেক ক্যান্সার রোগীর। দেশে ক্যান্সারের চিকিৎসা এখনো অপ্রতুল। চিকিৎসা করাতে না পেরে এ রোগে আক্রান্তদের মৃত্যুর অস্বাভাবিক হারে খোদ চিকিৎসকরাও চিন্তিত। তারা বলছেন, চিকিৎসকদের দক্ষতা বৃদ্ধি পেলেও অপর্যাপ্ত অবকাঠামো ও মেডিকেল উপকরণ এবং ব্যয়বহুল হওয়ায় চিকিৎসার বাইরে রয়ে যাচ্ছেন অসংখ্য ক্যান্সার রোগী। পাশাপাশি রয়েছে প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্তকরণ এবং নিয়মন্ত্রতান্ত্রিক জীবন প্রণালীর তীব্র অসচেতনতা।
দুই সপ্তাহ আগে মারা গেছেন ক্যান্সার রোগী মো. সোহেল (৪৫)। কুমিল্লার লাকসাম থানায় তার বাড়ি। তিন বছর ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। তার ছেলে আবুল হোসেন ভোরের আকাশকে জানান, অনেক চেষ্টা করেও বাবাকে বাঁচাতে পারিনি। আমাদের আর্থিক অবস্থা আগে থেকেই ভালো ছিল না। স্বল্প পুঁজির কাঁচামালের ছোট দোকান চালাতেন বাবা। ভিটামাটি ছাড়া কোনো জমি ছিল না। ঋণ ও ধার দিয়ে বাবার চিকিৎসার পেছনে প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। টাকার অভাবে মাঝপথে থেমে যায় চিকিৎসা। স্থানীয় সরকারি হাসপাতালের বেডে রেখে সান্ত্বনামূলক চিকিৎসা দেওয়া ছাড়া আমাদের সামনে কোনো পথ ছিল না বলে জানান মো. আবুল হোসেন।
ফুসফুস ক্যান্তারে আক্রান্ত টাঙ্গাইলের মধুপুর থানার মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. লিয়াকত আলী (৩৭)। গত ১২ এপ্রিল রাজধানীর মহাখালীর জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ফলোআপ করাতে এসেছিলেন। তিনি ভোরের আকাশকে জানান, সরকারি হাসপাতালে থেরাপি দেওয়ার সুযোগ পাওয়া খুব কঠিন। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার আর্থিক সামর্থ্য নেই। আমার শারীরিক অবস্থা খুবই বেশি ভালো যাচ্ছে না। অনেক দিন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। এখন বাসা থেকে আসা-যাওয়া করে চিকিৎসা নিচ্ছি। বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসার পেছনে কয়েক লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে। লাখ টাকা দিয়ে চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই বলে জানান লিয়াকত আলী।
রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় পরিবার নিয়ে বাস করেন মো. জব্বার আলী (৫১)। গত ১২ এপ্রিল ক্যান্সার হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে তিনি ভোরের আকাশকে জানান, বেঁচে থাকার আশা ছেড়ে দিয়েছি। আমাদের মতো গরিব মানুষের পক্ষে এ রোগের চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব না। সরকারি হাসপাতালেও টাকা লাগে। বড় লোকের সুপারিশ ছাড়া থেরাপির প্যাকেজ পাওয়া যায় না। চিকিৎসার পেছনে ইতোমধ্যে সহায়-সম্বল ফুরিয়ে গেছে বলে জানান জব্বার আলী। এভাবে অর্থের অভাবে অসংখ্য ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসা মাঝপথেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দিনের পর দিন সঠিক চিকিৎসাবিহীন অবস্থায় থাকার পর ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে।
বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি জানায়, দেশে সব মিলিয়ে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ। প্রতি বছর ২ লাখের বেশি মানুষ নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। আর বছরে মারা যায় প্রায় দেড় লাখ রোগী। প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্তকরণ এবং নিয়মন্ত্রতান্ত্রিক জীবন প্রণালীর মাধ্যমে ক্যান্সারে মৃত্যুঝুঁকি কমিয়ে আনা যায় বলে জানান ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, দেশে এখন ক্যান্সারের বিশ্বমানের চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে, কিন্তু রোগীর তুলনায় পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অনেক কম। অন্তত প্রতিটি জেলায় একটি করে পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতাল গড়ে তোলা প্রয়োজন। বাড়াতে হবে অনকোলজিস্ট, মেডিকেল ফিজিসিস্ট, টেকনোলজিস্ট ও নার্সের সংখ্যা। প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার শনাক্ত করার সুযোগ-সুবিধাও নিশ্চিত করতে হবে।
সম্প্রতি রাজধানীতে ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের একটি অনুষ্ঠানে দেশে ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা সুবিধা খুবই কম বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রতি ৩ হাজার ক্যান্সার রোগীর বিপরীতে মাত্র একটি করে শয্যা বরাদ্দ আছে। তবে বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে ৮টি বিভাগীয় শহরে ১০০ শয্যা উপযোগী ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এনআইসিআরএইচ-এ ৩০০ বেড রয়েছে, যা ১৬ কোটি মানুষের চাহিদা মেটাতে অপ্রতুল। পরিবেশগত ও স্বাস্থ্যগত সচেতনতা জরুরি বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে বাংলাদেশে ৭০ ভাগ ক্যান্সার রোগীর রেডিওথেরাপির প্রয়োজন হয়। এজন্য মেশিন দরকার ২৫০টি। তার বিপরীতে মেশিন রয়েছে মাত্র ৫৭টি। তার মধ্যে অনেক মেশিন অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে। জনসংখ্যা অনুপাতে বর্তমানে দেশে সব ধরনের সুবিধাসংবলিত ১৫০টি ক্যান্সার চিকিৎসাকেন্দ্র থাকা অপরিহার্য। কিন্তু বাংলাদেশে এখন এমন কেন্দ্রের সংখ্যা আছে মাত্র ২৫টি।
ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা বলেন, ক্যান্সার একটি সমন্বিত চিকিৎসা। সার্জারি, কেমো ও রেডিওথেরাপি কখন, কোনটি, কীভাবে করতে হবে, সেটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অপারেশনের ৬ মাস পর কেমো নিলে ফলপ্রসূ হবে না। শুধু ভালো চিকিৎসক থাকলেই হবে না; এর সঙ্গে প্যারামেডিক, নার্স ও অন্যান্য সহযোগী মানবসম্পদ থাকতে হবে। কোনো ওষুধ ৮ ডিগ্রি, কোনোটি ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়, আবার কখনো সূর্যের আলোর বাইরে রাখতে হয়। এজন্য ভালো ফার্মাসিস্টের প্রয়োজন হয়। যারা ওষুধ লিখবেন, তাদের দক্ষতা থাকতে হয়। ওষুধ প্রয়োগের আগে প্রস্তুত করতে হয়। ওষুধ প্রস্তুত, কেমো ও রেডিওথেরাপি দেওয়ার কাজগুলো অনকোলজিস্টরা করেন। দেশে অনকোলজিস্টদের স্বল্পতা রয়েছে। অনকোলজিস্ট বাড়াতে হবে। দেশে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা যা বলা হচ্ছে, প্রকৃত সংখ্যা তার থেকে অনেক বেশি হবে।
জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোয়াররফ হোসেন জানান, দেশের জনসংখ্যা বাড়ার হারের সঙ্গে ক্যান্সার রোগের প্রকোপ বাড়ছে, তা সামাল দেওয়া অনেকটাই কঠিন। এক্ষেত্রে সবার আগে সবাইকে সচেতন হওয়া দরকার, যাতে করে ক্যান্সারে আক্রান্ত না হতে হয়। এজন্য তামাক সেবন থেকে শুরু করে যেসব কারণে ক্যান্সার হয় সেগুলো পরিহার করা জরুরি।
