নিখিল মানখিন: ডেঙ্গুতে ধারাবাহিক মৃত্যু ও নতুন ভর্তি রোগীর হার ভাবিয়ে তুলেছে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ডেঙ্গু মোকাবেলা কর্মসূচীর সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা। চলতি মাসের ১৬ দিনে গড়ে দৈনিক পাঁচজন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু এবং দৈনিক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে প্রায় আটশ’ জন। চলতি বছরে মোট ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিনজন এবং সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৬৭ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট চিকিৎসাধীন আছেন ২ হাজার ৭২৯ জন ডেঙ্গু রোগী। চলতি বছরে পহেলা জানুয়ারি থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৪০ হাজার ৮১৪ জনে এবং মোট মারা গেছেন ২১৬ জন।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের ইতিহাসে ২০১৯ সালের ডেঙ্গু পরিস্থিতি জনমনে বেশ নাড়া দিয়েছিল। ওই বছরে এক লাখের বেশি ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে সরকারি পরিসংখ্যানে ১৭৯ জনের মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। আর এ বছর ৫০ হাজার ডেঙ্গু রোগীর মধ্যেই ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত মারা গেছেন ২১৬ জন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডীন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্রাহ ভোরের আকাশকে বলেন, গত কয়েক বছর ধরে কমবেশি সারা বছরই ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। তবে এবছর প্রাদুর্ভাব যেন একটু বেশি। মৃত্যু সংখ্যার বিবেচনায় ২০১৯ সালের ভয়াবহতা ছাড়িয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, বিগত সময়ের অভিজ্ঞতায় দেশে জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময়কে ডেঙ্গুর মৌসুম বলা হয়ে থাকে। কিন্তু এবছর নভেম্বরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সকলকে সচেতনতা বাড়াতে হবে বলে জানান ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর জানান, ২০২০-২১ সালে ডেঙ্গু পরিস্থিতি স্থির মধ্যে থাকলেও এবছর পরিস্থিতি বিধ্বংসী আকার ধারণ করেছে। তা ছাড়া রোগীদের শরীরে ডেঙ্গুর পাশাপাশি আরও নানা রোগের লক্ষণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। এতে করে চিকিৎসকেরাও রোগীদের সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, দেশের সকল চিকিৎসকদের নির্দেশনা দেয়া রয়েছে। ডেঙ্গুর সাথে মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার হচ্ছে, রোগীকে সবসময় চিকিৎসকের পর্যাবেক্ষনে রাখতে হবে।
এদিকে, মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিনজন এবং সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৬৭ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট চিকিৎসাধীন আছেন ২ হাজার ৭২৯ জন ডেঙ্গু রোগী। চলতি বছরে পহেলা জানুয়ারি থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৪০ হাজার ৮১৪ জনে এবং মোট মারা গেছেন ২১৬ জন।
ভোরের আকাশ/আসা
মন্তব্য