২০০৬ সাল থেকে শুরু হওয়া কৃমি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে বাংলাদেশের উন্নতি অন্যান্য দেশের জন্য উদাহরণ বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি আন্তোনিও সন্তোষ।
রোববার (১৯ জুন) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে কৃমি রোগ প্রতিরোধের উপর আয়োজিত সম্মেলনে সেশন বিরতিতে সাংবাদিকদের দেওয়া স্বাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
আন্তোনিও বলেন, বিশ্বের ১০০ টি দেশে কৃমি প্রতিরোধ কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। এসকল দেশে কৃমি রোগের প্রধান কারণ সাধারণত দূষিত পানি ও অনিরাপদ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা। তবে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নতি অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক ভালো ও ঈর্ষণীয়।
তথ্য অনুযায়ী, ২০০৬ সাল থেকে শুরু হয়ে পরবর্তীতে ৬৪ জেলায় এই কৃমির ওষুধ খাওয়ানোর কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছে। পূর্বে কৃমি রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ৮০ শতাংশ থাকলেও বর্তমানে তা কমে ৭ শতাংশে নেমে এসেছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত অনেক অনেক বড় রাষ্ট্র। সেখানে তারা ক্রমান্বয়ে রাজ্যগুলোতে এই কর্মসূচি পরিচালনা করছে। তবে বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ হওয়া সত্ত্বেও খুব দ্রুতই কৃমি প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশে অবস্থানরত মেডিকেল অফিসার ডা. অনুপমা হাজারিকা বলেন, কৃমি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের নিজস্ব পরিকল্পনা ও অপারেশনগুলো প্রশংসার দাবিদার। বিশেষ করে ক্ষুদে ডাক্তার প্রজেক্ট, যা শিশুকাল থেকেই স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করে তোলে। এতে করে শিশুরা এবং তাদের পরিবার এ বিষয়ে সচেতন হচ্ছে।
মন্তব্য