-->

৮০ শতাংশ থেকে নেমে কৃমি রোগ এখন ৭ থেকে ৮ শতাংশে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
৮০ শতাংশ থেকে নেমে কৃমি রোগ এখন ৭ থেকে ৮ শতাংশে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রোববার বিকেলে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই সামিটের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, কৃমি রোগ আমরা প্রায় নির্মুল করতে সক্ষম হয়েছি। ৮০ শতাংশ থেকে কৃমি রোগ এখন ৭ থেকে ৮ শতাংশে নেমেছে।বাংলাদেশে শুরু হয়েছে দু'দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক এসটিএইচ সামিট ।

রোববার বিকেলে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই সামিটের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।দুই দিন ব্যাপি এই সামিট রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেল এর উৎসব হলে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪ পর্যন্ত সেশন চলবে।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে কৃমি রোগ অনেকছিলো। ২০০৬ সালে শুরু হয়। এখন সেটির ব্যাপ্তি ৬৪ জেলায়। ৬ থেকে ১২ বছর বয়সী প্রায় দুই কোটি শিশুকে বছরের দুই বার কৃমি নাশক খাওয়ানো হয়।

তিনি বলেন, আগে পরীক্ষা করলে ৮০ শতাংশ কৃমি রোগ পাওয়া যেতে। এখন সেটি ৭ থেকে ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। এর জন্য মাল্টি সেক্টর কাজ করেছে। যেকারণে আমরা সফল হতে পেরেছি। কৃমি রোগ আমরা প্রায় নির্মুল করতে সক্ষম হয়েছি।

করোনা পরিস্থিতি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, গত সপ্তাহের আগে থেকৈ বাড়তে শুরু করেছে। ৩০ থেকে ৩৫ জনে ছিলো। আজকে সাড়ে ৪ শ জন । সংক্রমণ বাড়তে থাকতে মৃত্যু বাড়বে।

আমরা যদি টিকা গ্রহণ করি। তাহলে আমাদের প্রতিরোধী শক্তি বৃদ্ধি পাবে। বুস্টার ডোজ নেওয়াটা খুব জরুরী । আমি সকলকে বুস্টার ডোজ নেওয়া আহবান জানাচ্ছি। মন্ত্রী এসময় এই সামিটের উদ্বোধন ঘোষণা করে।

সামিটে কি নোট উপস্থাপন করেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার (ইএলএফ, এসটিএইচ, এলডি অ্যান্ড এসকেইপি, সিডিসি) ডা. এম এম আকতারুজ্জামান স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ডা. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।সভাপতিত্ব করেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম।

স্বাগত বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের অ্যাডিসনাল সেক্রেটারি মো. সৈয়দ মজিবুল হক।

অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. ইকবাল আর্সালান, বিএমএ সেক্রেটারি ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরি, স্বাচিপ সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা.বর্ধণ জং রানা।

এরআগে সকাল ১০ টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তিনটি সেশন ও প্রশ্ন উত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

বেসিক অব এসটিএইচ সেশনে স্পিকার ছিলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার (ইএলএফ, এসটিএইচ, এলডি অ্যান্ড এসকেইপি, সিডিসি) ডা. এম এম আকতারুজ্জামান। ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল, কৃমি নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষুদে ডাক্তার কর্মসূচীর কনসালটেন্ট ডা. মো. শফিকুর রহমান।

কো চেয়ার ছিলেন- প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি আলমগীর মোহাম্মদ মনসুর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা.আহমেদুল কবীর।

দ্বিতীয় সেশনে (গাইডলাইনস অ্যান্ড প্রসিডিউরস) কো চেয়ার ছিলেন- মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, হেলেন কেল্লের ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর আমীনুজ্জামান তালুকদার।

বক্তা ছিলেন- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডা. অ্যান্টোনিও মনটেসর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার-সিডিএস, বাংলাদেশ এর মেডিক্যাল অফিসার ডা. অনুপমা হাজারিকা।তৃতীয় সেশনে ছিলো‘ এক্সরিয়েন্স ফ্রম দ্য ফিল্ড’।

এই সেশনে কো চেয়ার ছিলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ( পরিকল্পনা এবং উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডা. অ্যান্টোনিও মনটেসর।

বক্তা ছিলেন- ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল, কৃমি নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষুদে ডাক্তার কর্মসূচীর কনসালটেন্ট ডা. মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান ও চিলড্রেন উইদাউট ওয়ার্মস (সিডাব্লিউডাব্লিউ) ইউএসএ, এর ডিরেক্টর ডা. পাল ইমেরসন।

মন্তব্য

Beta version