-->
শিরোনাম

স্বাস্থ্য খাতে অভূতপূর্ব সাফল্য

নিখিল মানখিন
স্বাস্থ্য খাতে অভূতপূর্ব সাফল্য

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাস্থ্য সেক্টরে এসেছে অভূতপূর্ব সাফল্য। স্বাস্থ্যবিষয়ক সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জন করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনেও বাংলাদেশের প্রশংসনীয় অগ্রগতি হয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্য সেক্টরের এসডিজি অর্জনের অনেক ইতিবাচক উপসর্গ ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। দেশের সর্বত্র বিস্তার লাভ করেছে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবার নেটওয়ার্ক। এমন মজবুত অবকাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাত্রার ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার অবকাঠামো বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশের মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে করোনা মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশের ব্যাপক সফলতা বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছে। স্বাস্থ্য খাতের ব্যাপক অর্জনের জন্য ৩টি জাতিসংঘ পুরস্কারসহ ১৬টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত।

 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেন, দেশব্যাপী একটি ব্যাপকভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে সরকারের সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা রয়েছে। একটি সুস্থ জাতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে ক্লিনিক চালু করা হয়েছে। এসব ক্লিনিকে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদের দেয়া হয়েছে ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট সংযোগ। রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ দেয়া হচ্ছে। আর চালু করা হয়েছে ই-হেলথ ও টেলিমেডিসিন সেবা কার্যক্রম। জনবল বৃদ্ধি, অবকাঠামোর উন্নয়ন, মাতৃ ও শিশু মৃত্যু হ্রাস, ওষুধের সরবরাহ বৃদ্ধি, কমিউনিটি ক্লিনিক চালু , স্বাস্থ্য খাতে ডিজিটাল কার্যক্রম ইত্যাদি উন্নয়নমূলক উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে সরকার।

 

স্বাস্থ্যসেবা নেটওয়ার্কের স্তরগুলো উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যকর্মী, প্রাইমারি, সেকেন্ডারি, টারসিয়ারি ও বিশেষায়িত হাসপাতাল এবং উভয়মুখী রেফারেন্স পদ্ধতি প্রবর্তন করেছি, যা বিশ্বে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত বিষয়গুলোকে কর্মপরিকল্পনায় গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। দেশে গড়ে উঠেছে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবার মজবুত অবকাঠামো। স্বাস্থ্য খাতে সাফল্য অর্জনের মাধ্যমে দেশের জনগণের প্রতি নিজেদের অঙ্গীকার পূরণ করছে বর্তমান সরকার। আর সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে নিজেদের দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নেও সরকার সবসময় আন্তরিক।

 

মন্ত্রী আরো জানান, দেশের সাধারণ মানুষ আজ ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা পাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলদেশ এখন আর শুধু স্লোগান নয়, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এর সুবিধা পৌঁছে গেছে। দেশের সব পর্যায়ের হাসপাতালে বেডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতি। নির্মাণ করেছি নতুন নতুন জেনারেল হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতাল। সরকার নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, হেলথ টেকনোলজি ইনস্টিটিউট, নার্সিং কলেজ এবং নার্সিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট স্থাপন করেছে। আর ডাক্তার, নার্সসহ স্বাস্থ্য খাতের প্রতিটি বিভাগেই জনবল বাড়ানো হয়েছে। দারিদ্র্যবিমোচন, শিক্ষা, জেন্ডার সমতা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং পরিকল্পিত পরিবার নিশ্চিত করতে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি। নারী ও শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে নারী ও শিশুর স্বাস্থ্য এবং জীবনমান সহায়ক নানামুখী সেবা ও সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে সরকার। জাতিসংঘের মা ও শিশু স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশ্ব কৌশলপত্র বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা দেশব্যাপী মা ও শিশুর নিবিড় পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি প্রবর্তন করেছি। স্বাস্থ্য সেক্টরের দুর্বলতার দিকগুলো চিহ্নিত করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, এইচআইভি আক্রান্ত মানুষের নিম্নহার বজায় রয়েছে। ৪৫ শতাংশ এইচআইভি আক্রান্ত মানুষ এআরভি পাচ্ছে। ম্যালেরিয়া ও যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। দেশের ৯৮ শতাংশ মানুষ নিরাপদ পানীয় জল পাচ্ছে এবং ৮০ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবহার করছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থার উন্নতি ঘটেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীন উপজেলা থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্ত্র, জনবল ও রোগীশয্যার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

 

মা ও শিশু মৃত্যুহার হ্রাস : মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার হ্রাস পেয়েছে। প্রতি হাজার জীবিত জন্ম নেয়া শিশুর ক্ষেত্রে মরণশীলতার হার দাঁড়িয়েছে ২১ জনে, যা ২০১৫ সালে ছিল হাজারে ২৯ জন। আর ২০১৫ সালে হাজারে মৃত্যুহার ছিল ১.৮১, যা বর্তমানে কমে দাঁড়িয়েছে ১.৬৩ শতাংশে। সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রতিবেদনে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

 

ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা নেটওয়ার্ক : পুরোদমে এগিয়ে চলছে স্বাস্থ্য খাতে ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যক্রম। মাঠপর্যায়ে বিতরণ করা হয়েছে ল্যাপটপ ও ট্যাবলেট কম্পিউটার। গ্রাম এলাকার প্রতিদিনের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের সব পরিসংখ্যান তাৎক্ষণিক কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করা সম্ভব হচ্ছে। দেশের ৬৪ জেলা এবং ৪১৮ উপজেলা হাসপাতালে ইতোমধ্যে একটি করে মোবাইল ফোন দেয়া হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক এবং জেলা সিভিল সার্জনের অফিসে। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে চালু করা হয়েছে টেলিমেডিসিন সুবিধা। স্বাস্থ্যসেবায় থাকছে জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম এবং কম্পিউটারাইজড অটোমেশন ব্যবস্থ। ঘরে বসেই স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে চিকিৎসকদের পরামর্শসহ কোথায়, কী ধরনের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া যায় তার পুরো গাইডলাইন তৈরি করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। দেয়া হয়েছে সেবা প্রদানকারীদের নাম ও মোবাইল নম্বরগুলো। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে (িি.িফমযং.মড়া.নফ) প্রবেশ করে ‘ই-হেলথ’ এ ক্লিক করলেই বেরিয়ে আসবে স্বাস্থ্যসেবার বিভিন্ন ক্ষেত্র। তাৎক্ষণিক ডাক্তারি পরামর্শ গ্রহণ করে উপকৃত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এতে সময় ও আর্থিক খরচ বাঁচানোর পাশাপাশি দুর্ভোগ থেকেও রেহাই পাচ্ছে সেবাগ্রহীতারা।

 

পোলিওমুক্ত বাংলাদেশ : পোলিওমুক্ত দেশ হিসেবে বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার সার্টিফিকেট গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। ভারতের মুম্বাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার সামিনা নাজ ২০১৪ সালের মে মাসে মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকারের গভর্নর কে শঙ্কর নারায়ননের কাছ থেকে এ সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন। ধনুষ্টংকারমুক্ত বাংলাদেশ : ২০১৬ সালে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় অনুষ্ঠিত বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের ৬৯তম সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ধনুষ্টংকারমুক্ত সনদ গ্রহণ করে বাংলাদেশ।

 

শিশু স্বাস্থ পরিষেবা : দেশে অনূর্ধ্ব-১২ মাস বয়সের শিশুদের সব টিকাপ্রাপ্তির হার ৮২। এক্ষেত্রে হাম ৮৫, ওপিভি ৯৩, বিসিজি ৯৯ এবং ডিপিট ৩/পেন্টা ৩ সফলতা পেয়েছে ৮৯ শতাংশ। আন্তর্জাতিক পুরস্কার : স্বাস্থ্য খাতের এ অর্জনের জন্য ৩ জাতিসংঘ পুরস্কারসহ ১৬টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত। এর মধ্যে এমডিজি অ্যাওয়ার্ড, সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

 

গর্ভবতী মহিলাদের জন্য ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস : অবশেষে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের বাস্তবায়ন শুরু করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। দেশের প্রতিটি হাসপাতাল ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে একটি জরুরি নির্দেশা প্রেরণ করা হয়েছে।

 

কমিউনিটি ক্লিনিক : প্রতিদিন প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে গড়ে ৩৮ সেবাগ্রহীতা আসছেন। ২৯ প্রকারের ওষুধ বিনামূলে প্রদান করা হচ্ছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি কিছু কমিউনিটি ক্লিনিকে গর্ভবতী মায়েদের স্বাভাবিক ডেলিভারি হচ্ছে। এ পর্যন্ত স্বাভাবিক ডেলিভারি লাখ ছাড়িয়ে গেছে। সারা দেশে প্রায় ১৩ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে ১৪ হাজারের বেশি কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে যাচ্ছেন।

 

ওষুধশিল্পের বিকাশ : স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে চাহিদার ৮০ শতাংশেরও বেশি ওষুধ আমদানি করতে হতো। বর্তমানে দেশীয় চাহিদার প্রায় ৯৮ শতাংশ ওষুধ বর্তমানে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। বর্তমানে ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশে^র ১৪৫টি দেশে ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে। গত ছয় বছরে ওষুধ রপ্তানি বেড়েছে ৫ বিলিয়ন থেকে ৩১ বিলিয়নে।

 

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসাসেবা প্রদানের অবকাঠামো গড়ে উঠেছে বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ ভোরের আকাশকে বলেন, দেশের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি ঘটেছে। সব ধরনের জটিল রোগের উন্নত চিকিৎসা সুবিধা রয়েছে। চিকিৎসা ব্যয় নিয়ে নানা আলোচনা হতে পারে। নামমাত্র খরচে বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত দেশের বিপুলসংখ্যক রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে সরকার। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি, বারডেম হাসপাতালের অভিভাবক অধ্যাপক ডা. একে আজাদ খান ভোরের আকাশকে বলেন, দেশের চিকিৎসাসেবায় প্রশংসনীয় উন্নতি হয়েছে। গড়ে উঠেছে অনেক অত্যাধুনিক হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

 

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর বা পঙ্গু হাসপাতাল) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল গণি মোল্লা ভোরের আকাশকে বলেন, গত এক যুগে দেশের চিকিৎসাসেবায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। অনেক সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। বিদেশগামী রোগীর সংখ্যাও কমে গেছে। অনেক হাসপাতালে চিকিৎসাসেবার অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সাজানো রয়েছে। মফস্বল এলাকায় বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হচ্ছে।

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিনি অনুষদের সাবেক ডিন ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ ভোরের আকাশকে বলেন, গত এক যুগে দেশের স্বাস্থ্য সেক্টরের ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। কেন্দ্র থেকে গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে স্বাস্থ্যসেবার নেওয়ার্ক। সীমিত সম্পদ ও আয়তনের বিপরীতে বিপুল জনসংখ্যার মতো প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে লড়াই করে স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। দেশের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন ঘটেছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেক্টরের উন্নয়ন আজ বিশে^র অনেক দেশে রোলমডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

ভোরের আকাশ/আসা

মন্তব্য

Beta version