দেশে ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসা ব্যয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউট এবং জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষকরা বলছেন, একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে একজন ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসায় বছরে প্রায় ৬ লাখ ৩৯ হাজার টাকা ব্যয় হয়। এর মধ্যে আছে চিকিৎসকের পরামর্শ ফি, রোগ নির্ণয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, অস্ত্রোপচার বা চিকিৎসা, ওষুধ, ইনজেকশন সামগ্রী যাতায়াত, রোগী ও স্বজনদের থাকা-খাওয়ার খরচ।
প্রধান গবেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল হামিদ বলেন, মূল চিকিৎসার বাইরে অন্য যে খরচ রোগী ও তার স্বজনদের করতে হয়, তা অনেক বেশি। ক্যান্সার শনাক্ত করা বা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মানুষকে নানা জায়গায় ঘুরতে হয়। অনেকে দালাল চক্রের পাল্লায় পড়েন। প্রতিটি ক্ষেত্রে পকেট থেকে অর্থ বের হয়ে যায়।
দেশের চারটি প্রধান হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সাত ধরনের ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসা ও আনুষঙ্গিক খরচের হিসাব করেছেন গবেষকরা। প্রতিটি হাসপাতাল থেকে কমপক্ষে ৩০ জন রোগীর তথ্য নেওয়া হয়েছে। মোট ২৬২ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন গবেষকরা। হাসপাতালগুলো হচ্ছে- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং আহ্ছানিয়া ক্যান্সার ও জেনারেল হাসপাতাল।
এ গবেষণার তথ্য ‘বাংলাদেশে ক্যান্সার সেবায় অর্থায়ন: একটি বিকল্প পন্থা’ শিরোনামে প্রবন্ধ আকারে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব সোশ্যাল অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সায়েন্সেস সাময়িকীতে ছাপা হয়েছে। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্যান্সারভেদে চিকিৎসা খরচে তারতম্য হয়। জরায়ুমুখ ক্যান্সারে বছরে খরচ হয় গড়ে ৪ লাখ ৯২ হাজার টাকা। অন্যদিকে কোলন ক্যান্সার বা বৃহদন্ত্রের ক্যান্সার খরচ হয় ৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। এ খরচের মধ্যে আছে সরাসরি চিকিৎসা খরচ ও পরোক্ষ খরচ। তবে উত্তরদাতাদের কাছ থেকে সরাসরি ও পরোক্ষ ব্যয়ের আলাদা হিসাব নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, বাংলাদেশে ক্যান্সার চিকিৎসায় সাধারণভাবে তিনটি চিকিৎসা পন্থা অবলম্বন করা হয়- অস্ত্রোপচার, কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা বলেন, সব সরকারি হাসপাতালে একবার রেডিওথেরাপির জন্য ২৫ হাজার, একবার কেমোথেরাপির জন্য ২০ হাজার এবং অস্ত্রোপচারে ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়।
বিশেষজ্ঞরা আরো বলেন, ৫০ শতাংশ ক্যান্সার রোগীর অস্ত্রোপচার, কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি- এ তিনটি পদ্ধতিরই দরকার হয়। ২০ শতাংশের দুটি পদ্ধতির দরকার হয়। বাকি ৩০ শতাংশের দরকার হয় অস্ত্রোপচার, কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপির যেকোনো একটি পদ্ধতির। তবে এসব চিকিৎসা যদি বেসরকারি হাসপাতালে হয়, তা হলে খরচ আরো অনেক বেশি।
