-->
শিরোনাম

এনটি-প্রো বিএনপি টেস্ট, রোগীরা আগেই জানতে পারবেন হার্ট ফেলিউরের ঝুঁকি

নিজস্ব প্রতিবেদক
এনটি-প্রো বিএনপি টেস্ট, রোগীরা আগেই জানতে পারবেন হার্ট ফেলিউরের ঝুঁকি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) প্রথমবারের মতো এনটি-প্রো বিএনপি টেস্ট চালু হয়েছে। এরফলে ডায়াবেটিসহ সকল মানুষ আগেভাগেই জানতে পারবেন হার্ট ফেলিউরের ঝুঁকি রয়েছে কিনা।

হৃদযন্ত্রের অস্বাভাবিক কার্যক্রম নির্ণয়ে এই টেস্টটি চালুর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি মেডিসিন বিভাগ ও এন্ড্রোক্রাইনোলজি বিভাগ যৌথভাবে সিএমই প্রেগ্রামসহ এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বুধবার (১৫ জুন) বিএসএমএমইউ’র শহীদ ডা. মিলন হলে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোঃ হারিসুল হক, ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ আরাফাত।

অতিথি ছিলেন এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক অধ্যাপক ডা. মোঃ ফরিদ উদ্দিন।

সভাপতিত্ব করেন এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান (ডায়াবেটিস ও হরমোন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ আবুল হাসানাত।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন ল্যাবরেটরি মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. দেবতোষ পাল।

প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম ও রোশ ডায়াগনস্টিকের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক ডা. দিপিকা জিনদাল।

রোগীরা সাশ্রয়ী মূল্যে এই টেস্টটি করতে পারবেন। এই আয়োজনের চ্যানেল পার্টনার হলো বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ডায়াগনস্টিক ইকুয়িপমেন্ট ও রিএজেন্ট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বায়োটেক সার্ভিসেস এবং রোশ ডায়াগনোস্টিকস।

উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ বলেন, এনটি-প্রো বিএনপি টেস্ট হার্ট ফেলিউর প্রতিরোধে ভূমিকা রাখবে।

রোগীদেরকে প্রতারিত না করে সঠিক পরামর্শ দেওয়াটাও সততার সৌন্দর্য্যের মধ্যে পড়ে বলে উল্লেখ করেন। তিনি রেসিডেন্টদের উদ্দেশ্যে বলেন, শিক্ষার্থীদের এই সময়টা অবশ্যই কাজে লাগানো উচিত। কারণ এর চাইতে সুন্দর সময় তারা আর কখনই ফিরে পাবেন না।

এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, বিএনপি টেস্ট হলো হার্ট ফেলিউরের প্রারম্ভিক সনাক্তকরণ পরীক্ষা। রোগীর শরীরে হার্ট ফেলিউরের লক্ষণ দেখা দেয়ার কমপক্ষে ছয় মাস আগে এই পরীক্ষার মাধ্যমে হার্ট ফেলিউরের ঝুঁকি নির্ণয় করা যাবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে ডায়াবেটিসের রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। ডায়াবেটিস ও হার্ট ফেলিউরের দিক থেকে বাংলাদেশের মানুষ তীব্র ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই হার্ট ফেলিউরের ঝুঁকি সনাক্তকরণ এই পরীক্ষা অবশ্যই দেশের মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও কার্যকরী।

মন্তব্য

Beta version