-->

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে বিট-গাজরের রস

অনলাইন ডেস্ক
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে বিট-গাজরের রস

শরীর সুস্থ রাখতে চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সকলেই ফল-সবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন। এই সময়ে বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবজি পাওয়া যায়। তার মধ্যে গাজর, বিট অন্যতম। খাওয়ার পাতে স্যালাড হিসাবে কাঁচা গাজর বা বিট অনেকেই খেতে পছন্দ করেন না। সে ক্ষেত্রে এই দুটি সবজি দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন স্মুদি বা রস। স্বাদ তেমন না হলেও ঠান্ডার এই মৌসুমে গা গরম রাখতে এই দুই সবজি যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।

 

যারা স্বাস্থ্য সচেতন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তারা সাধারণত কম ক্যালরিযুক্ত খাবারের সন্ধান করেন। তাদের জন্য গাজর ভাল একটি বিকল্প হতে পারে। ভিটামিন এ, সি, কে এবং পটাশিয়ামে সমৃদ্ধ গাজর চোখের জন্য ভাল।

 

এ ছাড়াও শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে, ক্যানসার প্রতিরোধ করতে, ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এই মরসুমে গাজর রাখতেই হবে।

 

মুখে গোলাপি আভা পেতে: রক্তাল্পতায় ভোগেন যারা, চিকিৎসকরা তাদের বিট খেতে পরামর্শ দেন। কারণ, বিটের মধ্যে থাকা আয়রন এবং ফলিক অ্যাসিড শরীরে নতুন করে লোহিত কণিকা তৈরি করতে সাহায্য করে। ভিটামিন বি৯ বা ফোলেট কোষ নষ্ট হয়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এ ছাড়াও, মুখে প্রাকৃতিক ভাবে গোলাপি আভা পেতে বিটের উপর ভরসা রাখতে পারেন।

বিটের গন্ধ ভাল লাগে না : গাজর কাঁচা খেলেও অনেকেই বিটের অস্বস্তিকর গন্ধ পছন্দ করেন না। তাই রস তৈরি করার সময়ে বিট-গাজরের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন কমলালেবু। স্বাদের জন্য চিনির বদলে গুড় দিতে পারেন। যোগ করতে পারেন সৈন্ধব লবণ।

 

কখন খাবেন বিট-গাজরের রস: বিট-গাজরের রস উপকারী হলেও ভুল সময়ে খেলে এর কার্যকারীতা নষ্ট হতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, সকালের জলখাবারের সঙ্গে অথবা দুপুরে খাওয়ার অন্তত ঘণ্টা দুয়েক আগে খাওয়াই শ্রেয়। কিন্তু বিকেলে বা সূর্যাস্তের পর এই রস খাওয়া একেবারেই উচিত নয় বলে মনে করেন পুষ্টিবিদরা।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version