রোগীদের বিদেশে পাড়ি ও চিকিৎসা খরচ
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, একই ক্যান্সার চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্রে খরচ পড়ে ৫০ লাখ, সিঙ্গাপুরে ১০ লাখ, থাইল্যান্ডে ৭ লাখ, মালয়েশিয়ায় ৬ লাখ এবং ভারতের দক্ষিণে অর্থাৎ মাদ্রাজ, বেঙ্গালুরু, ভ্যালুর ও চেন্নাইতে খরচ পড়ে মাত্র আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকা। সবখানেই চিকিৎসার মান একই। তবে রোগীর ধরন এবং রোগের ধাপ (স্টেজ) অনুযায়ী খরচের তারতম্য হয়। ভারত, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরসহ আরো ১৯টি দেশে রোগীরা চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন। তবে সবচেয়ে বেশি যাচ্ছেন ভারত, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুর।
ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. ফারহানা রিজওয়ানা বলেন, ডায়াগনসিস সেক্টরের ক্ষেত্রে আমাদের দেশে আরো উন্নত ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন। এখানে আরো বেশি অনকোলজিস্ট প্রয়োজন। পাশাপাশি অ্যান্টিক্যানসার ড্রাগসের পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করতে হবে। ক্যান্সার চিকিৎসা যেহেতু খুব ব্যয়বহুল, তাই এ বিষয়ে কিছুটা গুরুত্ব দিতে হবে। আশার কথা এই যে বর্তমানে বাংলাদেশে ক্যান্সার চিকিৎসার ধরন আগের চেয়ে অনেক উন্নত এবং এখানে বিশ্বমানের ক্যান্সার চিকিৎসার সুব্যবস্থাও রয়েছে।
আহ্ছানিয়া মিশন ক্যান্সার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিনিয়র কনসালট্যান্ট অধ্যাপক ডা. কামরজ্জামান চৌধুরী বলেন, ডায়াগনসিসের ক্ষেত্রে আমরা অনেক সময়ই নানা অসুবিধা অনুভব করি, এটা সত্য। আমাদের দেশে এখনো কিন্তু উন্নতমানের ল্যাব তৈরি করতে পারিনি। ক্যান্সারের জন্য সাধারণ ল্যাব করলে হবে না। উন্নত ল্যাব করা খুবই ব্যয়বহুল, যা আমাদের দেশে এখনো হয়ে ওঠেনি। আমাদের প্রচুর পরিমাণে ল্যাব তৈরি করা উচিত এবং বিদেশের সঙ্গে তুলনা করে দেখা উচিত।
মেডিকেল অনকোলজি সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. পারভীন শাহিদা আখতার বলেন, আমাদের দেশে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীরা একেবারে শেষ পর্যায়ে চিকিৎসার জন্য আসে। কিন্তু ক্যান্সারের মূল চিকিৎসার আগে রোগীকে প্রস্তুত করার বিষয় থাকে। সারা দেশে মাত্র তিনটি মেডিকেল অনকোলজি বিভাগ আছে, যা ঢাকা সদরে অবস্থিত। ক্যান্সার একটি সমন্বিত চিকিৎসা। এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল, দীর্ঘমেয়াদি এবং কিছুটা জটিল।
ঢাকা শহরে রোগীরা এসে যে কষ্টের মধ্যে পড়ে, তা অনেকখানি কমানো যায়, যদি জেলা পর্যায়ে ক্যান্সারে আক্রান্তদের উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। সরকার আটটি ক্যান্সার সেন্টার করার ব্যবস্থা নিচ্ছে। এটি বাস্তবায়িত হলে ক্যান্সার চিকিৎসা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে। বর্তমানে ক্যান্সার রোগীদের যে চাপ আছে, তা কমাতে হলে ক্যান্সার নিয়ে যারা পড়াশোনা করেছেন, তাদের নিয়ে টিম গঠন করে জেলা পর্যায়ে ক্যান্সার রোগীদের দেখভালের ব্যবস্থা করতে হবে। সচেতনতার দিকে বিশেষ নজর দিলে একটা সময়ের পর ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা অনেক কমে যাবে।
মন্তব্য