ঢাকা: চালকদের নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করানো হলে প্রতি বছর সড়কে বহু মানুষের মৃত্যু ঠেকানো যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেছেন, রাতের বেলায় অনেক সড়ক দূর্ঘটনা ঘটে। এর কারণ হলো অনেক গাড়িচালক চোখের রোগে আক্রান্ত। সচেতনতার অভাবে তারা চোখ পরীক্ষা করান না। তাদের অনেকেই এক চোখে দেখে অন্য চোখে দেখে না। এতে চোখের ভারসাম্য হায়িয়ে তারা ঠিকমত দেখতে পারে না বলে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এজন্য মানুষের জীবন রক্ষায় গাড়িচালকদের নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা করাতে হবে।
গতকাল শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত বিনামূল্যে চক্ষু শিবির ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা ক্যাম্পের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ডিআরইউ’র এ আয়োজনে সহযোগিতা করেছে লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা ও লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা আইডিয়াল।সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদেরও নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষার গুরুত্ব দিয়ে উপাচার্য বলেন, প্রতি বছর সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের এসিআরে (বার্ষিক গোপন প্রতিবেদন) শারীরিক পরীক্ষার একটি সনদ জমা দিতে হয়। এসময় সরকারী কর্মকর্তারা যেন অন্যান্য সকল পরীক্ষার সাথে চক্ষু পরীক্ষাও করান সে বিষয়ে জোর দিতে হবে।
তিনি শিশুদেরও নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিয়ে বলেন, অনেক শিশুরই পরীক্ষা ভাল না করার পিছনে এই চক্ষু রোগ দায়ী। এতে শিশুদের মেধা বিকাশের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য ৫ বছর বয়সে স্কুলে ভর্তির আগে বাচ্চাদের চক্ষু পরীক্ষা করাতে হবে।
ডিআরইউ’র সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠুর সভাপতিত্বে ও কল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব। এছাড়া লায়ন্স জেলা কনভেনশন চেয়ারপার্সন নওজাত সারওয়াত ইসলাম অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির যুগ্ম সম্পাদক শাহনাজ শারমীন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ কাফী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাদিয়া শারমিন, আপ্যায়ন সম্পাদক মুহাম্মদ আখতারুজ্জামান ও কার্য নির্বাহী সদস্য ছলিম উল্লাহ মেজবাহ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও অন্যন্যদের মধ্যে ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি মুরসালিন নোমানী এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব শেখ মামুনুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।
হেলথ ক্যাম্পটি সকাল দশটায় শুরু হয়ে দুপুর সাড়ে তিনটা পর্যন্ত চলে। এতে ডিআরইউর প্রায় ২০০ জন সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা সেবা গ্রহণ করেন।
ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু এবং সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করায় লায়ন্স ক্লাবকে ধন্যবাদ জানান।
ভোরের আকাশ/আসা
মন্তব্য